জ্বালানির সবুজ রূপান্তরে প্রয়োজন বিপুল বিনিয়োগ : বিদ্যুৎ প্রতিমন্ত্রী
নিজস্ব প্রতিবেদক
প্রকাশ: ১১:১৮ এএম, ৯ মে,বৃহস্পতিবার,২০২৪ | আপডেট: ১২:১০ পিএম, ১৮ ডিসেম্বর,
বুধবার,২০২৪
বিদ্যুৎ, জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ প্রতিমন্ত্রী নসরুল হামিদ বলেছেন, জ্বালানির সবুজ রূপান্তর (Green Transition) দ্রুত করতে প্রয়োজন সম্বনিত উদ্যোগ ও বিপুল বিনিয়োগ। ইউরোপসহ উন্নত বিশ্ব নবায়নযোগ্য জ্বালানির দিকে যাচ্ছে। আমাদেরকেও নবায়নযোগ্য জ্বালানি ব্যবহার বাড়াতে হবে।
প্রতিমন্ত্রী বুধবার (৮ মে) ঢাকার একটি হোটেলে সুইডেন দূতাবাস, সুইডিশ এনার্জি এজেন্সি ও সুইডেন-বাংলাদেশ বিজনেস কাউন্সিলের যৌথ উদ্যোগে আয়োজিত ‘আরএমজি সেক্টরে নবায়নযোগ্য জ্বালানিতে সুইডেন-বাংলাদেশ অংশীদারিত্বের বিষয়ে পলিসি সংলাপ-২০২৪’ (2024 Policy Dialogue on Sweden-Bangladesh Partnership in Renewable Energy within the RMG Sector)- এ প্রধান অতিথির বক্তব্যে এসব কথা বলেন।
তিনি বলেন, পরিবর্তনশীল বিশ্বের সাথে সমন্বয় করে আমরাও নবায়নযোগ্য জ্বালানির প্রসারে ও নবায়নযোগ্য জ্বালানির ব্যবহার বাড়াতে কাজ করছি। নেট মিটারিং সিস্টেম, রুফটপ সোলার, জলবিদ্যুৎ আমদানি, বিদ্যুৎ সাশ্রয়ী যন্ত্রপাতির ব্যবহার বৃদ্ধির মাধ্যমে ব্যবসার পরিস্কার বিদ্যুৎ দেয়ার প্রচেষ্টা অব্যাহত রয়েছে।
তিনি বলেন,পোষাক শিল্পসহ অন্যান্য কারখানায় নবায়নযোগ্য জ্বালানি থেকে উৎপাদিত বিদ্যুৎ দিতে বিদ্যুৎ বিভাগ ইতিমধ্যে একটি ‘কর্পোরেট পাওয়ার পারচেজ এগ্রিমেন্ট (CPPA)’ কাঠামো তৈরি করেছে। শীঘ্রই CPPA এর সাথে কয়েকটি কারখানার পাইলট করার পরিকল্পনা রয়েছে।। সিপিপিএ নবায়ণযোগ্য জ্বালানি হতে উৎপাদিত বিদ্যুৎ সার্বক্ষনিক ব্যবহার করার বিষয়টি বিবেচনা করছে। এর জন্য উচ্চ ক্ষমতার স্টোরেজ প্রয়োজন।
অবশ্যই, স্টোরেজ এর জন্য বিদ্যুৎ বাবদ খরচ বাড়বে ও স্মার্ট গ্রীডে যেতে হবে। এই অতিরিক্ত খরচ ও প্রযুক্তি ব্যয় নিয়েও পলিসি থাকা উচিৎ।
প্রতিমন্ত্রী এসময় আরও বলেন, টেকসই উন্নয়ন ইউরোপীয় এজেন্ডা বা গ্লোবাল এজেন্ডা নয়, প্রতিযোগিতামূলক বিশ্বে টিকে থাকতে হলে আমাদেরকেও টেকসই উন্নয়ন ও সবুজ রূপান্তর (Green Transition)- এর সাথেই থাকতে হবে। ভিয়েতনাম বা শ্রীলঙ্কা যেমন দক্ষতা, স্বয়ংক্রিয়তা, ব্যবসায়িক পরিবেশের উপর ফোকাস করছে ব্যবসা করছে, টিকে থাকতে হলে আমদেরকেও আরও দক্ষতার সাথে প্রতিযোগিতা করতে হবে। আমাদের প্রস্তুতি আছে।
H&M তাদের প্রেজেন্টেশনে দেখান যে, H&M, LINDEX ও IKEA এই তিনটি সুইডিশ কোম্পানিতে বাংলাদেশ বছরে ৩ বিলিয়ন ডলার রপ্তানি করে। ২০০ সরবরাহকারি প্রতিষ্ঠানের মাধ্যমে ঐ তিনটি কোম্পানিতে তৈরি পোষাক দেওয়া হয়, যেখানে ৫ লক্ষ শ্রমিক কাজ করে। উক্ত তিনিটি কোম্পানি ২০৩০ সালের মধ্যে ৫০% গ্রীণ হাউজ গ্যাস নিঃসরণ কমাতে চায়।
উক্ত অনুষ্ঠানে অন্যান্যের মাঝে ডেলিগেশন অব ইউরোপিয়ান অব বাংলাদেশ-এর প্রধান ও রাষ্ট্রদূত চার্লস হোয়াটলে (Charles Whiteley), বাংলাদেশে নিযুক্ত সুইডেনের রাষ্ট্রদূত আলেকজান্দ্রা বার্জ ভন লিন্দে (Alexandra Berg von Linde), বাংলাদেশ বিদ্যুৎ উন্নয়ন বোর্ডের চেয়ারম্যান মো. মহাবুবুর রহমান ও H&M-এর কান্টি ম্যানেজার জিয়াউর রহমান বক্তব্য রাখেন।