নির্বাচন ব্যবস্থা ধ্বংস করে গেলেন নুরুল হুদা : সুজন
নিজস্ব প্রতিবেদক
প্রকাশ: ১০:০০ পিএম, ১৪ ফেব্রুয়ারী,সোমবার,২০২২ | আপডেট: ১২:০২ এএম, ১৬ ডিসেম্বর,সোমবার,২০২৪
বিদায়ী প্রধান নির্বাচন কমিশনার (সিইসি) কে এম নুরুল হুদা নির্বাচন ব্যবস্থা ধ্বংস করে গেলেন বলে জানিয়েছেন ‘সুশাসনের জন্য নাগরিক’র (সুজন) সম্পাদক ড. বদিউল আলম মজুমদার।
আজ সোমবার (১৪ ফেব্রুয়ারি) তিনি গণমাধ্যমে এসব কথা বলেন।
ড. বদিউল আলম মজুমদার বলেন, আমরা নির্বাচন কমিশনের তথ্য সংবলিত যে বই ছাপিয়েছি, তাতে শামসুল হুদা কমিশনের কোনো অবদান ছিল না এবং কোনো আর্থিক লেনদেনও ছিল না। সবার মনে রাখা দরকার, ২০০৫ সালে উচ্চ আদালত একটি আদেশ দিয়েছিলেন। প্রার্থীদের আট ধরনের তথ্য দেয়ার কথা বলা হয় এবং নির্বাচন কমিশন এই তথ্য জনগণের কাছে প্রকাশ করবে বলে উচ্চ আদালত আদেশ দেন। হলফনামার ব্যাপারে ২০০৮ সালে নির্বাচন কমিশন অনেকের সহায়তা নেয় এবং সেখানে আমরাও সহায়তা করি। এ ব্যাপারে সুশাসনের জন্য নাগরিক (সুজন) সবচেয়ে বেশি অগ্রসর ছিল। কারণ আমরাই এ নিয়ে বিস্তর কাজ করেছি। তথ্য প্রকাশের মধ্য দিয়ে প্রার্থীদের আমরা ভোটারদের মুখোমুখি করেছি।
তিনি বলেন, আদালতের নির্দেশ আছে হলফনামার তথ্যগুলো পাওয়া নাগরিকের অধিকার। বাকস্বাধীনতার মতো মৌলিক অধিকার এটি। জনগণের ক্ষমতায়নের জন্য আমরা ২০০২ সাল থেকে লড়াই করে আসছি। আদালতের রায় আছে, এ তথ্যগুলো প্রকাশ না হলে নির্বাচন সুষ্ঠু না হওয়ার আশঙ্কা আছে। সিইসি তার অবস্থানটাই উপলব্ধি করার ক্ষমতা রাখেননি। এ কারণেই এমন মন্তব্য করেছেন।
ড. বদিউল আলম মজুমদার বলেন, এই কমিশনের আরেকটা ব্যর্থতা হচ্ছে, তারা ইভিএমের জন্য নির্দিষ্ট একটি যন্ত্র ব্যবহার করেছে। এর মাধ্যমে ডিজিটাল জালিয়াতির সুযোগ করে দিয়েছে। জাতিকে বড় মূল্য দিতে হবে সিইসির ব্যর্থতায়। তার জালিয়াতি চোখে আঙুল দিয়ে দেখিয়েছি। এ কারণেই সিইসির গাত্রদাহ। সিইসির সঙ্গে আমার কোনো ব্যক্তিগত রেষারেষি নেই। নূরুল হুদা নির্বাচন ব্যবস্থাকে ধ্বংস করে দিয়ে জাতির বড় ক্ষতি করে গেলেন, এটিই আমাদের সমালোচনার বিষয়।