বাংলাদেশে অংশীদারিত্বমূলক নির্বাচন চায় ইইউ
নিজস্ব প্রতিবেদক
প্রকাশ: ০১:৪৮ পিএম, ২৭ জানুয়ারী,বৃহস্পতিবার,২০২২ | আপডেট: ১২:২৬ এএম, ২১ ডিসেম্বর,শনিবার,২০২৪
বাংলাদেশে নিযুক্ত ইউরোপীয় ইউনিয়নের (ইইউ) রাষ্ট্রদূত চার্লস হোয়াইটলি বলেছেন, বাংলাদেশে অনুষ্ঠিতব্য আগামী জাতীয় সংসদ নির্বাচন নিয়ে আমরা বিভিন্ন দিক পর্যবেক্ষণ করছি। কিভাবে এই নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে, নির্বাচন কমিশন গঠন হবে। তবে নির্বাচনে বিদেশি পর্যবেক্ষককে ইতিবাচক হিসেবে দেখছে ইইউ। ইইউ চায় বাংলাদেশে অংশীদারিত্বমূলক নির্বাচন অনুষ্ঠিত হোক।
আজ বৃহস্পতিবার (২৭ জানুয়ারি) সকালে রাজধানীর সেগুন বাগিচায় ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটি (ডিআরইউ)তে মিট দ্য প্রেস অনুষ্ঠানে সাংবাদিকদের বিভিন্ন প্রশ্নের জবাবে ইইউ রাষ্ট্রদূত এসব কথা বলেন।
রোহিঙ্গাদের বিষয়ে দৃষ্টি আকর্ষণ করা হলে ইইউ রাষ্ট্রদূত বলেন, রোহিঙ্গারা শান্তিপূর্ণভাবে নিজ দেশে ফিরে যাক সেটা নিয়ে আমরা কাজ করছি। আশা করি, একটি সমাধান আসবে। তবে বাংলাদেশ যেভাবে এই মানুষগুলোর পাশে দাঁড়িয়েছে, তা অনন্য।
জাতিসংঘের শান্তিরক্ষা মিশন থেকে র্যাবকে বাদ দিতে ইউরোপীয় ইউনিয়নের একজন এমপির চিঠি দেয়ার বিষয়ে তিনি বলেন, এটি তার ব্যক্তিগত ব্যাপার। এর সাথে ইইউ’র কোন সম্পর্ক নেই। তিনি আরও বলেন, একজন ব্যক্তির অবশ্যই ব্যক্তিগত মত প্রকাশের অধিকার রয়েছে। আমি মনে করি এটিও তাই।
এসময় ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটির সভাপতি নজরুল ইসলাম মিঠু, সাধারণ সম্পাদক নুরুল ইসলাম হাসিবসহ কার্যনির্বাহী কমিটির সদস্যরা উপস্থিত ছিলেন।
এর আগে ২০১৮ সালের ডিসেম্বরে অনুষ্ঠিত নির্বাচনে জয় লাভ করে ২০১৯ সালের ৭ জানুয়ারি ক্ষমতাসীন দল আওয়ামী লীগ তৃতীয় মেয়াদে সরকার গঠন করে। এর আগে ২০১৪ সালের ৫ জানুয়ারি অনুষ্ঠিত হয়েছিল জাতীয় নির্বাচন। পর পর দুটি জাতীয় নির্বাচন একতরফা হওয়ায় আগামী জাতীয় নির্বাচন কেমন হবে সেটি এখন গুরুত্বপূর্ণ হয়ে উঠছে।
বাংলাদেশে চলমান স্থানীয় নির্বাচনেও জাতীয় নির্বাচনের প্রভাব লক্ষ্য করা গেছে। বিরোধীদের ভোট বর্জন চলছে। বিনা প্রতিদ্বন্দ্বীতায় নির্বাচিত হবার হারও বেশি। আর উপনির্বাচনসহ অনেক ক্ষেত্রে ভোটার উপস্থিতিও কমে গেছে উল্লেখযোগ্য হারে।
এ বাস্তবতায় বাংলাদেশে আগামী জাতীয় নির্বাচনের আগে এ বছরটি হবে ঘটনাবহুল বলে মনে করা হচ্ছে। নির্বাচনের প্রক্রিয়া থেকে শুরু করে প্রস্তুতি এবং সরকারি ও বিরোধী রাজনৈতিক দলের জন্য গুরুত্বপূর্ণ বছর।
বাংলাদেশের নির্বাচনের গ্রহণযোগ্যতা পেতে বড় নিয়ামক হবে যুক্তরাষ্ট্র তথা পশ্চিমা বিশ্বের সমর্থন। এরই মধ্যে বাংলাদেশকে ঘিরে যুক্তরাষ্ট্র বেশকিছু পদক্ষেপ নিয়েছে। বাইডেন প্রশাসনের চিন্তুা-ভাবনা কী সেটি নিয়ে আগ্রহ তৈরি হয়েছে।