রক্ষীবাহিনী আর রাষ্ট্রপতির সার্চ কমিটি দুটো একই : মান্না
নিজস্ব প্রতিবেদক
প্রকাশ: ১০:২০ পিএম, ১৯ জানুয়ারী,
বুধবার,২০২২ | আপডেট: ০৫:৩৮ পিএম, ২০ ডিসেম্বর,শুক্রবার,২০২৪
আগে ছিল রক্ষীবাহিনী, এখন হচ্ছে রাষ্ট্রপতির সার্চ কমিটি দুটো একই বলে মন্তব্য করেছেন নাগরিক ঐক্যের আহবায়ক মাহমুদুর রহমান মান্না। তিনি বলেন, র্যাব ও পুলিশের মত বাহিনী গতকাল কলঙ্কিত হয়েছে শুধুমাত্র সরকারের কারণে। এই দেশে প্রশাসন নেই এই দেশের পুলিশ জনগণের কথা শুনেনা। অতএব এই দেশকে রক্ষা করতে হলে আমাদেরকেই এগিয়ে আসতে হবে।
আজ বুধবার (১৯ জানুয়ারি) ঢাকা রিপোটার্স ইউনিটিতে নসরুল হামিদ মিলনায়তনে নাগরিক ঐক্যের আয়োজিত ‘গুম হওয়া পরিবারের ওপর সরকারি নিপীড়নের বিরুদ্ধে রুখে দাঁড়ান’ প্রতিবাদ সভায় তিনি একথা বলেছেন।
দেশের চলমান নির্বাচন ব্যবস্থা সম্পর্কে মান্না বলেন, আমি প্রধানমন্ত্রীকে অসম্মান করছি না। আমি তার কাজটাকে অসম্মান করছি। এখন আবার নতুন করে আইন পাস করা হচ্ছে। ইতিমধ্যে তা মন্ত্রিসভায় পাসও হয়ে গেছে। এটা সম্পর্কে না সাধারণ মানুষ জানে, না সংসদ সদস্যরা জানে! আমি মনে করি তারা হয়তো কাউকে বোঝাতে চাচ্ছে আমরা বেআইনি কিছু করছি না আইন পাস করে সঠিক কাজ করছি। আগে ছিল রক্ষী বাহিনী, এখন হচ্ছে রাষ্ট্রপতির সার্চ কমিটি দুটো একই।
তিনি আরো বলেন, সমস্ত ভোট ইভিএমে করবেন ওই ধান্ধা ছেড়ে দেন। এটার গ্যারান্টি কি যে, একটাতে ভোট দিলে আরেকটাতে যাবে না! ইভিএমের গ্রহণযোগ্যতা আগেও ছিল না, এখনো নেই।
গুম হওয়া পরিবারের ওপর সরকারি নিপীড়নের ব্যাপারে মান্না বলেন, এরা হারিয়ে যায়নি বা কোনো কারণে দূরে সরে যায়নি। সরকারের রোশানলে পড়ে তাদের হারিয়ে যেতে হয়েছে। জানতেও পারি না মানুষটা বেঁচে আছে নাকি মরে গেছে। এ দেশে প্রসাশন নেই, বিচার নেই, শাসন নেই।
আইনশৃঙ্খলা বাহিনীও এসব দায়ভার নিতে চায় না। বঙ্গবন্ধু স্বাধীনতা যুদ্ধ করে যে বাংলাদেশ আমাদের দিয়েছিল সেই দেশ এখন আর নেই। বর্তমানে মানুষ কোনো বিপদে পড়লে তারা প্রথমে থানায় যাবে কিন্তু সেখানে মামলা নেয়া তো দূরের কথা একটা জিডি পর্যন্ত ভুক্তভোগীর পরিবারের কেউ করতে পারে না।
তিনি বলেন, কতগুলো মানুষ গুম হয়েছে এর বেশিরভাগ জিডি এখন সরকারের কাছে নেই, কোনো থানায় লিপিবদ্ধ নেই। এই গুলো কি পরিকল্পিতভাবে করছে না। সরকার সন্ত্রাস দমনের নামে একচেটিয়া রাজনৈতিক নেতাদের হত্যা করেছে। পাশাপাশি মাদক বিরোধী আন্দোলনের নামে বহু বিরোধী দলের নেতাদের আটক করে গুম ও হত্যা করেছে। এই সরকার আমাদের আবার পরাধীনতার শৃঙ্খলে আবদ্ধ করে ফেলেছে।
তিনি আরো বলেন, শুধু দেশেই নয় আন্তর্জাতিক মহলেও এই সরকারের বিরুদ্ধে অনেক পদক্ষেপ ইতিমধ্যে নিয়েছে আন্তর্জাতিক মহল। এই জন্য আন্তর্জাতিকে তাদের অপকর্ম ঢাকার জন্য সরকার লবিস্ট নিয়োগ করছে। অর্থাৎ দেশের টাকা বিদেশে পাঠাবার নতুন ফন্দি করছে।
গণফোরামের সাধারণ সম্পাদক সুব্রত চৌধুরী বলেন, র্যাব-পুলিশ যারা এই গুমের সাথে যুক্ত এদেশে তাদের বিচার করা যাবে না। আমাদের কোনো বিচারকও এসব ব্যাপারে কোনো হস্তক্ষেপ করে না। হত্যাকান্ড নিয়ে কথা বলে না। নাগরিক ঐক্যের সাধারণ সম্পাদক শহিদুল্লা কায়সারের সঞ্চালনায় অনুষ্ঠানে আরো উপস্থিত ছিলেন নাগরিক ঐক্যের প্রধান উপদেষ্টা এস এম আকরাম, বিশিষ্ট সাংবাদিক এম এইচ মামুন প্রমুখ।