অবৈধ লক্ষাধিক ফার্মেসি বন্ধ করা হবে : ঔষধ প্রশাসন ডিজি
নিজস্ব প্রতিবেদক
প্রকাশ: ০৮:৪৯ এএম, ৬ জানুয়ারী,শুক্রবার,২০২৩ | আপডেট: ০১:২৪ এএম, ৮ ডিসেম্বর,রবিবার,২০২৪
অ্যান্টিবায়োটিকের যথেচ্ছ ব্যবহারের পেছনে যত্রতত্র ফার্মেসি অন্যতম কারণ বলে উল্লেখ করেছেন ঔষধ প্রশাসন অধিদপ্তরের মহাপরিচালক মেজর জেনারেল মোহাম্মদ ইউসুফ। তিনি বলেছেন, ‘দেশে নিবন্ধিত ফার্মেসি দেড় লাখের মতো। এখনো নিবন্ধনের বাইরে লাখের বেশি ফার্মেসি।’
আজ শুক্রবার (০৬ জানুয়ারি) ঢাকার সাভারের হেমায়েতপুরে লাজ ফার্মার সুবর্ণজয়ন্তী অনুষ্ঠানে তিনি এসব কথা বলেন। মেজর জেনারেল মোহাম্মদ ইউসুফ বলেন, ‘বাংলাদেশে যত ফার্মেসি রয়েছে, পৃথিবীর আর কোনো দেশে নেই। এক সময় কয়েক কিলোমিটার পথ পাড়ি দিয়ে ওষুধ আনতে হতো, এখন হাত বাড়ালেই ফার্মেসি।’
মাথাব্যথাসহ যেকোনো কিছু হলে সঙ্গে সঙ্গে অ্যান্টিবায়োটিক দেওয়া হচ্ছে বলেও অভিযোগ করেন ঔষধ প্রশাসন অধিদপ্তরের মহাপরিচালক। তিনি বলেন, ‘ইচ্ছে মতো অ্যান্টিবায়োটিক নিতে পারছে মানুষ। এ ক্ষেত্রে ফার্মেসিগুলো কোনো নিয়ম মানছে না। এতে করে অ্যান্টিবায়োটিকের কার্যকারিতা হারাচ্ছে। এমনকি আইসিইউতে যে অ্যান্টিবায়োটিক দেওয়া হয়, সেটিও কাজে আসছে না।’
ব্যবস্থাপত্র ছাড়া ওষুধ না দিতে সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে জানিয়ে মোহাম্মদ ইউসুফ বলেন, ‘ইতিমধ্যে আইন মন্ত্রণালয় এ ব্যাপারে সম্মতি দিয়েছে। আগামী সংসদ অধিবেশনে পাস হবে আশা করি। একই সঙ্গে অবৈধ ফার্মাসিগুলো বন্ধ করে দেওয়া হবে। উন্নত দেশে ফার্মেসি একই রকম হলেও আমাদের এখানে ফার্মেসির পাশাপাশি অন্যান্য পণ্যও চলে। তাই লাজ ফার্মার মতো মডেল ফার্মেসি ও মান নিয়ন্ত্রণ করতে পারে এমন ফার্মেসি ছাড়া সবগুলো বন্ধ করে দেওয়া হবে। ইতিমধ্যে সেই প্রক্রিয়া শুরু হয়েছে। আমাদের এত ফার্মেসি থাকার দরকার নেই।’
ঔষধ প্রশাসন অধিদপ্তরের মহাপরিচালক আরও বলেন, ‘ইন্দোনেশিয়ার মতো দেশে ২ কিলোমিটার পাড়ি দিয়ে ওষুধ আনতে হয়, আর আমাদের এখানে হাতের কাছেই মেলে। আগে আইনের দুর্বলতার কারণে ব্যবস্থা নিতে পারিনি। নতুন আইন হলে ব্যবস্থা নেওয়া সহজ হবে।’
এ সময় লাজ ফার্মার প্রতিষ্ঠাতা ও ব্যবস্থাপনা পরিচালক মো. লুৎফর রহমান বলেন, ‘লাজফার্মা লিমিটেড একটি প্রতিষ্ঠিত এবং সর্বাধিক বিশ্বস্ত খুচরা ওষুধ বিক্রয়কারী প্রতিষ্ঠান, যারা মানসম্মত ঔষধ বিক্রি করে। আমাদের মূল লক্ষ্য সেবা, ব্যবসা নয়। আমরাই দেশের প্রথম সার্টিফায়েড মডেল ফার্মেসি যারা নির্ধারিত তাপমাত্রায় ওষুধ সংরক্ষণ করে।’
লাজ ফার্মার চেয়ারম্যান সৈয়দা মাহফুজুর রহমান বলেন, ‘আমরা সর্বোচ্চ সেবা দেওয়ার চেষ্টা করছি। লাজ ফার্মার কর্মীদের মনে রাখতে হবে কোনো ধরনের অনৈতিক পন্থা অবলম্বন করা যাবে। প্রতিষ্ঠানের সুনাম ধরে রাখতে হবে।’