কুষ্টিয়ার ডিসি-এসপি’র আদালত অবমাননার মামলা আপিল বিভাগে স্থগিত
নিজস্ব প্রতিবেদক
প্রকাশ: ০৭:৪০ এএম, ১ ফেব্রুয়ারী,
বুধবার,২০২৩ | আপডেট: ০৮:০৬ এএম, ২২ ডিসেম্বর,রবিবার,২০২৪
আদালতের স্থগিতাদেশ থাকার পরও সম্পত্তি নিলামে বিক্রি করার ঘটনায় ব্র্যাক ব্যাংকের এমডি সেলিম আর এফ হোসাইন, কুষ্টিয়ার ডিসি মোহাম্মদ সাইদুল ইসলাম, এসপি মোঃ খায়রুল আলমের বিরুদ্ধে আদালত অবমাননার মামলার কার্যক্রম স্থগিত করেছেন আপিল বিভাগ।
আজ বুধবার (০১ ফেব্রুয়ারি) প্রধান বিচারপতি হাসান ফয়েজ সিদ্দিকীর নেতৃত্বাধীন আপিল বিভাগ এই আদেশ দেন। আদালতে রিটের পক্ষে ছিলেন ব্যারিস্টার রাগীব রউফ চৌধুরী।
গত বছরের ১১ আগস্ট আদালতের স্থগিতাদেশ থাকার পরও ১২৩ কোটি টাকার সম্পত্তি ১৫ কোটি টাকায় নিলামে বিক্রি করার ঘটনায় ব্র্যাক ব্যাংকের এমডি সেলিম আর এফ হোসাইন, কুষ্টিয়ার ডিসি মোহাম্মদ সাইদুল ইসলাম, এসপি মোঃ খায়রুল আলম, সদর থানার ওসি মোঃ সাব্বিরুল আলম এবং নিলামে সম্পত্তি নেয়া ব্যবসায়ী আব্দুল রশিদকে তলব করেন হাইকোর্ট। পাশাপাশি আদালত অবমাননার রুল জারি করেন হাইকোর্ট। পরে এই আদেশ স্থগিত চেয়ে আপিল বিভাগে আবেদন করা হয়।
মামলার নথি থেকে জানা যায়, ২০২২ সালের ২ আগস্ট ব্যবসায়ী শফিকুল ইসলামের মালিকানাধীন মেসার্স বিশ্বাস ট্রেডার্স, ভিআইপি রাইস মিল ও ভিআইপি ফ্লাওয়ার মিল নিলাম তিন মাসের জন্য স্থগিত করেন। একইসাথে এক মাসের মধ্যে ২০ কোটি টাকা ব্র্যাক ব্যাংককে দিতে বলা হয়। এছাড়া আরো ছয় কোটি টাকা পরিশোধ করতে বলা হয়। কিন্তু আদালতের এ আদেশ লঙ্ঘন করে ৫ আগস্ট ভোরে পুলিশের সহযোগিতায় ব্যবসায়ী শফিকুল ইসলামের ১২৩ কোটি টাকার সম্পত্তি নিলামে বিক্রি করে কুষ্টিয়ার বিশিষ্ট চাল ব্যবসায়ী আব্দুল রশিদের মালিকানাধীন রশিদ এন্টারপ্রাইজের নামে। এ ঘটনায় নিলামের সাথে জড়িতদের বিরুদ্ধে আদালত অবমাননার মামলা করা হয়। আদালত অবমাননার আবেদনের শুনানি নিয়ে তাদের তলব করা হয়।
জানা যায়, কুষ্টিয়ার আইলচারায় অবস্থিত মেসার্স বিশ্বাস ট্রেডার্স অ্যান্ড ভিআইপি রাইস মিল ব্র্যাক ব্যাংক পোড়াদাহ শাখার কাছে ঋণ চাইলে ব্যাংক কর্তৃপক্ষ জমির ভ্যালুয়েশন করে ৯২ কোটি টাকা। ব্র্যাক ব্যাংক পোড়াদহ শাখা সব কাগজপত্র যাচাই-বাছাই করে ওই ব্যবসায়ী প্রতিষ্ঠানকে ৪৩ কোটি টাকা ঋণ দেয়। ভিআইপি রাইস মিল সময় মতো ঋণের কিস্তি দিতে ব্যর্থ হলে ব্যাংক কর্তৃপক্ষ অতি গোপনে অখ্যাত কাগজে নিলাম বিজ্ঞপ্তি দেয়। এরপর ব্যবসায়ী নিলাম বিজ্ঞপ্তি স্থগিত চেয়ে উচ্চ আদালতে রিট করেন।