তেলের সঙ্গে পাল্লা দিয়ে বাড়ছে কাঁচামরিচ-পেঁয়াজের দাম
নিজস্ব প্রতিবেদক
প্রকাশ: ০৯:৫৭ পিএম, ৮ মার্চ,মঙ্গলবার,২০২২ | আপডেট: ০৬:০৮ পিএম, ১৩ ডিসেম্বর,শুক্রবার,২০২৪
রংপুরের বাজারে নতুন করে দাম বাড়ার তালিকায় যুক্ত হয়েছে কাঁচামরিচ ও পেঁয়াজ। সপ্তাহের ব্যবধানে এ দুটি পণ্যের দাম বেড়েছে ২০ থেকে ৫০ টাকা। দাম বেড়েছে মুরগি ও চালেরও। সবজির দাম অপরিবর্তিত থাকলেও তেলের বাজারে কোনো সুখবর নেই।
আজ মঙ্গলবার রংপুর নগরীর বিভিন্ন বাজার ঘুরে দেখা যায়, এক লিটার বোতলজাত সয়াবিন তেল এখন ১৬৫-১৬৮ টাকা ও খোলা সয়াবিন গত সপ্তাহের মতোই ১৯৫-২০০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। বোতলজাত পাঁচ লিটার তেল আগের মতোই ৭৯৫-৮০০ টাকা দরে বিক্রি হলেও তা সহজেই মিলছে না। সংকট দেখা দিয়েছে পাঁচ ও দুই লিটার বোতলের।
মুলাটোল আমতলা বাজারের ব্যবসায়ী লিটু মিয়া বলেন, আগে পাইকারি বাজার থেকে যত সহজেই পাঁচ ও দুই লিটার বোতলজাত সয়াবিন তেল পাওয়া যেত, এখন তা মিলছে না। অনেক কষ্টে এক-দুই বোতল মিলছে। গত সপ্তাহের তুলনায় ব্রয়লার মুরগি ৫-১০ টাকা বেড়ে ১৬৫-১৭০ টাকা, পাকিস্তানি মুরগি ২৭০-২৮০ টাকা, দেশি মুরগি ৪৪০-৪৫০ টাকা এবং পাকিস্তানি লেয়ার ২৫০ টাকা থেকে বেড়ে ২৬০ টাকা কেজি দরে বিক্রি হচ্ছে। এছাড়া গরুর মাংস কিছুটা কমে ৬০০-৬২০ টাকা এবং খাসির মাংস ৮৫০-৯০০ টাকা কেজি দরে বিক্রি হচ্ছে।
সিও বাজারের মুরগি ব্যবসায়ী হোসেন আলী বলেন, বাজারে খাদ্যের দাম বেড়ে যাওয়ায় খামারিরা মুরগির দাম বাড়িয়ে দিয়েছেন। এছাড়া গরু-খাসির দাম বেড়ে যাওয়ায় মুরগির ওপর চাপ পড়েছে। ফলে গত সপ্তাহের তুলনায় ব্রয়লার ও পাকিস্তানি মুরগির দাম কিছুটা বেড়েছে।
বাজার ঘুরে দেখা যায়, প্রায় সব ধরনের সবজির দাম অপরিবর্তিত রয়েছে। খুচরা পর্যায়ে কেজি প্রতি টমেটো আগের দামেই ৩০-৩৫ টাকা, গাজর ২৫ টাকা, মটরশুঁটি ১০ টাকা কমে ৬০ টাকা, করলা ১১০-১২০ টাকা, ধনিয়া ৪০ টাকা, চিকন বেগুন ৩০ টাকা, গোল বেগুন ৫০ টাকা, সিম ৩৫-৪০ টাকা, শসা ৫০ টাকা, পেঁপে ২৫ টাকা, কাঁচামরিচ ৫০ টাকা থেকে বেড়ে ৯০-১০০ টাকা, শুকনো মরিচ ৩৫০ টাকা, ঢেঁড়শ ১১০-১২০ টাকা, পটোল ১০০-১২০ টাকা, সজনে ১৮০-২০০ টাকা, মিষ্টি আলু ও মিষ্টি কুমড়া ৩০ টাকা দরে বিক্রি হচ্ছে। এছাড়া প্রতি পিস বাঁধাকপি ১০-১৫ টাকা, ফুলকপি ৩০-৩৫ টাকা, লাউ ৪০-৪৫ টাকা, প্রতি হালি কাঁচকলা ২০-২৫ টাকা, লেবু ১৫-২০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। বাজারে দেশি পেঁয়াজ ৪০ টাকা থেকে বেড়ে ৬০-৬৫ টাকা ও ভারতীয় পেঁয়াজ ৪৫-৫০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। এছাড়া আদা ও রসুন আগের মতো ৬০-৭০ টাকা দরেই বিক্রি হচ্ছে। ব্রয়লার মুরগির ডিমের হালি খুচরা বাজারে ৩৫-৩৬ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। বাজারে কার্ডিনাল আলুর দাম সামান্য বেড়েছে। এখন ১৪ টাকা থেকে বেড়ে ১৬ টাকা হয়েছে। শিল আলু আগের ২৫-২৬ টাকা দরেই পাওয়া যাচ্ছে। এছাড়া খোলা চিনি ৮৫ টাকা এবং প্যাকেট চিনি ৮৫ টাকা, মসুর ডাল মাঝারি ১০০ টাকা, চিকন ১২০ টাকা, আটা প্যাকেট ৪২ টাকা ও খোলা ৩৫ টাকা এবং ময়দা ৫৭-৬০ টাকা প্যাকেট বিক্রি হচ্ছে। সপ্তাহের ব্যবধানে খুচরা বাজারে চালের দাম কেজিপ্রতি ২-৩ টাকা বেড়েছে। সপ্তাহের ব্যবধানে স্বর্ণা চাল (মোটা) ৪৬-৪৮ টাকা, বিআর২৯ চাল ৩ টাকা বেড়ে ৫৮ টাকা, বি২৮ আগের মতোই ৫৮-৬০ টাকা, মিনিকেট ৬৮ টাকা এবং নাজিরশাইল ৭৫ টাকা কেজি দরে বিক্রি হচ্ছে। বাজারে মাছের দামে তেমন একটা হেরফের নেই। প্রায়ই অপরিবর্তিত রয়েছে সব ধরনের মাছের দাম।