কেএনএফের তিন সদস্যসহ আটক ৪
নিজস্ব প্রতিবেদক
প্রকাশ: ১২:২৯ পিএম, ৮ এপ্রিল,সোমবার,২০২৪ | আপডেট: ০৪:৫৮ এএম, ২১ ডিসেম্বর,শনিবার,২০২৪
বান্দরবানের থানচি থেকে সশস্ত্র গোষ্ঠী কুকি-চিন ন্যাশনাল ফ্রন্টের (কেএনএফ) তিন সদস্য ও এক গাড়িচালককে আটক করেছে পুলিশ। সোমবার (৮ এপ্রিল) তাদের আটক করা হয়।
এর আগে রোববার (৭ এপ্রিল) বান্দরবানে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর অভিযানে কয়েক সন্ত্রাসীকে আটক করা হয়েছে বলে জানিয়েছিলেন সেনাপ্রধান এস এম শফিউদ্দিন আহমেদ। এ সময় তাদের কাছ থেকে অস্ত্র জব্দের কথাও জানান তিনি।
সেনাপ্রধান এস এম শফিউদ্দিন আহমেদের বক্তব্যের পরপরই র্যাব জানায়, বান্দরবানে এক বিশেষ অভিযানে কেএনএফের কেন্দ্রীয় কমিটির প্রধান সমন্বয়ক চেওসিম বমকে আটক করেছে র্যাব।
কেএনএফ সদস্যদের স্বাভাবিক জীবনে ফিরিয়ে আনতে বান্দরবান জেলা পরিষদের চেয়ারম্যান ক্যশৈহ্লা মারমার নেতৃত্বে ‘শান্তি প্রতিষ্ঠা’ কমিটি গঠন করা হয় গত বছরের মে মাসে। ওই কমিটির সঙ্গে গত ৫ মার্চ দ্বিতীয় দফা বৈঠক হয় বেথেল পাড়ায়। শান্তি আলোচনার মধ্যেই ২ এপ্রিল বান্দরবানের রুমায় সোনালী ব্যাংকে ও পরদিন ৩ এপ্রিল থানচির সোনালী ও কৃষি ব্যাংকে হামলা চালিয়ে ১৭ লাখ টাকা লুট, দুটি লাইট মেশিনগানসহ (এলএমজি) ১৪টি অস্ত্র লুট করে নিয়ে যায় কেএনএফ সদস্যরা।
পাশাপাশি সোনালী ব্যাংক রুমা শাখার ব্যবস্থাপক নিজাম উদ্দিনকে অপহরণ করে তারা। পরে ম্যানেজারকে উদ্ধার করে আইনশৃঙ্খলা বাহিনী। পরপর দুই উপজেলায় সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ডের পর এই গোষ্ঠীর বিরুদ্ধে অভিযান শুরু করে সেনাবাহিনীসহ আইনশৃঙ্খলা বাহিনী।
কেএনএফ ২০২২ সালের মাঝামাঝি সময়ে তৎপরতা শুরু করে। পাহাড়ে তাদের আস্তানায় সমতলের নতুন জঙ্গি সংগঠন জামাতুল আনসার ফিল হিন্দাল শারক্কীয়ার সদস্যরা সশস্ত্র প্রশিক্ষণ নিয়েছিলেন বলে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী এর আগেও গণমাধ্যমকে জানিয়েছিল।
সেই আস্তানায় গত বছর আইনশৃঙ্খলা বাহিনী অভিযান চালিয়ে জামাতুল আনসার ফিল হিন্দাল শারক্কীয়া ও কেএনএফের বেশ কিছু সদস্যকে গ্রেপ্তার করা হয়। ভেঙে দেওয়া হয়েছিল তাদের আস্তানা।