আজ পবিত্র ঈদ-ই-মিলাদুন্নবী
নিজস্ব প্রতিবেদক
প্রকাশ: ০৭:৩৭ পিএম, ৮ অক্টোবর,শনিবার,২০২২ | আপডেট: ০৫:৪০ এএম, ২২ ডিসেম্বর,রবিবার,২০২৪
আজ ১২ রবিউল আউয়াল। পবিত্র ঈদ-ই-মিলাদুন্নবী। মহান আল্লাহ বিশ্ব জগতের শান্তি ও রহমত স্বরূপ ১২ রবিউল আউয়াল হযরত মুহাম্মদ (সঃ)-কে এই জগতে প্রেরণ করেন। আজ সৃষ্টি জগতের আলোক প্রদর্শনকারী করুণাধারা ধরাপৃষ্ঠে আবির্ভাবের দিন। বিশ্বনবীর আবির্ভাবে পৃথিবীতে মানুষ ইহলৌকিক ও পরলৌকিক জগতের মুক্তির সন্ধান এবং সর্বজনীন, সুন্দর, সহনশীল ও সাম্য প্রতিষ্ঠার দিকনির্দেশনা পায়। তাঁর প্রচারিত শান্তির বাণী হানাহানি ও যুদ্ধবিগ্রহের পরিবর্তে কল্যাণ ও শান্তির নিশ্চয়তা লাভের মূর্ত প্রকাশ। তাঁর প্রদর্শিত পথে জগতের সমস্ত পঙ্কিলতা, কুসংস্কার, অন্যায়, নৈরাজ্য, অবক্ষয় ধীরে ধীরে অপসৃত হতে শুরু করে। বিদায় হজে¦র ভাষণে তিনি নির্দেশনা দিয়েছিলেন ধর্মে-ধর্মে যেন আর হানাহানি, মারামারি না হয়, পরস্পরের প্রতি যেন শ্রদ্ধাবোধ থাকে।
পবিত্র ঈদ-ই-মিলাদুন্নবী (সঃ) উপলক্ষে বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান বাণী দিয়েছেন। গতকাল শনিবার বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী স্বাক্ষরিত বাণীতে বলা হয়, মহানবী (সঃ) মানব জাতির জন্য এক অনন্য অনুসরণীয় আদর্শ। নিজ যোগ্যতা, সততা, মহানুভবতা, কঠোর পরিশ্রম, আত্মপ্রত্যয়, অসীম সাহস, ধৈর্য, সৃৃষ্টিকর্তা আল্লাহ রাব্বুল আলামীনের প্রতি নিঃশর্ত গভীর বিশ্বাস, কর্তব্যনিষ্ঠা ও অপরিসীম দুঃখ যন্ত্রণা ভোগ করে তাঁর উপর অবতীর্ণ সর্বশ্রেষ্ঠ মহাগ্রন্থ আল-কোরআনের বাণী তথা তওহীদ প্রতিষ্ঠার মহান দায়িত্ব পালন করেন নির্ভীকচিত্তে। তিনি তৎকালীন আরবের অন্ধকার যুগের অবসান ঘটান। অত্যাচার ও জুলুম-নির্যাতন বরণ এবং সত্য ও ইনসাফ সুপ্রতিষ্ঠিত করে বিশ্ব মানবের মাঝে মানবিকতা জাগ্রত করেছিলেন। সমাজে মজলুম ও দুঃখী মানুষের প্রতি কর্তব্য, পরস্পরের প্রতি শ্রদ্ধা প্রদর্শন, পরমত সহিষ্ণুতা, দয়া ও ক্ষমাগুণ, শিশুদের প্রতি দায়িত্ব এবং নারী জাতির মর্যাদা প্রতিষ্ঠায় মহানবী (সঃ) এর আদর্শ মানবজাতির জন্য অনুকরণীয় দৃষ্টান্ত এবং সেজন্যই তিনি সর্বকালের সর্বশ্রেষ্ঠ মানব হিসেবে অভিষিক্ত। আমি আল্লাহ রাব্বুল আলামিনের নিকট প্রার্থনা