নায়িকা শিমু হত্যা, স্বামীসহ গ্রেপ্তার ২
ডেস্ক রিপোর্ট
প্রকাশ: ১১:৩৮ এএম, ১৮ জানুয়ারী,মঙ্গলবার,২০২২ | আপডেট: ০৪:১৯ পিএম, ১৯ ডিসেম্বর,বৃহস্পতিবার,২০২৪
চিত্রনায়িকা রাইমা ইসলাম শিমু হত্যাকাণ্ডের ঘটনায় তার স্বামী নোবেল ও গাড়িচালক ফরহাদকে গ্রেপ্তার করেছে র্যাব।
গতকাল সোমবার (১৭ জানুয়ারি) রাতে তাদের গ্রেপ্তার করা হয়। এসময় একটি প্রাইভেট কারও জব্দ করা হয়। গ্রেপ্তারকৃতদের কেরানীগঞ্জ থানায় হস্তান্তর করা হয়েছে।
এর আগে সোমবার দুপুরে হজরতপুর ব্রিজের কাছে আলিয়াপুর এলাকা থেকে শিমুর বস্তাবন্দি লাশ উদ্ধার করা হয়। লাশ টুকরা করে ওই দুই বস্তায় ভরে রাস্তার পাশে ফেলে রাখা হয়েছিল। স্থানীয়দের মাধ্যমে খবর পেয়ে বস্তার ভেতর থেকে খণ্ডিত অংশগুলো উদ্ধার করে মর্গে পাঠানো হয়। সোমবার রাতে শিমুর বড় ভাই শহিদুল ইসলাম খোকন ঢাকার মিটফোর্ড হাসপাতালের মর্গে গিয়ে মরদেহ শনাক্ত করেন।
স্বামী ও দুই সন্তানকে নিয়ে রাজধানীর গ্রিনরোড এলাকার বাসায় থাকতেন ৪০ বছর বয়সী শিমু। রোববার সকালে বাসা থেকে বেরিয়ে তিনি আর ফেরেননি।
অভিনেত্রী শিমুর বোন ফাতেমা জানান, রোববার সকাল ১০টায় বাসা থেকে বের হয় শিমু। সন্ধ্যা ৭টায় শিমুর এক বন্ধু শিমুকে ফোনে পাওয়া যাচ্ছে না বলে জানায়। পরে রাত ১১টায় কলাবাগান থানায় যায় জিডি করা হয়। সন্ধ্যায় মিটফোর্ড হাসপাতালে লাশ শনাক্ত করেন শিমুর ভাই শহিদুল ইসলাম খোকন।
এরপর শিমুর স্বামী নোবেলকে প্রধান আসামি করে মামলা দায়ের করেছেন শহিদুল ইসলাম খোকন। ওই মামলা নোবেলের বন্ধু ফরহারকেও আসামি করা হয়েছে।
চলচ্চিত্র সংশ্লিষ্টরা জানিয়েছেন, ১৯৯৮ সাল থেকে ২০০৪ সাল পর্যন্ত প্রায় ২৫টি সিনেমায় অভিনয় করেন শিমু। তিনি কাজী হায়াতের ‘বর্তমান’ সিনেমায় প্রথম অভিনয় করেন। দেলোয়ার জাহান ঝন্টু, চাষি নজরুল ইসলাম, শরিফ উদ্দিন খান দিপুসহ নামী ও দেশের শীর্ষ পরিচালকদের নির্দেশনায় আরও কিছু সিনেমায় তিনি কাজ করেন।
শিল্পী সমিতি কর্তৃক ১৮৪ জন ভোটাধিকার হারানো শিল্পীর মধ্যে তিনিও ছিলেন। ভোটাধিকার ফিরে পেতে চলমান আন্দোলনে সোচ্চার ছিলেন তিনি। একটি বেসরকারি টিভির মার্কেটিং বিভাগে কর্মরত ছিলেন শিমু। এছাড়াও তিনি মাঝেমাঝে নাটকে কাজ করতেন এবং তার নিজের নাটকের প্রোডাকশন হাউজ ছিল।