কাফনের কাপড় পরে অবস্থান রিং আইডির বিনিয়োগকারীদের
নিজস্ব প্রতিবেদক
প্রকাশ: ০৯:২০ পিএম, ৫ ফেব্রুয়ারী,শনিবার,২০২২ | আপডেট: ০৪:২৬ পিএম, ১৯ ডিসেম্বর,বৃহস্পতিবার,২০২৪
বিনিয়োগ করা টাকা ফেরত চেয়ে কাফনের কাপড় পরে অবস্থান করছে রিং আইডির গ্রাহক ও বিনিয়োগকারীরা।
আজ শনিবার জাতীয় প্রেসক্লাবের সামনের অবস্থান করছেন তারা।
বিনিয়োগকারীরা বলছেন- রিং আইডির সব কার্যক্রম পুনরায় সচল করে দেয়া হোক। রিং আইডির কার্যক্রম বন্ধ হওয়ায় ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছেন সাধারণ গ্রাহক, এজেন্ট ও কমিউনিটি জব প্যাকেজে বিনিয়োগকারীরা। তাদের সঙ্গে কথা বলে জানা যায়, রিং আইডি তাদের গ্রাহকদের সিলভার আইডি, গোল্ড আইডি, প্রবাসী গোল্ড আইডি ও প্রবাসী প্লাটিনাম আইডি খুলতে উদ্বুদ্ধ করতেন। এসব আইডি খুলতে গ্রাহকদের প্রতিষ্ঠানটিতে ১২ থেকে ৫০ হাজার টাকা বিনিয়োগ করতে হতো। পরিচয়পত্রধারীরা ভিপিএনের মাধ্যমে প্রতিদিন নির্দিষ্ট সংখ্যক বিদেশি বিজ্ঞাপন দেখতেন, তার বিনিময়ে লাভ পেতেন। তা ছাড়া অস্বাভাবিক ছাড়ে পণ্যও বিক্রি করছিল রিং আইডি। অনশনে বরিশাল থেকে এসেছেন ২৮ বছর বয়সী নুরুল ইসলাম। তিনি গেল বছরের মার্চে রিং আইডিতে ২ লাখ টাকা বিনিয়োগ করেন।
তিনি বলেন, ব্যাংকে আমাদের যে টাকা জব্দ আছে তা আমরা ফেরত চাই। আমরা টাকা বিনিয়োগ করেছি, টাকাটা দেশেই আছে বলে জেনেছি। বাংলাদেশ ব্যাংক টাকাটা ফ্রিজ করে রেখেছে বলে টাকাটা রিং আইডি আমাদের দিতে পারছে না। এদিকে আমরা আরও ঋণগ্রস্ত হচ্ছি।
গেল মার্চ ও মে মাসে ৪ লাখ ৯০ টাকা বিনিয়োগ করেছেন গাজীপুরে একটি বেসরকারি প্রতিষ্ঠানের কর্মী মো. স্বপন। রিং আইডিতে বিজ্ঞাপন দেখে তিন লাখ টাকা পেয়েছেন। ১ লাখ ৯০ হাজার টাকা বাকি আছে। এ টাকা ৪ মাস ধরে তুলতে পারছেন না স্বপন। তিনি বলেন, ঋণ করে আমি বিনিয়োগ করেছিলাম। এখন ঋণ দিতে না পেরে আমি বিপদে আছি। বিনিয়োগকারীরা বলছেন, ২ লাখ গ্রাহক বা বিনিয়োগকারীরা এই রিং আইডিতে বিনিয়োগ করেছেন। দাবি আদায় না হওয়া পর্যন্ত তারা অবস্থান কর্মসূচি চালিয়ে যাবে। নোয়াখালী থেকে এসেছেন সুমন রানা।
তিনি বলেন, করোনার মধ্যে চাকরি চলে যায় তখন বিজ্ঞাপন দেখে ২ লাখ টাকা ধার করেন এবং নিজের কাছে থাকা ২ লাখ ৮০ হাজার টাকা বিকাশের মধ্যেমে রিং আইডিতে দেই পরবর্তীতে ২ লাখ টাকা উঠাতে পারি। তবে বাকি টাকা উঠাতে পারি নাই। তিনি বলেন, রিং আইডি ফ্রিজ হওয়ার কারণে বাকি টাকা উত্তোলন করতে পারছি না। তাই রিং আইডি খুলে দেয়ার দাবি জানাচ্ছি অন্যথায় আমাদের টাকা ফেরৎ দেয়া হোক।