এক আদেশে দুর্নীতি থেকে দায়মুক্ত পাসপোর্টের ১৩ কর্মকর্তা
নিজস্ব প্রতিবেদক
প্রকাশ: ০৪:৩৮ পিএম, ৪ ফেব্রুয়ারী,শনিবার,২০২৩ | আপডেট: ০২:১৪ এএম, ২৩ ডিসেম্বর,সোমবার,২০২৪
অবৈধ পাসপোর্ট তৈরিসহ বিভিন্ন অনিয়ম ও অবৈধ সম্পদ অর্জনের অভিযোগের দায় থেকে মুক্তি পেলেন বহিরাগমন ও পাসপোর্ট অধিদফতরের পরিচালকসহ ১৩ কর্মকর্তা। দুর্নীতি দমন কমিশনের (দুদক) সচিব মো. মাহবুব হোসেন সই করা এক চিঠির সূত্রে এ তথ্য জানা গেছে। গত ৩ জানুয়ারি মন্ত্রী পরিষদ সচিব বরাবর পাঠানো ওই চিঠিতে তাদের অভিযোগ থেকে অব্যাহতি দেয়ার বিষয়টি অবগত করা হয়েছে। তবে এ বিষয়ে আজ শনিবার দুদকের জনসংযোগ দফতরের এক কর্মকর্তা বলেন, দুদকের অনুসন্ধান প্রমাণিত না হওয়ায় এমন সিদ্ধান্ত আসতে পারে। এ বিষয়টি আমরা অবগত নই। আন্তর্জাতিক অপরাধ চক্রের সাথে জড়িত তথাকথিত ভারতীয় নাগরিক হাফেজ আহম্মেদের নামে অবৈধ বাংলাদেশি পাসপোর্ট তৈরির সাথে জড়িত সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তা ও কর্মচারীদের বিরুদ্ধে বিভিন্ন অনিয়ম ও দুর্নীতির মাধ্যমে আয় বহির্ভূত অর্জনের অভিযোগ ছিল। অনুসন্ধানে অভিযোগ প্রমাণিত না হওয়ায় অনুসন্ধান কার্যক্রম পরিসমাফত করা হয়েছে বলে উল্লেখ করা হয়েছে দুদকের চিঠিতে।
দুর্নীতির অভিযোগ থেকে অব্যাহতি প্রাপ্তরা হলেন- বহিরাগমন ও পাসপোর্ট অধিদফতরের পরিচালক (প্রশাসন ও অর্থ) মো. শিহাব উদ্দিন খান, তার স্ত্রী ও জাতীয় অর্থোপেডিক হাসপাতাল ও পুনর্বাসন প্রতিষ্ঠানের (নিটোর) জুনিয়র কনসালটেন্ট শারমিন আরা বেগম, পাসপোর্ট অধিদফতরের ডেমোগ্রাফি শাখার উপপরিচালক হালিমা খাতুন সম্পা, উপ-পরিচালক (প্রশাসন) মো. ইসমাইল হোসেন, উপ-পরিচালক (সংস্থাপন) তারিক সালমান, সহকারী পরিচালক (প্রশাসন) আজিজুল ইসলাম, সিস্টেম এনালিস্ট মোহাম্মদ নজরুল ইসলাম ভূঞা ও তার স্ত্রী শাফিনাজ আক্তার, মাগুড়া জেলা অফিসের সহকারী পরিচালক নাসরিন পারভীন নূপুর এবং পাসপোর্ট অধিদফতরের উপ-সহকারী পরিচালক (প্রশাসন) সফিকুল ইসলাম। এছাড়া বহিরাগমন ও পাসপোর্ট অধিদফতরের সহকারী মেইটেন্যান্স ইঞ্জিনিয়ার কানিজ ফাতেমা চৌধুরী, মাহমুদুল হাসান ও সহকারী হিসাব রক্ষণ কর্মকর্তা মোহাম্মদ মাসুদ রানাও অভিযোগ থেকে অব্যাহতি পেয়েছেন। এর আগে প্রায় একই অভিযোগে ২০২২ সালের সেপ্টেম্বরে ইমিগ্রেশন ও পাসপোর্ট অধিদফতরের সাত কর্মকর্তা ও কর্মচারীর বিরুদ্ধে চার্জশিট দাখিল করেছিল দুদক।
ওই চার্জশিটে আসামিরা ছিলেন- পাসপোর্ট অফিসের সহকারী পরিচালক মো. আবজাউল আলম, সাময়িক বরখাস্ত হওয়া অফিস সহায়ক রঞ্জু লাল সরকার ও হুমায়ুন কবির, রাজশাহী পাসপোর্ট অফিসের সাবেক উচ্চমান সহকারী ও আগারগাঁও পাসপোর্ট অফিসের সুপারিনটেনডেন্ট মো. দেলোয়ার হোসেন, ডাটা এন্ট্রি কন্ট্রোল অপারেটর আলমাস উদ্দিন, রেকর্ড কিপার মো. ইব্রাহিম হোসেন ও সাঁট মুদ্রাক্ষরিক কাম কম্পিউটার অপারেটর মো. আব্দুল ওয়াদুদ। প্রধান আসামি ভারতীয় নাগরিক হাফেজ আহম্মেদ সৌদি আরব চলে যাওয়ায় ও স্থানীয় ঠিকানা না পাওয়ায় তাকে আসামি করা হয়নি। তবে ভবিষ্যতে তার নাম ঠিকানা প্রাপ্তি সাপেক্ষে সম্পূরক চার্জশিটে অন্তর্ভুক্ত করা হবে বলে চার্জশিটে বলা হয়েছিল।