ইভ্যালিকান্ডে তাহসান-মিথিলা-ফারিয়ার সংশ্লিষ্টতা পায়নি পুলিশ
নিজস্ব প্রতিবেদক
প্রকাশ: ১০:১৬ পিএম, ২ মার্চ,
বুধবার,২০২২ | আপডেট: ০৮:১৪ পিএম, ১৫ ডিসেম্বর,রবিবার,২০২৪
ই-কমার্স প্রতিষ্ঠান ইভ্যালির হয়ে প্রতারণামূলক কর্মকান্ডের অভিযোগে যে মামলা হয়েছে, তাতে তাহসান খান, রাফিয়াত রশিদ মিথিলা ও শবনম ফারিয়ার সংশ্লিষ্টতা পায়নি পুলিশ। সাক্ষ্যপ্রমাণে অভিযোগ প্রমাণিত না হওয়ায় তাদের অব্যাহতির আবেদন জানিয়ে অভিযোগপত্র (চার্জশিট) দিয়েছে ধানমন্ডি থানা পুলিশ। অপরদিকে ইভ্যালির এমডি মোহাম্মদ রাসেল ও তার স্ত্রী শামীমা নাসরিনের বিরুদ্ধে প্রতারণা এবং অর্থ আত্মসাতের অভিযোগ প্রমাণিত হওয়ায় তাদের অভিযুক্ত করে অভিযোগপত্র দেয়া হয়।
আজ বুধবার বিষয়টি নিশ্চিত করেন মামলার তদন্ত কর্মকর্তা ধানমন্ডি থানার উপ-পরিদর্শক (এসআই) রাজিব হাসান।
তিনি বলেন, ইভ্যালির হয়ে প্রতারণামূলক কর্মকান্ডে সহযোগিতা ও অর্থ আত্মসাতের অভিযোগে এক গ্রাহকের করা মামলায় সাক্ষ্যপ্রমাণে তাহসান, মিথিলা ও ফারিয়াসহ পাঁচজনের সংশ্লিষ্টতা পাওয়া যায়নি। তাই তাদের অব্যাহতির আবেদন জানিয়ে আদালতে চার্জশিট দাখিল করেছি। অপরদিকে ইভ্যালির এমডি মোহাম্মদ রাসেল ও তার স্ত্রী শামীমা নাসরিনের বিরুদ্ধে অভিযোগ প্রমাণিত হওয়ায় তাদের বিরুদ্ধে চার্জশিট দাখিল করেছি।
এর আগে গত বছরের ২১ নভেম্বর ঢাকার মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট দেবদাস চন্দ্র অধিকারীর আদালতে তাহসান, মিথিলা ও শবনম ফারিয়াসহ নয়জনের নামে মামলার আবেদন করেন সাদ স্যাম রহমান নামে ইভ্যালির এক গ্রাহক। আদালত বাদীর জবানবন্দি নিয়ে রাজধানীর ধানমন্ডি থানাকে মামলার অভিযোগটি এফআইআর হিসেবে গ্রহণের নির্দেশ দেন। এরপর গত বছরের ৪ ডিসেম্বর রাজধানীর ধানমন্ডি থানা মামলার অভিযোগটি এফআইআর হিসেবে নেয়।
মামলার অন্য আসামিরা হলেন- ইভ্যালির এমডি মোহাম্মদ রাসেল, তার স্ত্রী শামীমা নাসরিন, আকাশ, আরিফ, তাহের ও মো. আবু তাইশ কায়েস। সাদ স্যাম রহমান তার অভিযোগে উল্লেখ করেন, তাহসান, মিথিলা ও শবনম ফারিয়া ইভ্যালির বিভিন্ন দায়িত্বে ছিলেন। তাদের উপস্থিতি এবং তাদের বিভিন্ন প্রমোশনাল কথায় আস্থা রেখে বিনিয়োগ করেন তিনি। এ তারকাদের কারণে তিনি প্রতারিত হয়েছেন। ইভ্যালিতে অভিনেতা তাহসান খান শুভেচ্ছা দূত হিসেবে ছিলেন। আর মিথিলা ছিলেন প্রতিষ্ঠানটির ‘ফেস অব ইভ্যালি লাইফস্টাইল’ হিসেবে। প্রধান জনসংযোগ কর্মকর্তা ছিলেন শবনম ফারিয়া।