বুবলীর প্রতিটি বক্তব্যই হাস্যকর : অপু
ডেস্ক রিপোর্ট
প্রকাশ: ০৮:১১ এএম, ২৬ নভেম্বর,শনিবার,২০২২ | আপডেট: ০৫:১৮ এএম, ১৩ ডিসেম্বর,শুক্রবার,২০২৪
সম্প্রতি ‘ডায়মন্ডের নাকফুল’কে কেন্দ্র করে বাক্যুদ্ধে মেতেছেন অপু-ববুলী। যা বুবলীর জন্মদিনের উপহার হিসেবে ‘স্বামী’ শাকিব খানের পক্ষ থেকে পেয়েছেন বলে দাবি করেছেন। তবে বিষয়টি অস্বীকার করেছেন শাকিব। শুধু তাই নয়, এক সাক্ষাৎকারে শাকিব দাবি করেছেন, অপু-বুবলী এখন তার জীবনে অতীত। সম্প্রতি এক সাক্ষাৎকারে এ বিষয়টি নিয়ে কথা বলেছেন অপু।
বুবলী বলেছেন, ‘আমাদের মধ্যে তৃতীয় একজন হঠাৎ করেই ঢুকে গেছেন।’ সেই তৃতীয় পক্ষ কে জানতে চাইলে অপু বলেন, ‘তিনি কি সরাসরি আমার নাম বলেছেন? যা–ই হোক, এসব শুনে আমার হাসি পাচ্ছে। কে তৃতীয় পক্ষ, কে প্রথম পক্ষ, আরেকটু পরিষ্কার করা দরকার ছিল। তার প্রতিটি বক্তব্যই আমার কাছে হাস্যকর মনে হয়। দেখুন, এসবের কারণে সাধারণ মানুষ আমাদের নিয়ে কী ভাববেন?’
তিনি বলেন, ‘আমাদের অভিনয় মানুষ পছন্দ করেন। আমাদের ভালোবাসেন। রাজ্জাক, কবরী, জাফর ইকবাল, সালমান শাহ, শাবনূরসহ অনেকেই আমার পছন্দের তারকা। তারাও তো এই ইন্ডাস্ট্রিতে কাজ করেছেন। কিন্তু কোনো বিষয় নিয়ে তাদের তো এত টানাহেঁচড়া দেখিনি। এখন এই ইন্ডাস্ট্রি কেমন যেন হয়ে গেছে। এভাবে চলতে থাকলে আমাদের প্রতি মানুষের শ্রদ্ধা, ভালোবাসার জায়গা উঠে যাবে।’
অপু আরও বলেন, ‘শাকিবের সঙ্গে আমার ব্যাপারটা বাদ দিলাম। সেটা সবাই জানেন। কিন্তু এই বক্তব্যের পরও তিনি (বুবলী) এত জাহির করছেন কেন? শাকিব খান সব তো ক্লিয়ার করেই দিয়েছেন। বিষয়টি হয়ে গেছে ‘গাঁয়ে মানে না আপনি মোড়ল’ অবস্থা।’
এই অভিনেত্রী বলেন, ‘আমি কোনো মিথ্যাচার করছি না। আর আমার সঙ্গে এটি যায়ও না। আমি একজন মানুষ, আমি একজন অভিনেত্রী-এসব দিয়েই আমার ব্যক্তিত্ব প্রকাশ করি। কোনো মনগড়া কথা বলে সেই ব্যক্তিত্ব আমি নষ্ট করব না। অন্যের মতো উদ্ভট কথাবার্তা, উদ্ভট মন্তব্য আমার মুখে মানায় না।’
লাল শাড়ি ছবির শুটিংয়ের বিষয়ে অপু বলেন, ‘আগে যেমন শুটিংয়ে গেছি, প্যাকআপ বলেছে, গাড়িতে উঠে চলে এসেছি, এবার তো সেটি করতে পারিনি। সব আমাকেই সামলাতে হয়েছে। একদিকে সেট সামলানো, অন্যদিকে ছবিতে নিজের চরিত্রে অভিনয়-সব মিলিয়ে কিছুটা ধকল তো গেছেই। নতুনত্ব এটুকুই ছিল। বাকিটা তো আগের অভিজ্ঞতাই। শুটিংয়ে সহশিল্পী, কলাকুশলীরা এত বেশি সহযোগিতা করেছেন, আমি বিন্দু পরিমাণ সমস্যা টের পাইনি। আমি নিজেও সিনেমার একজন কর্মী। একজন শিল্পী শুটিংয়ে সারা দিন পরিশ্রম করেন, তার জন্য পারিশ্রমিকটা বড়।
তিনি বলেন, ‘ছবিটির ১৮ দিনের আউটডোর ছিল। শিল্পী-কলাকুশলীদের ১৫ দিনের পারিশ্রমিক আগেই দিয়েছি। এতে করে নিজের ভালো লাগা যেমন ছিল, শিল্পীরাও আনন্দ নিয়ে কাজ করেছেন। ছবিটির বেশির ভাগ কাজ শেষ হয়েছে। আশা করছি, আর চার দিনের শুটিং করলে শেষ হবে।’
‘একটি ছবির পোস্ট প্রোডাকশনের কাজ বেশি গুরুত্বপূর্ণ। শিগগিরই সম্পাদনার কাজ শুরু হবে। যেহেতু আমার প্রথম প্রযোজিত ছবি,তাই একটু ভালো দিনক্ষণ দেখেই মুক্তি দিতে চাই। তবে এ বছর নয়, আগামী বছর,’ যোগ করেন অপু।