বিয়ের কার্ডের রহস্য ফাঁস করলেন দীঘি
নিজস্ব প্রতিবেদক
প্রকাশ: ১২:০৯ পিএম, ৮ জুলাই,সোমবার,২০২৪ | আপডেট: ০৫:০৭ এএম, ১১ ডিসেম্বর,
বুধবার,২০২৪
পেশাগত ও ব্যক্তিগত জীবনের অনেক কিছুই সামাজিক মাধ্যমে প্রকাশ করেন প্রার্থনা ফারদিন দীঘি। অনুসারীরাও লুফে নেন সেসব। প্রিয় তারকার আনন্দে আনন্দিত হন, দুঃখে হন সমব্যথী। সম্প্রতি নিজের ফেসবুকে বিয়ের কার্ড প্রকাশ করে অনুসারীদের চমকে দেন এ অভিনেত্রী।
কয়েকদিন আগে নিজের সোশ্যাল হ্যান্ডেলে একটি ছবি প্রকাশ করেন দীঘি। সেখানে দেখা যায় একটি বিয়ের কার্ড। যার একাংশে শোভা পাচ্ছে দীঘির একটি ছবি। লেহেঙ্গা পরে হাসছেন অভিনেত্রী। অনামিকায় শোভা পাচ্ছে এনগেজমেন্ট রিং! ক্যাপশনে লিখেছিলেন, ‘আর অপেক্ষা করতে পারছি না। সবকিছুর জন্য আলহামদুলিল্লাহ।’
তা দেখে রীতিমতো চাঞ্চল্য তৈরি হয় নেটাগরিকদের মধ্যে। তবে কি বিয়ে করছেন দীঘি? নিজেদের মধ্যে ফিসফাস করছিলেন তারা। আবার অনেকের মতে বিষয়টি গভীরভাবে নেওয়ার কিছু নেই। এটি নতুন কোনো কাজের প্রচারণা কৌশল ছাড়া কিছু নয়।
আন্দাজ সত্য হলো। সামাজিক মাধ্যমে তা পরিষ্কার করেছেন দীঘি। নিজের ফেসবুকে বিয়ের কার্ডের রহস্য ফাঁস করেন গতকাল শনিবার দিবাগত রাতে। একটি ভিডিও শেয়ার করে অভিনেত্রী লিখেছেন, ‘বিয়েটা কিন্তু প্রিয়ন্তীর। আর যারা যারা আমার বিয়ে ভেবে অনেক বেশি এক্সসাইটেড ছিলেন তাদের জন্য অল্প একটু সমবেদনা।’
ওই ভিডিওটি প্রকাশ করা হয়েছে একটি ওটিটি মাধ্যমের ফেসবুক পেজ থেকে। সেখানে ক্যাপশনে লেখা হয়েছে, ‘কী আসছে? কবে আসছে? যা-ই আসুক যখনই আসুক! আপনার উপস্থিতি আমাদের একান্ত কাম্য।’
ভিডিওটিতে দেখা গেছে, বিয়ের পোশাকে দীঘি। যেখানে লেখা, ‘জনাব/জনাবা, অসংখ্য ক্যাজুয়াল/ অনলাইন/ নন এক্সক্লুসিভ ডেটিং, সিচুয়েশনশিপ, বেঞ্চিং ইত্যাদির পর অবশেষে আমাদের কন্যা প্রিয়ন্তী বিবাহের জন্য রাজি হয়েছে। উক্ত অনুষ্ঠানে আপনি আর আপনার সপরিবার/সবান্ধব ডিজিটাল উপস্থিতি আমাদের একান্ত কাম্য। অনুষ্ঠানসূচী দ্রুত জানিয়ে দেওয়া হবে। ভেন্যু https://www.chorki.com/’
তবে কিছু প্রশ্নের উত্তর অজানা রয়ে গেছে। ওয়েব কনটেন্টের নাম ও পরিচালকের নাম এখনও জানা যায়নি। সেইসঙ্গে জানা যায়নি এর সঙ্গে সম্পৃক্ত অন্যান্য অভিনয়শিল্পী সম্পর্কে।
দীঘিকে সবশেষ দেখা গেছে ‘শ্রাবণ জ্যোৎস্নায়’ সিনেমায়। এতে দীঘি ছাড়াও অভিনয় করেছেন গাজী আব্দুন নূর, সুব্রত বড়ুয়া, মিলি বাশার, সাদিয়া শিমুল প্রমুখ। জনপ্রিয় কথাসাহিত্যিক ইমদাদুল হক মিলনের ‘শ্রাবণ জ্যোৎস্নায়’ উপন্যাস অবলম্বনে এটি নির্মাণ করেন আব্দুস সামাদ খোকন।