রাষ্ট্রপতির পদ লাভজনক নয়, প্রশ্ন তোলা অবান্তর : অ্যাটর্নি জেনারেল
নিজস্ব প্রতিবেদক
প্রকাশ: ০৪:৩৮ পিএম, ১৫ ফেব্রুয়ারী,
বুধবার,২০২৩ | আপডেট: ০২:১৯ পিএম, ১৮ ডিসেম্বর,
বুধবার,২০২৪
অ্যাটর্নি জেনারেল এ এম আমিন উদ্দিন বলেছেন, সংবিধান অনুযায়ী রাষ্ট্রপতির পদটি লাভজনক নয়। তাই এটা নিয়ে বিতর্ক করা, প্রশ্ন তোলা পুরোপুরি অবান্তর।
আজ বুধবার নিজ কার্যালয়ে সাংবাদিকদের ব্রিফিং করার সময় অ্যাটর্নি জেনারেল এ কথা বলেন।
এ এম আমিন উদ্দিন বলেন, সংবিধানে বলা আছে, রাষ্ট্রপতি হতে হলে তিনটি যোগ্যতা থাকা প্রয়োজন। এক. বয়স ৩৫ বছরের বেশি হতে হবে। দুই. সংসদ সদস্য নির্বাচিত হওয়ার যোগ্য হতে হবে। তিন. অভিশংসনের মাধ্যমে কখনো রাষ্ট্রপতির পদ থেকে অপসারিত না হওয়া। নবনির্বাচিত রাষ্ট্রপতি মো. সাহাবুদ্দিন এসব যোগ্যতা পূরণ করেছেন। রাষ্ট্রপতি পদ লাভজনক নাকি লাভজনক নয়, এমন প্রশ্ন আগেই মীমাংসিত হয়ে গেছে বলে মন্তব্য করেছেন এ এম আমিন উদ্দিন।
তিনি বলেন, ১৯৯৬ সালে যখন সাবেক প্রধান বিচারপতি সাহাবুদ্দীন আহমদ রাষ্ট্রপতি নির্বাচিত হন, তখনো এমন বিতর্ক দেখা দিয়েছিল। বিষয়টি শেষ অবধি আদালতে গড়ায়। একটি রিট মামলা হয়। রিট মামলার সেই অভিযোগের শুনানি শেষে সে সময় হাইকোর্ট রাষ্ট্রপতির পদ লাভজনক নয় বলে রায় দিয়েছিলেন।
দেশের পরবর্তী রাষ্ট্রপতি পদে মো. সাহাবুদ্দিনের নির্বাচিত হওয়া ‘সম্পূর্ণ বৈধ’ বলে মন্তব্য করে এ এম আমিন উদ্দিন বলেন, হাইকোর্টের রায়ে স্পষ্ট বলা হয়েছে, মহামান্য রাষ্ট্রপতির পদ লাভজনক নয়। তাই মো. সাহাবুদ্দিনের নির্বাচিত হওয়া সম্পূর্ণ বৈধ। এ নিয়ে প্রশ্ন তোলা অবান্তর। মো. আবদুল হামিদ দুই মেয়াদে রাষ্ট্রপতির দায়িত্ব পালন শেষে আগামী ২৩ এপ্রিল অবসরে যাচ্ছেন। এর আগে গতকাল নিজ কার্যালয়ে সাংবাদিকদের ব্রিফিংকালে প্রধান নির্বাচন কমিশনার (সিইসি) কাজী হাবিবুল আউয়াল বলেন, রাষ্ট্রপতির পদ লাভজনক নয়। রাষ্ট্রের সর্বোচ্চ ব্যক্তির প্রশ্নে যদি এ ধরনের অবান্তর বিতর্ক সৃষ্টি করা হয়, সেটা হবে অনাকাক্সিক্ষত। দুর্নীতি দমন কমিশনের (দুদক) সাবেক কমিশনার মো. সাহাবুদ্দিনকে রাষ্ট্রপতি পদে নির্বাচিত করায় কোনো আইনের ব্যত্যয় হয়নি বলে মন্তব্য করে কাজী হাবিবুল আউয়াল বলেন, দুদক আইনের ৯ ধারায় কর্মাবসানের পর দুদকের কমিশনার প্রজাতন্ত্রের লাভজনক পদে নিয়োগ লাভের যোগ্য হবেন না, সেটা বলা আছে। এটার ফলে অনেকে বলতে চেয়েছেন, রাষ্ট্রপতির পদটি একটি লাভজনক পদ। কিন্তু রাষ্ট্রপতিকে কেউ নিয়োগ দান করেন না। তিনি নির্বাচিত হন। নির্বাচন কমিশন প্রচলিত প্রথা অনুসারে রাষ্ট্রপতি পদে নির্বাচন করেছে।
কাজী হাবিবুল আউয়াল আরও বলেন, সুপ্রিম কোর্টের হাইকোর্ট বিভাগের চূড়ান্ত একটি রায় রয়েছে। সেখানে বলে দেয়া হয়েছে, সুপ্রিম কোর্টের বিচারপতি বা সেই অর্থে দুদকের কমিশনারকে রাষ্ট্রপতি নিয়োগ কোনোক্রমেই অবৈধ নয়। তাই এ নিয়ে বিভিন্ন ধরনের মতামত দিয়ে বিভ্রান্তির সৃষ্টি অনাবশ্যক।