পুনরায় নির্বাচন দাবি নিপুণের, থানায় জিডি
ডেস্ক রিপোর্ট
প্রকাশ: ০৪:০২ পিএম, ৩১ জানুয়ারী,সোমবার,২০২২ | আপডেট: ১০:১৬ এএম, ২১ ডিসেম্বর,শনিবার,২০২৪
চলচ্চিত্র শিল্পী সমিতির নির্বাচন নিয়ে আলোচনা-সমালোচনার শেষ নেই। গত ২৮ জানুয়ারি এ নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়। এরপরও থেমে নেই অভিযোগ, পাল্টা-অভিযোগ।
এদিকে জায়েদ খানের কাছে পরাজিত হয়ে নিপুণ সংবাদ সম্মেলন করেন। সেখানে প্রধান নির্বাচন কমিশনার পীরজাদা হারুনকে নিয়ে ‘জালিয়াতি’র মাধ্যমে নির্বাচন করে জায়েদ পাস করেছেন বলে অভিযোগ করেন এই অভিনেত্রী। এ সময় তিনি সাধারণ সম্পাদক পদে পুনরায় নির্বাচন দাবি করেন।
এরই পরিপ্রেক্ষিতে গতকাল বনানী থানায় সাধারণ ডায়েরি করেন বলে জানান নিপুণ।
গতকাল রবিবার (৩০ জানুয়ারি) বিকেলে রাজধানীর জাতীয় প্রেস ক্লাবে এক সংবাদ সম্মেলনে নিপুণ বলেন, ‘শুধুমাত্র সাধারণ সম্পাদক পদটিতে আবার নির্বাচন চাই। জায়েদ খানের সাহস থাকলে সে সৎ ভাবে আবার নির্বাচনে আসুক। আমার পদটিতে কারচুপি ও জালিয়াতি করা হয়েছে। দেশবাসী যেভাবে আমার জন্য দোয়া করেছে আমার বিশ্বাস সঠিকভাবে নির্বাচন হলে আমি জয়ী হতাম।’
একটি পদে পুনরায় নির্বাচন করার সুযোগ আছে কিনা বা শিল্পী সমিতির গঠতন্ত্রে আছে কিনা জানতে চাইলে নিপুণ বলেন, ‘হ্যাঁ, নির্বাচন কমিশনার চাইলে আবার সম্ভব। প্রয়োজনে আমি এ বিষয়ে আদালতে যাব। তবে আমি এর শেষ দেখে ছাড়বো।’
সংবাদ সম্মেলনে নির্বাচন কমিশনার পীরজাদা হারুনের বিরুদ্ধেও অভিযোগ এনে নিপুণ বলেন, ‘নির্বাচন কমিশনার পীরজাদা হারুন ভোটের দিন সকালে আমার কাছে ২টা চুমু চেয়েছিলেন।’
এ প্রসঙ্গে নির্বাচিত সভাপতি ইলিয়াস কাঞ্চন বলেন, ‘যেহেতু অন্যায় করা হয়েছে এবং নিপুণের অভিযোগের ভিত্তিতে শক্তিশালী প্রমাণ রয়েছে তার পদে আবার নির্বাচন করা হোক। আমি নিপুণের সঙ্গে একমত।’
সংবাদ সম্মেলনে নিপুণ ম্যাসেঞ্জারে চ্যাটের স্ক্রিনশট দেখান। তার দাবি, স্ক্রিনশটগুলো জায়েদ খানের। এ প্রসঙ্গে নিপুণ বলেন, ‘ইতোমধ্যে এগুলো আমি পুলিশের আইজিপি মহোদয়কে পাঠিয়েছি। তিনি যথাযথ ব্যবস্থা নেবেন বলে জানিয়েছেন।’
নিপুণের এসব অভিযোগের বিষয়ে নির্বাচন কমিশনার পীরজাদা হারুন বিভিন্ন গণমাধ্যমে বলেন, ‘চুমু’ প্রসঙ্গটি নিয়ে নিপুণ যা বললেন, একজন শিল্পীর এমন অভিযোগে আমি মর্মাহত। নির্বাচনের দিন শিল্পী, গণমাধ্যমকর্মীতে পূর্ণ ছিল এফডিসি। তার এ অভিযোগ পুরোপুরি মিথ্যে।
সাধারণ সম্পাদক পদে পুনরায় নির্বাচন দাবির পরিপ্রেক্ষিতে পীরজাদা বলেন, ‘এটা সম্ভব নয়। ভোট গণনা নিয়ে আপিল করেছিলেন, তার পরিপ্রেক্ষিতে পুনরায় ভোট গণনা করেছে আপিল বোর্ড। সেসময় তিনিও উপস্থিত ছিলেন। এখন যদি তিনি পুনরায় ভোট দাবি করেন, তার এখতিয়ার গঠনতন্ত্র অনুসারে আমাদের নেই। তবে তিনি চাইলে আদালতের শরণাপন্ন হতে পারেন।’