মৃত্যুর গুজবে বিব্রত হানিফ সংকেত
ডেস্ক রিপোর্ট
প্রকাশ: ০১:৫৫ পিএম, ২৫ মে,
বুধবার,২০২২ | আপডেট: ১২:১১ পিএম, ২১ ডিসেম্বর,শনিবার,২০২৪
সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে স্বনামধন্য উপস্থাপক হানিফ সংকেতের মৃত্যুর গুজব রটেছে। তবে বিষয়টির কোনো সত্যতা নেই। এখন বেঁচে আছেন, সুস্থ এবং স্বাভাবিকও আছেন হানিফ সংকেত।
এ ব্যাপারে তার সঙ্গে যোগাযোগ করা হলে নিজের সুস্থতার কথা নিশ্চিত করে তিনি বলেন, আমি যদি মরেই যেতাম তাহলে আপনার সঙ্গে কথা বলছি কীভাবে? আমি মরিনি। বেঁচে আছি। হানিফ সংকেত তার মৃত্যুর গুজবে বেশ বিব্রত হয়েছেন।
হানিফ সংকেত বলেন, গুজবটি যারা ছড়াচ্ছেন তারা উদ্দেশ্যপ্রণোদিতভাবে কাজটি করছেন। এটা নিঃসন্দেহে অনৈতিক কাজ। এভাবে মানুষজনকে আতঙ্কের মাঝে ফেলার কোনো মানে হয় না। হানিফ সংকেত জানান, এরইমধ্যে তিনি আইনি পদক্ষেপ নিয়েছেন। পুলিশের সাইবার ক্রাইম বিভাগে অভিযোগ জানিয়েছেন।
বেশ কিছু ইউনিট কাজ করছে গুজব প্রচারকারীদের ধরার জন্য। তিনি বলেন, আমি পুলিশের সঙ্গে বিষয়টি নিয়ে কথা বলেছি। যারা গুজবটি ছড়িয়েছেন তাদের শনাক্ত করে যেন শাস্তি দেয়া হয়। দুদিন পরপর দেশের নানা অঙ্গনের মানুষকে নিয়ে এসব মিথ্যে খবর ছড়ানো হয়। এটা খুবই দুঃখজনক।
প্রসঙ্গত, ১৯৫৮ সালের ২৩ অক্টোবর বরিশালে জন্মগ্রহণ করেন হানিফ সংকেত। প্রয়াত ফজলে লোহানীর ‘যদি কিছু মনে না করেন’ ম্যাগাজিন অনুষ্ঠান দিয়ে তিনি খ্যাতি লাভ করেন। এরপর তিনি দেশের ইতিহাসে সর্বাধিক জনপ্রিয় ম্যাগাজিন অনুষ্ঠান ‘ইত্যাদি’ নিয়ে হাজির হন। এখনো তিনি স্যাটেলাইট চ্যানেলের রাজত্বেও ‘ইত্যাদি’ নিয়ে ম্যাগাজিন অনুষ্ঠানের উপস্থাপক হিসেবে রাজত্ব করে চলেছেন।
তার পরিচালিত ও উপস্থাপিত অনুষ্ঠান ইত্যাদিতে তিনি সামাজিক অসঙ্গতি, দুর্নীতিবিরোধী কার্যক্রম তুলে ধরেন। কিছুটা রম্যভাবে তিনি সমসাময়িক নিন্দিত ঘটনার বর্ণনা ও তার বিরোধিতা করে সামাজিক করণীয় তুলে ধরেন তিনি। হানিফ সংকেত নিজের কাজের ব্যাপারে খুব সচেতন একজন মানুষ। নাটক পরিচালনাতেও হানিফ সংকেত দেখিয়েছেন নির্মাণের মুন্সিয়ানা।
তার পরিচালিত জনপ্রিয় নাটকের মধ্যে ‘আয় ফিরে তোর প্রাণের বারান্দায়’, ‘দুর্ঘটনা’, ‘তোষামোদে খোশ আমোদে’, ‘কিংকর্তব্য’, ‘কুসুম কুসুম ভালোবাসা’, ‘শেষে এসে অবশেষে’ উল্লেখযোগ্য। চলচ্চিত্রেও অভিনয় করেছেন হানিফ সংকেত। বেশ কয়েকটি ব্যঙ্গ ও রম্য রচনা লিখেছেন তিনি।‘চৌচাপটে’, ‘এপিঠ ওপিঠ’, ‘ধন্যবাদ’, ‘অকাণ্ড কাণ্ড’, ‘খবরে প্রকাশ’, ‘ফুলের মতো পবিত্র... ’, ‘প্রতি ও ইতি’, ‘আটখানার পাটখানা’ অন্যতম।