পানির দাম ন্যূনতম ২০ শতাংশ বাড়ানোর প্রস্তাব ওয়াসার
নিজস্ব প্রতিবেদক
প্রকাশ: ০৪:২৫ পিএম, ৯ ফেব্রুয়ারী,
বুধবার,২০২২ | আপডেট: ০৯:০৪ পিএম, ১৯ ডিসেম্বর,বৃহস্পতিবার,২০২৪
পানির দাম ন্যূনতম ২০ শতাংশ বাড়ানোর প্রস্তাব করা হয়েছে বলে জানিয়েছেন ঢাকা ওয়াসার ব্যবস্থাপনা পরিচালক (এমডি) তাকসিম এ খান।
আজ বুধবার (৯ ফেব্রুয়ারি) ওয়াসা ভবনের বুড়িগঙ্গা হলে সাংবাদিকদের সঙ্গে মতবিনিময়কালে এসব কথা বলেন তিনি।
তিনি বলেন, ‘যদি সরকার এরচেয়েও বেশি বাড়াতে চায় সেক্ষেত্রে ওয়াসার কোনো আপত্তি নেই। বর্তমানে আবাসিক ক্ষেত্রে প্রতি এক হাজার লিটার পানি সাধারণ মানুষকে ১৫ টাকা ১৮ পয়সায় কিনতে হচ্ছে। তবে এটার উৎপাদন খরচ প্রায় ২৫ টাকা। বর্তমানে ভর্তুকি দিয়ে পানি বিক্রি করছি।’
ঢাকা ওয়াসার এমডি বলেন, ‘আমাদের বোর্ড সভায় আমরা সর্বোচ্চ ৫ শতাংশ পানির দাম বাড়াতে পারি। আমরা চাই স্বয়ংসম্পূর্ণ হতে। তাই উৎপাদন খরচের সঙ্গে সমন্বয় করতে আমরা সর্বনিম্ন ২০ শতাংশ থেকে শুরু করে আরও বেশি শতাংশ পানির দাম বাড়ানোর প্রস্তাব করেছি। এতে করে সরকারের ভর্তুকি কমে আসবে।’
তিনি আরও বলেন, ‘সরকার কত শতাংশ পানির দাম বাড়াবে, আর কত ভর্তুকি দেবে সেটা সরকারের বিষয়। সরকার যা নির্ধারণ করবে আমরা সেই অনুযায়ী মূল্য নির্ধারণ করব। এ বিষয়ে অনুমোদন হলে আগামী ১ জুলাই থেকে পানির নতুন দাম কার্যকর হবে।’
এর আগে, গত ৭ ফেব্রুয়ারি ওয়াসার বোর্ড সভায় পানির দাম বাড়ানোর প্রস্তাব করেছে ঢাকা ওয়াসা। এবারও আরেক দফায় পানির দাম বাড়ানোর প্রস্তাব করা হয়েছে। কিন্তু বোর্ড সভায় ১৩ সদস্যদের বেশিরভাগই করোনাকালীন সময়ে পানির দাম বাড়ানোর প্রস্তাবের বিরোধিতা করেন।
বর্তমানে আবাসিক ক্ষেত্রে প্রতি এক হাজার লিটার দাম পড়ছে ১৫ টাকা ১৮ পয়সা। এটাকে বাড়িয়ে ২১ টাকা ২৫ পয়সা করার প্রস্তাব করা হয়েছে ওয়াসার বোর্ড সভায়। এছাড়া বাণিজ্যিক সংযোগের ক্ষেত্রে প্রতি এক হাজার লিটার পানির বর্তমান দাম ৪২ টাকা চলছে, এটার দাম বাড়িয়ে ৫৮ দশমিক ৮ টাকা করার প্রস্তাব করা হয়েছে সভায়।
উল্লেখ্য, গত দুই বছরে দুবার আবাসিক ও বাণিজ্যিক পর্যায়ে পানির দাম বাড়িয়েছিল ঢাকা ওয়াসা। এছাড়া ২০০৯ সালের পর থেকে এ পর্যন্ত মোট ১৪ বার ওয়াসার পানির দাম বাড়ানো হয়েছে।