একশ্রেণির জ্ঞানী-গুণী দেশের অর্জনের পথে প্রতিবন্ধক: প্রধানমন্ত্রী
নিজস্ব প্রতিবেদক
প্রকাশ: ১২:০৭ পিএম, ২ জুন,রবিবার,২০২৪ | আপডেট: ০৮:০৬ পিএম, ২২ ডিসেম্বর,রবিবার,২০২৪
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা দেশের একশ্রেণির বুদ্ধিজীবীর সমালোচনা করেছেন। তাদেরকে অর্জনের পথে প্রতিবন্ধক আখ্যায়িত করে বলেছেন, তারা বিভিন্ন উন্নয়ন প্রকল্পের বিরোধিতা করে, কিন্তু প্রকল্প বাস্তবায়ন হওয়ার পর এর সুবিধা তারাই ভোগ করে।
রোববার (২ জুন) সকাল ১০টায় গণভবনে একটি অনুষ্ঠানে তিনি এসব কথা বলেন। এদিন তিনি ‘আমার চোখে বঙ্গবন্ধু’ শীর্ষক এক মিনিটের ভিডিওচিত্র তৈরি প্রতিযোগিতায় জাতীয় পর্যায়ে নির্বাচিতদের সম্মাননাপত্র, ক্রেস্ট ও আর্থিক পুরস্কার প্রদান করেন।
প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘দেশে একশ্রেণির লোক আছে যারা বেশ জ্ঞানী-গুণী, কিন্তু তারা শুধু নিজেদের আরাম-আয়েশের দিকে বেশি তাকায়৷ তৃণমূল পর্যায়ের মানুষ শক্তিশালী হবে, সিদ্ধান্ত নেবে, ক্ষমতাসীন হবে–এটা তারা মানতে পারে না, পছন্দ করে না৷’
শেখ হাসিনা বলেন, ‘তারা সবসময় এটা অর্জনের পথে প্রতিবন্ধকতা তৈরি করে৷ আর তাদের সঙ্গে ইন্ধন জোগায় স্বাধীনতাবিরোধী দেশগুলো, যারা সেভেন ফ্লিট পাঠিয়েছিল। তাদের কাছে বাংলাদেশের বিজয় গ্রহণযোগ্য ছিল না৷’
পঁচাত্তরের ১৫ আগস্টের পর থেকে ইতিহাস বিকৃতি শুরু হয় জানিয়ে তিনি বলেন, ‘বঙ্গবন্ধুর নাম মুছে ফেলা হয়। সবার নামে নানা ধরনের কুৎসা রটনা করে মানুষকে বিভ্রান্ত করার চেষ্টা করা হয়।’ তবে তরুণ প্রজন্ম এখন প্রকৃত ইতিহাস জানতে পারছে বলে মনে করেন সরকারপ্রধান।
শেখ হাসিনা বলেন, ‘৭ মার্চের ভাষণ নিষিদ্ধ হয়ে যায়। যে জয় বাংলা স্লোগান দিয়ে মুক্তিযুদ্ধের সময় এদেশের মানুষ বুকের রক্ত ঢেলে দিয়েছে, সেই জয় বাংলা স্লোগানটাও বাংলাদেশ থেকে মুছে ফেলা হয়।’
প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘আমি জানি না পৃথিবীর আর কোন দেশে এভাবে একটা যুদ্ধ করে যারা এত আত্মহুতি দেয়, তাদের এত অবমাননা করে। বাংলাদেশে এমন একটা সময় এসেছিল যখন, আমি মুক্তিযুদ্ধ করেছি এ কথাটা বলার সাহস ছিল না।’
বাংলাদেশ মাথা উঁচু করে দাঁড়াবে জানিয়ে তিনি বলেন, ‘কোন দেশের সঙ্গে কোন দেশের ঝগড়া, সেটা আমার দেখার দরকার নাই৷ আমার দরকার উন্নয়ন৷ বাংলাদেশের উন্নয়নে যারা সহযোগিতা করবে, আমি তাদের নিয়ে চলব৷ সেভাবেই আমরা এগিয়ে যাচ্ছি৷’
এ সময় তিনি সবাইকে ইতিহাস থেকে শিক্ষা নেওয়ার আহ্বান জানান। শিক্ষার্থীদের উদ্দেশে তিনি বলেন, ‘ইতিহাস থেকে শিক্ষা নিয়ে ভবিষ্যতের জন্য নিজেদের তৈরি করতে হবে৷ রেহানা ও আমি ছেলেমেয়েদের একটা জিনিস শিখিয়েছি যে, তোমাদের জন্য কোনো সম্পদ রেখে যেতে পারব না৷ তোমাদের একটাই সম্পদ, সেটা হলো শিক্ষা৷ এটা অর্জন করলে কেউ ছিনতাই-হাইজ্যাক করতে পারবে না৷ কেননা, জ্ঞান তো কেড়ে নেওয়া যায় না৷’