আমি আর জীবনে রবীন্দ্র-নজরুল সংগীত গাইবো না : হিরো আলম
ডেস্ক রিপোর্ট
প্রকাশ: ১০:৪৯ এএম, ২৭ জুলাই,
বুধবার,২০২২ | আপডেট: ০৭:১৫ এএম, ২২ ডিসেম্বর,রবিবার,২০২৪
রবীন্দ্রসংগীতসহ বিভিন্ন গান মিউজিক ভিডিও আকারে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে বিকৃতভাবে উপস্থাপনের অভিযোগে আলোচিত আশরাফুল আলম সাঈদ ওরফে হিরো আলমকে জিজ্ঞাবাসাদ করেছে ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশ (ডিএমপি)। সেখানে আর কখনো অনুমতি ছাড়া পুলিশের পোশাক, বিকৃত করে রবীন্দ্র ও নজরুল সংগীত গাইবেন না মর্মে পুলিশে মুচলেকা দিয়েছেন তিনি। সেইসঙ্গে বিগত সব কর্মকাণ্ডের জন্য ক্ষমাও চান হিরো আলম।
এর আগে আজ বুধবার সকালে মিন্টো রোডে ডিবি কার্যালয়ে উপস্থিত হন হিরো আলম। সেখানে বিভিন্ন বিষয়ে তাকে জিজ্ঞাসাবাদ করা হয়। ডিএমপি’র অতিরিক্ত কমিশনার (ডিবি) হারুন-অর-রশিদ বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
এর আগে গত বৃহস্পতিবার আশরাফুল আলম ওরফে হিরো আলমকে আইনি নোটিশ পাঠিয়েছেন সুপ্রিম কোর্টের আইনজীবী খন্দকার হাসান শাহরিয়ার। নোটিশে বলা হয়, সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে প্রচারিত হিরো আলমের মিউজিক ভিডিও ‘আমারো পরানো যাহা চায়’, ‘আমি শুনেছি সেদিন তুমি’, মোগোয়া জাগোমম্বে’ গানসহ নানা মিউজিক ভিডিও নির্মাণের নামে বিকৃতভাবে উপস্থাপন করা হচ্ছে।
এ ছাড়াও বিকৃত ও অশুদ্ধ বাংলা শব্দ উচ্চারণ, অশ্লীল অঙ্গভঙ্গি ও নগ্ন বা অর্ধনগ্ন নৃত্য পরিবেশন এবং অশালীন পোশাক পরিহিত দৃশ্য ধারণ প্রচার করে দেশের মানক্ষুণ্ন করা হচ্ছে। সেসব অভিযোগের পরিপ্রেক্ষিতে আজ বুধবার ডিবি কার্যালয়ে জিজ্ঞাসাবাদে জন্য ডাকা হয় হিরো আলমকে।
ডিএমপি’র মিডিয়া অ্যান্ড পাবলিক রিলেশন্স বিভাগের সম্মেলন কক্ষে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে হারুন-অর-রশিদ বলেন,‘হিরো আলমের কথা আর কি বলব! পুলিশের যে ড্রেস, যে পেটার্ন, ডিআইজি, এসপি’র যে ড্রেস তা না পরে কনস্টেবলের ড্রেস পরে ডিআইজি, এসপি’র অভিনয় করছেন তিনি। ডিএমপি’র কমিশনার শিল্পী সমিতিতে বলেছেন পুলিশের পোশাক পরে অভিনয় করতে হলে অনুমতি নিতে হবে। কিন্তু হিরো আলম শিল্পী সমিতির সদস্যও না। অথচ তিনি অনুমতি ছাড়া পুলিশের পোশাক পরছেন। কনস্টেবলের ড্রেস পরে এসপি ডিআইজির অভিনয় করছেন। এটা তিনি জানেনও না।’
তিনি বলেন, ‘বাংলাদেশের যে কৃষ্টি-কালচার রয়েছে আমরা গান গাই-শুনি, রবীন্দ্র-নজরুল সংগীত। কিন্তু হিরো আলম যেভাবে গান গায় তাতে এসব কৃষ্টি-কালচার পুরোটাই চেঞ্জ করে দিয়েছে। আমরা জিজ্ঞাসা করেছি, আপনি এসব কেন করেন?’ তখন হিরো আলম আমাদের বলেছেন, ‘আমি আর জীবনে এসব করব না। আমি আর পুলিশের পোশাক পরব না। কোনো ধরনের রবীন্দ্র-নজরুল সংগীত গাইব না।’
হিরো আলম জানান, অর্থ রোজগারের জন্যই মূলত বিভিন্ন ভাইরাল ইস্যু নিয়ে তিনি কন্টেন তৈরি করে থাকেন। আর গুণগত মানের চেয়ে বেশি ভিউ ও বেশি উপার্জনের জন্যই তিনি এটি করে থাকে।
জিজ্ঞাসাবাদে তিনি আরও জানান, বিভিন্ন বাহিনীর পোশাক, বিকৃত ও অশোভনভাবে উপস্থাপন করার বিষয়টি সম্পর্কে ঘাটতি থাকার কারণে এমনটি হয়েছে। ভবিষ্যতে এমন কর্মকাণ্ডের সঙ্গে নিজেকে আর জড়াবেন না তিনি।
জনমনে অসন্তোষ তৈরি হয় এমন কাজ থেকে আগামীতে বিরত থাকবেন বলেও জানান সমালোচিত এই তারকা। সেইসঙ্গে বিগত কর্মকাণ্ডের জন্য ক্ষমাও চান হিরো আলম।