দূষিত বাতাসের শহরের শীর্ষে ঢাকা
নিজস্ব প্রতিবেদক
প্রকাশ: ০৯:০৭ পিএম, ১০ ফেব্রুয়ারী,বৃহস্পতিবার,২০২২ | আপডেট: ০৯:০০ এএম, ১৫ ডিসেম্বর,রবিবার,২০২৪
বিশ্বের অন্যতম ঘনবসতিপূর্ণ নগর বাংলাদেশের রাজধানী ঢাকা। জনসংখ্যার পাশাপাশি দূষণেও এগিয়ে জনবহুল এ নগরী।
আজ বৃহস্পতিবার বিশ্বের সবচেয়ে দূষিত বায়ু মানের তালিকায় শীর্ষে রয়েছে। সকাল ১১টা ১৫ মিনিটে ঢাকার এয়ার কোয়ালিটি ইনডেক্স (একিউআই) রেকর্ড করা হয়েছে ২৭৫। যা ‘অত্যন্ত অস্বাস্থ্যকর’ বলে বিবেচনা করা হয়। একই সময়ে কাজাখস্তানের নুর-সুলতান ও পাকিস্তানের লাহোর যথাক্রমে ২৩৩ এবং ২০৭ এর স্কোর নিয়ে দ্বিতীয় ও তৃতীয় অবস্থানে রয়েছে। একিউআই স্কোর ২০১ থেকে ৩০০ হলে স্বাস্থ্য সতর্কতাসহ তা জরুরি অবস্থা হিসেবে বিবেচিত হয়। এ অবস্থায় শিশু, প্রবীণ ও অসুস্থ রোগীদের বাড়ির ভেতরে এবং অন্যদের বাড়ির বাইরের কার্যক্রম সীমাবদ্ধ রাখার পরামর্শ দেওয়া হয়ে থাকে। প্রতিদিনের বাতাসের মান নিয়ে তৈরি করা একিউআই সূচক একটি নির্দিষ্ট শহরের বাতাস কতটুকু নির্মল বা দূষিত সে সম্পর্কে মানুষকে তথ্য দেয় এবং তাদের জন্য কোনো ধরনের স্বাস্থ্য ঝুঁকি তৈরি হতে পারে তা জানায়। বাংলাদেশে একিউআই নির্ধারণ করা হয় দূষণের পাঁচটি ধরনকে ভিত্তি করে।
এগুলো হলো—বস্তুকণা (পিএম১০ ও পিএম২.৫), এনও২, সিও, এসও২ এবং ওজোন (ও৩)। ঢাকা দীর্ঘদিন ধরে বায়ু দূষণে ভুগছে। এর বাতাসের গুণমান সাধারণত শীতকালে অস্বাস্থ্যকর হয়ে যায় এবং বর্ষাকালে কিছুটা উন্নত হয়। ২০১৯ সালের মার্চ মাসে পরিবেশ অধিদপ্তর ও বিশ্বব্যাংকের একটি প্রতিবেদনে উল্লেখ করা হয়, ঢাকার বায়ু দূষণের তিনটি প্রধান উৎস হলো, ইটভাটা, যানবাহনের ধোঁয়া ও নির্মাণ সাইটের ধুলা। জাতিসংঘের তথ্য অনুযায়ী, বিশ্বব্যাপী প্রতি ১০ জনের মধ্যে নয় জন দূষিত বাতাসে শ্বাস নেন। এবং বায়ু দূষণের কারণে প্রতি বছর প্রধানত নিম্ন ও মধ্য আয়ের দেশে আনুমানিক ৭০ লাখ মানুষের অকাল মৃত্যু ঘটে।