করি মহানবী (সঃ)-এর শিক্ষা, আদর্শ ও ত্যাগের মহিমা আমরা সবাই যেন নিজেদের জীবনে প্রতিফলন ঘটাতে পারি। আমরা যদি রাসুল (সঃ)-এর বাণী ও আদর্শ অনুসরণ করে এগিয়ে যেতে পারি তাহলে বর্তমান দুর্দিনের ঘন অমানিশা দূরীভূত করে মানুষের হারানো অধিকার ফিরে পেতে সক্ষম হবো। আমি পবিত্র মিলাদুন্নবী উপলক্ষে বাংলাদেশসহ বিশ্বের মুসলিম ভাই-বোনদের জানাই আন্তরিক শুভেচ্ছা ও অভিনন্দন। আমি শেষ নবী সাইয়েদুল মুরছালিন হযরত মোহাম্মদ (সঃ)-এর জন্য অসংখ্য দরুদ ও তাঁর প্রতি সালাম জানাই।
পবিত্র ঈদ-ই-মিলাদুন্নবী (স:) উপলক্ষে অপর এক বাণীতে বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেছেন, আজ ঈদ-ই-মিলাদুন্নবী এক মহামানবের জন্ম দিন। ঈদ-ই-মিলাদুন্নবী (স:) উপলক্ষে আমি দেশবাসীসহ মুসলিম উম্মাহর শান্তি ও কল্যাণ কামনা করছি। তাদের জানাই আন্তরিক শুভেচ্ছা ও অভিনন্দন।
তিনি বলেন, বিশ্বমানবের নিকট এক আলোকিত বিস্ময় হযরত মোহাম্মদ (সঃ)। বিশে^র মুসলিম সম্প্রদায়সহ শান্তিকামী প্রত্যেক মানুষের কাছে দিনটি অত্যন্ত তাৎপর্যপূর্ণ। আইয়ামে জাহেলিয়াতের অন্ধকার অপসারিত করতে এদিনে তৌহিদের বাণী নিয়ে এসেছিলেন এই মহামানব। মানবজাতির মুক্তিসহ তাদের আলোর পথ দেখাতে মহান আল্লাহ তা’আলা রাসুলুল্লাহ (সঃ)-কে প্রেরণ করেন এই ধরাধামে। কঠোর সংগ্রামের মধ্য দিয়ে তিনি তাওহিদের বাণী সারা বিশ্বে ছড়িয়ে দেন। অনন্য সাধারণ ব্যক্তি, অনুপম আচরণ, সৃষ্টির প্রতি অগাধ প্রেম ও ভালবাসা, অতুলনীয় বিশ্বস্ততা, সীমাহীন দয়া ও ক্ষমার জন্য তিনি মানবজাতির এক অনুকরণীয় আদর্শ। আল্লাহ তা’আলা পবিত্র মহাগ্রন্থ আল- কোরআন মহানবী (সাঃ) উপর অবতীর্ণ করেন, যা মানব জাতির পূর্ণাঙ্গ জীবন বিধান হিসাবে ইহলৌকিক ও পরলৌকিক মুক্তির যাবতীয় নির্দেশাবলী অনুসরণের মাধ্যমে মানুষকে পরিপূর্ণ ও মর্যাদাশীল করে তোলে।
বিএনপি মহাসচিব বলেন, মহানবী (সঃ)-এর আবির্ভাব ও ইসলামের শান্তির বাণী প্রচার সারাবিশে^ ব্যাপক আলোড়ন তুলেছিল। বিভ্রান্ত মানুষ সত্যের সন্ধান পেয়েছিল। আল্লাহ তা’আলা তাঁর প্রিয় নবীকে বিশ^জগতের রহমত হিসেবে পাঠিয়েছিলেন। ইসলামের মর্মবাণীই হচ্ছে শান্তি ও সহাবস্থান। আমি শেষ নবী মানবকুলের মুক্তিদাতা সাইয়েদুল মুরসালিন হযরত মোহাম্মদ (সঃ)’র প্রতি সালাম জানাই।