মির্জা আব্বাস এবং তার স্ত্রী আফরোজা আব্বাসের নামে চার্জশিট দখিল
নিজস্ব প্রতিবেদক
প্রকাশ: ১২:০৪ পিএম, ২৭ ডিসেম্বর,মঙ্গলবার,২০২২ | আপডেট: ০১:২৮ পিএম, ২৩ ডিসেম্বর,সোমবার,২০২৪
অবৈধ সম্পদ অর্জনের মামলায় বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য মির্জা আব্বাস এবং তার স্ত্রী আফরোজা আব্বাসের নামে চার্জশিট অনুমোদন পর তা আদালতে দাখিল করেছে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)।
আজ মঙ্গলবার রাজধানীর সেগুনবাগিচায় দুদক কার্যালয়ে সামনে সাংবাদিকদের বিষয়টি নিশ্চিত করেন দুদকের সচিব মাহবুব হোসেন।
দুদকের সচিব মাহবুব হোসেন বলেন, মিসেস আফরোজা আব্বাসের নামে ২০ কোটি ৭৪ লাখ ৪৭ হাজার ৮২৮ টাকার সম্পদ প্রকৃত পক্ষে তার স্বামী মির্জা আব্বাস উদ্দিন আহমেদের সহায়তায় ও মাধ্যমে অবৈধ উৎসের আয় থেকে অর্জিত। মির্জা আব্বাস ১৯৯১ থেকে ১৯৯৫ সাল পর্যন্ত সংসদ সদস্য (এমপি), মন্ত্রী এবং ঢাকা সিটি কর্পোরেশনের মেয়র এবং ২০০১ থেকে ২০০৬ সাল পর্যন্ত গৃহায়ন ও গণপূর্তমন্ত্রী ছিলেন।
তিনি এমপি, মেয়র ও মন্ত্রী হওয়ার সুবাদে আসামিদ্বয় পরস্পর স্বামী-স্ত্রী ঘুষ/দুর্নীতির মাধ্যমে এবং পরবর্তীতে বিভিন্ন অবৈধ উপায়ে ২০০৭ সালের ১৬ আগস্ট পর্যন্ত আফরোজা আব্বাসের নামে সর্বমোট ২০ কোটি ৭৪ লাখ ৪৭ হাজার ৮২৮ টাকার সম্পদ অর্জন করেন এবং অবৈধ পন্থায় আহরিত/অর্জিত সম্পদের বৈধতা দেওয়ার অসৎ উদ্দেশ্যে অবৈধ পন্থায় হস্তান্তর, রূপান্তর, অবস্থান গোপনকরণে ওইসব কৌশল অবলম্বন করার অপরাধ প্রমাণিত হওয়ায় তদন্তকারী কর্মকর্তা (১) আফরোজা আব্বাস ও স্বামী মির্জা আব্বাস উদ্দিন আহমেদ ও (২) মির্জা আব্বাস উদ্দিন আহমেদ, সাবেক গণপূর্তমন্ত্রী একে অপরের সহযোগিতায় জ্ঞাত আয় বহির্ভূত সম্পদ অর্জন এবং অবৈধ পন্থায় হস্তান্তর, রূপান্তর, অবস্থান গোপন করে দুর্নীতি দমন কমিশন আইন, ২০০৪ এর ২৭(১) ধারা, দণ্ডবিধির ১০৯ ধারায় এবং সেসঙ্গে মানিলন্ডারিং প্রতিরোধ আইন, ২০০৮; মানিলন্ডারিং প্রতিরোধ আইন, ২০০৯ ও মানিলন্ডারিং প্রতিরোধ আইন, ২০১২ এর ৪ ধারায় অভিযোগপত্র দাখিলের সুপারিশ করে সাক্ষ্য স্মারক দাখিল করেন। অতঃপর দুদকের মঞ্জুরি আদেশ মোতাবেক তদন্তকারী কর্মকর্তা দুদক, সমন্বিত জেলা কার্যালয়, ঢাকা-১ এর অভিযোগপত্র আজ আদালতে বিচারার্থে দাখিল করেন।