শিক্ষাক্রম নিয়ে যত কথা উঠছে অধিকাংশ মিথ্যাচার : শিক্ষামন্ত্রী
নিজস্ব প্রতিবেদক
প্রকাশ: ০৯:২৩ এএম, ৪ ফেব্রুয়ারী,শনিবার,২০২৩ | আপডেট: ০২:৫৬ এএম, ২২ ডিসেম্বর,রবিবার,২০২৪
পাঠ্যবই লেখাতে তথ্য নানান জায়গা থেকে নেবেন। একই তথ্য আপনি নানানভাবে লিখতে পারেন। যেখানে তথ্যগুলো এক, সেখানে আপনি নিজের ভাষায় যেভাবে লিখেন না কেন? খুব হয়তো কাছাকাছি হবে। সেগুলো নিয়ে অনেক রকম কথা উঠছে। আমাদের শিক্ষাক্রম নিয়ে যে এত রকম কথা বলা হচ্ছে। তার মধ্যে অধিকাংশ হচ্ছে মিথ্যাচার। যেখানে ভুল আছে সে নিশ্চয়ই আমরা সেটা সংশোধন করছি এবং করবো।
আজ শনিবার (০৪ ফেব্রুয়ারি) দুপুরে বাংলাদেশ অ্যাথলেটিক ফেডারেশন শেখ কামাল আন্তঃস্কুল-মাদ্রাসার অ্যাথলেটিক্স প্রতিযোগিতা-২০২৩ উদ্বোধন শেষে শিক্ষামন্ত্রী দীপু মনি এসব কথা বলেন।
মন্ত্রী বলেন, পাঠ্য বইয়ে যখনই ভুল চিহ্নিত হবে তখনই শুদ্ধ হবে। কিন্তু যে মিথ্যাচার ও অপপ্রচার চলছে সেটি তো উদ্দেশ্যমূলকভাবে। কারণ শেখ হাসিনার সরকারের বিরুদ্ধে আর কোনো ইস্যু না পেয়ে একটি গোষ্ঠী এর পেছনে লেগেছে।
কিন্তু এই ডামাডোলের মধ্যে যেটা চাপা পড়ে যাচ্ছে। যেটা আপনারাও এড়িয়ে যাচ্ছেন সেটা হলো নতুন শিক্ষাক্রম এর মাধ্যমে আমাদের পুরো পঠন-পাঠন পদ্ধতি। আমাদের শিখন পদ্ধতি। এটি যে সম্পূর্ণ পরিবর্তিত হতে যাচ্ছে। এবং সেটির মাধ্যমে যে শিক্ষার্থীদের যে একটি আনন্দময় শিক্ষা পাচ্ছে। সত্যিকার অর্থে যে করে করে শিখছে। যেটি তারা সারা জীবন ধারণ করবে, আত্মস্থ করতে পারবে এবং প্রয়োগ করতে পারবে প্রয়োজনমতো। মূল্যায়ন পদ্ধতিতে পরিবর্তন এসেছে। এই যে গুণগত পরিবর্তন এসেছে সেগুলো সম্পূর্ণ এড়িয়ে যাচ্ছেন। তার মানে হচ্ছে কি সকলেই ভাসা ভাসা একটা জিনিস নিয়ে কথা বলছি। একজন চিৎকার করছে আরেকজন গলা মিলিয়ে যাচ্ছেন। এর তো কানো অর্থ নেই।
শিক্ষামন্ত্রী আরো বলেন, শিক্ষাক্রমের যে বিশাল গুণগুলো রয়েছে সেগুলো এবং যে উদ্দেশ্যে করা হয়েছে সে উদ্দেশ্যগুলো নিয়ে কথা বলা উচিত। সেটা সমাজের জন্য জরুরি। কিন্তু এই যে এক একটা বিষয় নিয়ে যারা অধিকাংশ ক্ষেত্রে মিথ্যাচার করে বেড়াচ্ছে। তাদেরকে আরও উসকে দেবে। বরং গঠনমূলকভাবে শিক্ষাক্রম নিয়ে কি চেষ্টাটা করা হচ্ছে। কিভাবে শিক্ষার্থীদের আনন্দময় শিক্ষার মাধ্যমে তাদেরকে সত্যিকারে ভালো মানুষ হিসেবে গড়ে তোলার দক্ষ ও মানবিক সৃজনশীল মানুষ হিসেবে গড়ে তুলবার কি প্রচেষ্টা চালানো হচ্ছে। সেটাকে দেখা দরকার। সেখানে যদি কোন ভালো পরামর্শ থাকে এবং গঠনমূলক পরামর্শ থাকলে চামড়া নীতি গ্রহণ করব।
এসময় উপস্থিত ছিলেন জেলা প্রশাসক কামরুল হাসান, পুলিশ সুপার মিলন মাহমুদসহ বিভিন্ন শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের শিক্ষক, অভিভাবক, শিক্ষার্থী ও আওয়ামী লীগ নেতৃবৃন্দ।