ডেসটিনির হারুনকে বিদেশ যেতে অনুমতি হাইকোর্টের
নিজস্ব প্রতিবেদক
প্রকাশ: ০৪:৫৩ পিএম, ২৩ জানুয়ারী,সোমবার,২০২৩ | আপডেট: ০৮:৩২ এএম, ২১ ডিসেম্বর,শনিবার,২০২৪
অর্থ আত্মসাৎ ও পাচারের অভিযোগে দুর্নীতি দমন কমিশনের (দুদক) মামলায় চার বছরের সাজা নিয়ে জামিনে থাকা ডেসটিনির প্রেসিডেন্ট সাবেক সেনাপ্রধান হারুন-অর-রশিদকে চিকিৎসা ও ওমরা হজ পালনের জন্য বিদেশ ভ্রমণের অনুমতি দিয়েছেন হাইকোর্ট। এ মামলায় জামিনে থাকা হারুনের আবেদনের শুনানি নিয়ে আজ সোমবার হাইকোর্টের বিচারপতি মো. নজরুল ইসলাম তালুকদার ও বিচারপতি খিজির হায়াতের সমন্বয়ে গঠিত বেঞ্চ এ আদেশ দেন। আদালতে আজ আবেদনের পক্ষে ছিলেন আইনজীবী রবিউল আলম বুদু। দুদকের পক্ষে ছিলেন আইনজজীবী মো. খুরশীদ আলম খান। রাষ্ট্রপক্ষে ছিলেন ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল একেএম আমিন উদ্দিন মানিক।
এ বিষয়ে খুরশীদ আলম খান জানান, হারুন-অর-রশিদের আবেদনের শুনানি নিয়ে হাইকোর্ট তাকে চার মাসের জন্য বিদেশ যেতে অনুমতি দিয়েছেন। আদালতের জিম্মায় থাকা পাসপোর্ট নিয়ে তিনি এখন বিদেশ যেতে পারবেন। তবে নির্ধারিত সময়ের মধ্যে বিদেশ থেকে ফিরে তাকে পাসপোর্ট জমা দিতে হবে।
২০২২ সালের ১২ মে বিচারিক আদালতে আলোচিত এ মামলার রায় হয়। রায়ে ডেসটিনির ব্যবস্থাপনা পরিচালক রফিকুল আমীনসহ ৪৬ জনকে বিভিন্ন মেয়াদে কারাদন্ড এবং তাদের ২ হাজার ৩০০ কোটি টাকা জরিমানা করা হয়। এরমধ্যে হারুন-অর-রশীদকে দেয়া হয় চার বছরের কারাদন্ড। একই সঙ্গে তাকে সাড়ে তিন কোটি টাকা জরিমানা, অনাদায়ে ছয় মাস কারাদন্ড দেয়া হয়। এ রায়ের বিরুদ্ধে হারুন-অর-রশীদ হাইকোর্টে আপিল করলে গত বছরের ৯ জুন তা শুনানির জন্য গ্রহণ করেন হাইকোর্ট। পরে একই বছরের ৩০ আগস্ট এ মামলায় তাকে জামিন দেন হাইকোর্ট। ২০১২ সালের ৩১ জুলাই দুদকের উপ-পরিচালক মো. মোজাহার আলী সরদার ও সহকারী পরিচালক মো. তৌফিকুল ইসলাম রাজধানীর কলাবাগান থানায় ডেসিটিনির কর্তাব্যক্তিসহ অন্যদের বিরুদ্ধে ডেসটিনি মাল্টিপারপাস কো-অপারেটিভ সোসাইটি এবং ডেসটিনি ট্রি প্ল্যান্টেশন প্রজেক্টের অর্থ আত্মসাতের দুটি মামলা করেন। তদন্ত শেষে ২০১৪ সালের ৫ মে দুদক আদালতে উভয় মামলার অভিযোগপত্র দেয়া হয়। এরমধ্যে ডেসটিনি মাল্টিপারপাস কো-অপারেটিভ সোসাইটির মামলায় ৪৬ জন এবং ডেসটিনি ট্রি প্ল্যানটেশন লিমিটেডে দুর্নীতির মামলার ১৯ জনকে আসামি করা হয়। হারুন-অর-রশিদ ও রফিকুল আমিন দুই মামলাতেই আসামি। বিচারিক আদালতের দেয়া রায়ে রফিকুল আমিনকে ১২ বছর কারাদন্ড এবং ২০০ কোটি টাকা জরিমানা, অনাদায়ে আরও তিন বছরের সাজা দেয়া হয়েছে। অন্য আসামিদের বিভিন্ন মেয়াদে সাজা দেয়া হয়। ৪৬ আসামির মধ্যে ৩৯ জন পলাতক রয়েছেন।