শুটিংয়ের কথা বলে জায়েদ খানের বিরুদ্ধে বাড়ি-ক্লিনিক দখলের অভিযোগ
ডেস্ক রিপোর্ট
প্রকাশ: ১০:১৩ পিএম, ১৩ ফেব্রুয়ারী,রবিবার,২০২২ | আপডেট: ০৭:১০ এএম, ১৮ ডিসেম্বর,
বুধবার,২০২৪
অন্তরজ্বালা সিনেমার শুটিংয়ের কথা বলে বাংলাদেশ চলচ্চিত্র শিল্পী সমিতির সাবেক সাধারণ সম্পাদক ও নায়ক জায়েদ খানের বিরুদ্ধে হিন্দু পরিবারের বাড়ি ও ক্লিনিক জবর দখলের অভিযোগ উঠেছে।
আজ রবিবার (১৩ ফেব্রুয়ারি) জাতীয় প্রেসক্লাবের সামনে আয়োজিত এক মানববন্ধন থেকে এ অভিযোগ জানান পিরোজপুরের সরকারি সোহরাওয়ার্দী কলেজের সাবেক উপাধ্যক্ষ গীতা রানী মজুমদার।
মানববন্ধনে লিখিত বক্তব্যে গীতা রানী বলেন, আমার স্বামী ডা. বিজয় কৃষ্ণ হাওলাদার পিরোজপুর জেলা সদরের মাছিমপুর বাইপাস সড়কের পাশে তার সারা জীবনের উপার্জিত অর্থ ও পরিশ্রম দ্বারা ৪০ শয্যা বিশিষ্ট সার্জিকেয়ার ক্লিনিক অ্যান্ড ডায়াগনস্টিক সেন্টার প্রতিষ্ঠা করে পরিচালনা করে আসছে। কিন্তু ভূমি দস্যু সন্ত্রাসী ও নারী নির্যাতনকারী জাতীয় পার্টির সাবেক নেতা ওবায়দুল হক পিন্টু, বাংলাদেশ চলচ্চিত্র শিল্পী সমিতির সাধারণ সম্পাদক জহিরুল হক মনু ওরফে জায়েদ খান ও শহীদুল হক মিন্টু ২০১৬ সালের ২১ মার্চ রাত আনুমানিক ২টার সময় আমাদের ভবনের ৫ম তলায় আমরা যেখানে থাকি, সেখানে অন্তরজ্বালা সিনেমা শুটিংয়ের কথা বলে জায়েদ খান ও তার ভাইয়েরা তাদের অস্ত্রধারী সন্ত্রাসী বাহিনী আমাদের বিভিন্ন কক্ষে অনধিকার প্রবেশ করে। সেখানে আমাদের সবাইকে অস্ত্রের মুখে জিম্মি করে বিভিন্ন কক্ষে ঢুকে যাবতীয় অর্থ সম্পদ লুটপাট করে।
তিনি আরও বলেন, তারা আমাদের সার্জিকেয়ার ক্লিনিক অ্যান্ড ডায়াগনস্টিক সেন্টারও জোর করে দখল করে এবং আমার স্বামীকে আমাদের ক্লিনিকের অ্যাম্বুলেন্সে তুলে গুম করার উদ্দেশ্যে ঝাটকাঠি গ্রামের এক পুরাতন ভবনে আটক রাখে। পরে তাকে ঝিনাইদাহ জেলায় রেললাইনে নির্যাতন করে ফেলে দিয়ে আসে।
গীতা রানী বলেন, এই ঘটনায় ওই বছর ২৬ মার্চ আমরা পিরোজপুর সদর থানায় এজাহার দায়ের করি। যার নম্বর ২২/৭২। এতে আরও ক্ষিপ্ত হয়ে জায়েদ খান গং আমাকে ও আমার কলেজ পড়ুয়া কন্যাকে পিস্তল দেখিয়ে ভারতে চলে যেতে হুমকি দেয়। আর না গেলে আমাদের খুন করা হবে বলে হুমকি দেয় এবং অকথ্য ভাষায় গালিগালাজ করে। পরে আমাদের বিদ্যুৎ ও পানির সংযোগ লাইনও কেটে দেয় তারা।
তিনি বলেন, এসব ঘটনায় ২০১৮ সালের ১৫ এপ্রিল প্রধানমন্ত্রী, স্বরাষ্টমন্ত্রী ও আইজিপি বরাবর সুবিচার চেয়ে আবেদন করি। বিষয়টি গণমাধ্যমের নজরে আসলে পত্রিকায় সংবাদ প্রকাশ হলে স্বপ্রনোদিত হয়ে হাইকোর্ট আমাদের নিরাপত্তা দেওয়ার জন্য আইন শৃঙ্খলা বাহিনীকে নির্দেশ দেন। আমরা এসময় ঢাকায় অবস্থান করি। ঢাকা থেকে আমাদের পিরোজপুরের বাসায় ফিরে দেখি আমাদের ঘর-বাড়ি ভাঙচুর করে জায়েদ খান গং সবকিছু ডাকাতি করে নিয়ে গেছে। এ বিষয়ে ২০১৮ সালের ৬ জুন পিরোজপুর সদর থানায় আরেকটা মামলা দায়ের করি, যার নম্বর ১৮৫/০৮।
গীতা রানী মজুমদারের মেয়ে অনন্যা হাওলদার বলেন, উনি এখনও আমাদের বিরক্ত করছেন। কোনো আত্মীয় স্বজনকে আমাদের বাড়িতে আসতে দেন না। খারাপ আচরণ করেন। তাই, আজ আমরা প্রতিকার চেয়ে এই মানববন্ধন করছি।