সড়ক পরিবহন বিধিমালা চূড়ান্ত ২০ বছরের কম বয়সীরা কন্ডাক্টর হতে পারবেন না
নিজস্ব প্রতিবেদক
প্রকাশ: ০৫:০৩ পিএম, ১ জানুয়ারী,রবিবার,২০২৩ | আপডেট: ০৭:৫৫ পিএম, ২২ ডিসেম্বর,রবিবার,২০২৪
২০ বছরের কম বয়সীরা বাস, মিনিবাস কিংবা লেগুনার কন্ডাক্টর বা সুপারভাইজার হতে পারবেন না। এমন নিয়ম রেখে ‘সড়ক পরিবহন বিধিমালা, ২০২২’ করেছে সরকার। সম্প্রতি ‘সড়ক পরিবহন আইন, ২০১৮’-এ দেওয়া ক্ষমতাবলে সড়ক পরিবহন ও মহাসড়ক বিভাগ এ বিধিমালা চূড়ান্ত করেছে।
সড়ক পরিবহন খাতে দেখা গেছে, শিশুদের কন্ডাক্টর হিসেবে ব্যবহার করা হচ্ছে।
এতে বলা হয়, কন্ডাক্টর বা সুপারভাইজারের লাইসেন্স প্রদানকারী কর্তৃপক্ষ হবে কর্তৃপক্ষের সংশ্লিষ্ট অধিক্ষেত্রের উপপরিচালক (ইঞ্জিনিয়ারিং) বা সহকারী পরিচালক (ইঞ্জিনিয়ারিং) বা কর্তৃপক্ষ কর্তৃক মনোনীত অন্য কোনো কর্মচারী।
কন্ডাক্টর বা সুপারভাইজার লাইসেন্স মঞ্জুরের শর্তে বলা হয়েছে, বয়স কমপক্ষে ২০ বছর হতে হবে। কন্ডাক্টরের ক্ষেত্রে প্রাথমিক স্কুল সার্টিফিকেট বা পঞ্চম শ্রেণি বা সমমানের পরীক্ষায় উত্তীর্ণ এবং সুপারভাইজারের ক্ষেত্রে কমপক্ষে অষ্টম শ্রেণি বা জুনিয়র স্কুল সার্টিফিকেট (জেএসসি) বা সমমানের পরীক্ষায় উত্তীর্ণ হতে হবে। বিধিমালা অনুযায়ী মেডিকেল সার্টিফিকেট ছাড়া দক্ষতা যাচাই পরীক্ষায় উত্তীর্ণ হতে হবে।
কন্ডাক্টর বা সুপারভাইজারের লাইসেন্সের মেয়াদোত্তীর্ণের ৩০ দিন আগে নির্ধারিত ফরমে নবায়নের জন্য লাইসেন্স ইস্যুকারী কর্তৃপক্ষের কাছে আবেদন করতে হবে। মেয়াদোত্তীর্ণের ১৫ দিন পর আবেদন করলে মূল ফি-এর সঙ্গে প্রতি বছর বা এর অংশের জন্য বার্ষিক ফি-র শতকরা ২৫ শতাংশ অতিরিক্ত ফি দিতে হবে। ২০ বছরের কম বয়সী কোনো ব্যক্তি কন্ডাক্টর বা সুপারভাইজার লাইসেন্স নিতে পারবেন না বা এমন কোনো ব্যক্তিকে কন্ডাক্টর বা সুপারভাইজারের লাইসেন্স মঞ্জুর করা যাবে না বলে বিধিমালায় উল্লেখ করা হয়েছে।
এতে আরও বলা হয়, চালক নিয়োগের ক্ষেত্রে সংশ্লিষ্ট শ্রেণির মোটরযান চালানোর ড্রাইভিং লাইসেন্স ও গণপরিবহন চালানো অনুমতিপত্র (পিটিএ) এবং কন্ডাক্টর বা সুপারভাইজার নিয়োগের ক্ষেত্রে কন্ডাক্টর বা সুপারভাইজার লাইসেন্স থাকতে হইবে। নিয়োগকারীকে নির্দিষ্ট ফরম অনুযায়ী নিয়োগপত্র এবং পরিচয়পত্র দিতে হবে। উভয়পক্ষের মধ্যে চুক্তিপত্র হতে হবে। গণপরিবহনে চালক, কন্ডাক্টর বা সুপারভাইজার নিয়োগের ক্ষেত্রে সংশ্লিষ্ট ডোপ টেস্ট সনদ থাকতে হবে। পরিবহনের চালক, কন্ডাক্টর বা সুপারভাইজারকে ‘বাংলাদেশ শ্রম আইন, ২০০৬’ অনুযায়ী নির্ধারিত বেতন ও আর্থিক সুবিধা দিতে হবে। নির্ধারিত কর্মঘণ্টা (একটানা পাঁচ ঘণ্টার বেশি নয়, কমপক্ষে আধা-ঘণ্টা বিশ্রাম দিয়ে আবার তিন ঘণ্টা অর্থাৎ একদিনে আট ঘণ্টার বেশি নয় এবং সপ্তাহে ৪৮ ঘণ্টার বেশি নয়) অনুযায়ী গণপরিবহনে দায়িত্ব পালন করতে হবে বলেও বিধিমালায় উল্লেখ করা হয়েছে।