পবিত্র শবে মেরাজ আজ
ডেস্ক রিপোর্ট
প্রকাশ: ১২:০১ পিএম, ২৮ ফেব্রুয়ারী,সোমবার,২০২২ | আপডেট: ০৭:৪৪ পিএম, ২১ ডিসেম্বর,শনিবার,২০২৪
আজ সোমবার দিন পেরিয়ে রাতের আঁধার নামলেই আবির্ভাব ঘটবে এক অলৌকিক অসামান্য মহাপূণ্যে ঘেরা রজনীর। এ রজনী মহাপবিত্র মহিমান্বিত লাইলাতুল মে’রাজের।
এ রাতে আমাদের প্রিয় নবি হজরত মুহম্মদ সাল্লাল্লাহু আলাহে ওয়া সাল্লাম হজরত জিব্রাইল আলাহিস্সালামের সঙ্গে পবিত্র কাবা হতে ভূ-মধ্যসাগরের পূর্ব তীর ফিলিস্তিনে অবস্হিত পবিত্র বায়তুল মুকাদ্দাস হয়ে সপ্তাকাশের উপর সিদরাতুল মুনতাহা হয়ে সত্তুর হাজার নূরের পর্দা পেরিয়ে আরশে আজিমে মহান আল্লাহ তায়ালার দিদার লাভ করেন এবং পাঁচ ওয়াক্ত নামাজের হুকুম নিয়ে দুনিয়াতে প্রত্যাবর্তন করেন। তিনি অবলোকন করেন সৃষ্টি জগতের সমস্ত কিছুর অপার রহস্য। রসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাহে ওয়া সাল্লাম এর জীবনের সবচেয়ে আলোড়ন সৃষ্টিকারী ঘটনা ‘মে’রাজ’।
মে’রাজ ইসলামের ইতিহাসে এমনকি পুরা নবুওয়াতের ইতিহাসেও এক অবিস্মরণীয় ঘটনা। কারণ সর্বকালের সর্বশ্রেষ্ঠ মহামানব ও রসুল হজরত মুহাম্মদ সাল্লাল্লাহু আলাহে ওয়া সাল্লাম ছাড়া অন্য কোনো নবি এই পরম সৌভাগ্য লাভ করতে পারেননি। আর এ কারণেই হজরত মুহাম্মদ (সা) সর্বশ্রেষ্ঠ নবী। এ মে‘রাজ রজনীতেই মানব জাতির শ্রেষ্ঠ ইবাদত পাঁচ ওয়াক্ত নামাজ ফরজ হয়।
ধর্মীয় ভাবগাম্ভীর্য ও যথাযথ মর্যাদায় এদেশের ধর্মপ্রাণ মুসলমানরা আজ কোরআনখানি, নফল সালাত, জিকির আসকার, ওয়াজ মাহফিল, দোয়া-দুরুদ পাঠ ও বিশেষ মোনাজাতের মাধ্যমে পবিত্র শবে মে’রাজ পালন করবেন। মে’রাজ শব্দটি আরবি, অর্থ উর্ধারোহণ। এ মে’রাজের বড় দাগে অর্থ দাঁড়ায়—সপ্তম আসমান, সিদরাতুল মুনতাহা, জান্নাত-জাহান্নাম পরিদর্শন ও ধনুক কিংবা তার চেয়ে কম দূরত্ব পরিমাণ আল্লাহ তা‘আলার নৈকট্য পর্যন্ত ভ্রমণ।
এ ছিল আল্লাহ তাআলার মহান কুদরত, অলৌকিক নিদর্শন, নবুয়তের সত্যতার স্বপক্ষে এক বিরাট আলামত, জ্ঞানীদের জন্য উপদেশ, মোমিনদের জন্য প্রমাণ, হেদায়েত, নেয়ামত, রহমত, মহান আল্লাহর একান্ত সান্নিধ্যে হাজির হওয়া, ঊর্ধ্বলোক সম্পর্কে সম্যক জ্ঞান অর্জন, অদৃশ্য ভাগ্য সম্পর্কে বিশেষ জ্ঞান লাভ, ইহকাল ও পরকাল সম্পর্কে জ্ঞান অর্জন, স্বচক্ষে জান্নাত-জাহান্নাম অবলোকন, পূর্ববর্তী নবি-রাসুলগণের সঙ্গে সাক্ষাৎ ও পরিচিত হওয়া, সুবিশাল নভোমণ্ডল পরিভ্রমণ করা এবং সর্বোপরি এটিকে একটি অনন্য মু‘জিয়া হিসাবে প্রতিষ্ঠা করা।
মে’রাজ সম্পর্কে আল্লাহ পবিত্র কোরআন শরিফে বলেন, পরম পবিত্র ও মহিমাময় সত্ত্বা তিনি, যিনি তার স্বীয় বান্দাকে রাতের বেলায় মসজিদে হারাম থেকে মসজিদে আকসা পর্যন্ত ভ্রমণ করালেন, যার চতুর্দিকে আমার রহমত ঘিরে রেখেছেন, যেন আমি তাকে কুদরতের কিছু নিদর্শন দেখিয়ে দেই। তিনিই সবকিছু শোনেন ও দেখেন। (বনি ইসরাঈল-১)। এই রাত্রিতে উম্মতে মুহাম্মাদির প্রতি পাঁচ ওয়াক্তের নামাজ ফরজ হয়। ফলে এটা খুবই ফজিলতের রাত্রি।
এদিকে পবিত্র শবে মে’রাজ ১৪৪৩ হিজরি উদ্যাপন উপলক্ষ্যে আজ সোমবার বাদ জোহর বায়তুল মুকাররম জাতীয় মসজিদে ‘পবিত্র শবে মে’রাজ’-এর গুরুত্ব ও তাত্পর্য শীর্ষক আলোচনাসভা, দোয়া ও মোনাজাত অনুষ্ঠিত হবে।