কারিগরি শিক্ষাবোর্ডের সাবেক চেয়ারম্যানকে ডিবিতে জিজ্ঞাসাবাদ
নিজস্ব প্রতিবেদক
প্রকাশ: ০৩:৫৯ পিএম, ২৩ এপ্রিল,মঙ্গলবার,২০২৪ | আপডেট: ০৫:০৩ পিএম, ২২ ডিসেম্বর,রবিবার,২০২৪
ভুয়া সনদ সরবরাহে জড়িত থাকার অভিযোগে কারিগরি শিক্ষাবোর্ডের সাবেক চেয়ারম্যান আলী আকবর খানকে জিজ্ঞাসাবাদ করছে ঢাকা মহানগর গোয়েন্দা পুলিশ (ডিবি)।
মঙ্গলবার (২৩ এপ্রিল) দুপুরে তাকে জিজ্ঞাসাবাদ শুরু করে ডিবি। চলে দুপুর পৌনে ২টা পর্যন্ত।
একই অভিযোগে শনিবার তার স্ত্রী সেহেলা পারভীনকে গ্রেপ্তার করে গোয়েন্দা পুলিশ। সনদ বিক্রির অভিযোগে সাইবার নিরাপত্তা আইনের মামলায় তাকে গ্রেপ্তার দেখানো হয়। একই অভিযোগে ১ এপ্রিল গ্রেপ্তার হন কারিগরি শিক্ষা বোর্ডের সিস্টেম অ্যানালিস্ট প্রকৌশলী এ কে এম শামসুজ্জামান। জিজ্ঞাসাবাদে সনদ জালিয়াতিতে সেহেলা পারভীনের নাম বলেন শামসুজ্জামান।
সোমবার ডিবি প্রধান এক সংবাদ সম্মেলনে জানিয়েছিলেন, সনদ জালিয়াতিতে আলী আকবর খানের সংশ্লিষ্টতা পেলে তাকে গ্রেপ্তার করা হবে। এছাড়া এ ঘটনায় যাদের নাম এসেছে পর্যায়ক্রমে তাদের সবাইকে ডেকে জিজ্ঞাসাবাদ করবে ডিবি।
এর আগে স্ত্রীর সনদ বাণিজ্যে সংশ্লিষ্টতা সন্দেহে আলী আকবর খানকে বিশেষ ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওএসডি) করে কারিগরি শিক্ষা অধিদপ্তরে সংযুক্ত করা হয়।
জিজ্ঞাসাবাদে গ্রেপ্তার শামসুজ্জামানের দেওয়া তথ্যের বরাতে ডিবি লালবাগ বিভাগের ডিসি মশিউর রহমান বলেন, সনদ বাণিজ্যের নানা প্রক্রিয়ায় তার কাছে গ্রাহক নিয়ে আসতেন দেশের আনাচে-কানাচে গড়ে ওঠা কারিগরি স্কুল-কলেজের প্রধান শিক্ষক ও প্রিন্সিপালেরা। যেসব প্রধান শিক্ষক ও প্রিন্সিপাল মধ্যস্থতা করে গ্রাহক নিয়ে আসতেন, তাদের নামের দীর্ঘ তালিকা এসেছে গোয়েন্দা পুলিশের হাতে। সনদ বাণিজ্যের বিষয়ে বোর্ডের ছোট-বড় সব কর্মকর্তা জানতেন বলেও উল্লেখ করেন এ গোয়েন্দা কর্মকর্তা।