বিএনপিসহ দেশবিরোধী, স্বাধীনতাবিরোধী সমস্ত অপশক্তি ও ষড়যন্ত্রকে দমন করা হবে : ড. হাছান
নিজস্ব প্রতিবেদক
প্রকাশ: ০১:২৪ পিএম, ১৬ ডিসেম্বর,শুক্রবার,২০২২ | আপডেট: ০৭:২০ এএম, ১৫ ডিসেম্বর,রবিবার,২০২৪
তথ্যমন্ত্রী ও আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ড. হাছান মাহমুদ বলেছেন, 'বিএনপিসহ দেশবিরোধী, স্বাধীনতাবিরোধী সমস্ত অপশক্তি ও ষড়যন্ত্রকে দমন-নির্মূল করে ২০৪১ সাল নাগাদ একটি পরিপূর্ণ উন্নত দেশ গড়া এবং বঙ্গবন্ধুকন্যা রূপায়িত ডিজিটাল বাংলাদেশকে স্মার্ট বাংলাদেশে রূপান্তর করাই আমাদের স্বপ্ন এবং বিজয় দিবসের প্রত্যয়।'
আজ শুক্রবার সকাল সাড়ে সাতটায় রাজধানীর ধানমন্ডি বত্রিশ নম্বরে বঙ্গবন্ধুর প্রতিকৃতিতে আওয়ামী লীগের শীর্ষ নেতৃবৃন্দের পুষ্পস্তবক অর্পণ করে শ্রদ্ধা নিবেদন শেষে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে তিনি এ সব কথা বলেন।
ড. হাছান বলেন, 'স্বাধীনতাবিরোধী অপশক্তি যারা আমাদের পূর্বসুরী মুক্তিযোদ্ধাদের হত্যা করেছিল, মুক্তিকামী মানুষের বিরুদ্ধে অস্ত্র ধরেছিল, সেই জামায়াতে ইসলামী, তাদের বংশধরেরা, বিএনপির যে সমস্ত নেতা স্বাধীনতাবিরোধী ছিল তারা এবং বিএনপি দলগতভাবে দেশবিরোধী ষড়যন্ত্রে লিপ্ত।'
তিনি বলেন, 'বাংলাদেশের উন্নয়ন অগ্রগতিতে আজ বিশ্বব্যাংক থেকে শুরু করে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট, জাতিসংঘের মহাসচিব থেকে শুরু করে সবাই প্রশংসা করছে। কিন্তু দেশ যখন এগিয়ে যাচ্ছে, স্বাধীনতার পাঁচ দশক পরেও স্বাধীনতাবিরোধী অপশক্তি দেশের বিরুদ্ধে নানা ষড়যন্ত্র আঁটছে। তারা বিদেশিদের কাছে দেশ সম্পর্কে নানা ভুল তথ্য উপাত্ত দিচ্ছে এবং দেশ-বিদেশে ষড়যন্ত্রে লিপ্ত রয়েছে।'
সম্প্রচারমন্ত্রী এসময় মহান মুক্তিযুদ্ধে শহীদদের প্রতি শ্রদ্ধা জানান। তিনি বলেন, ১৯৭১ সালের এই দিনে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের নেতৃত্বে ত্রিশ লক্ষ শহীদের রক্তের বিনিময়ে, দুই লক্ষ মা-বোনের ইজ্জতের বিনিময়ে এবং বহু আন্তর্জাতিক ষড়যন্ত্র ছিন্ন করে পাকিস্তানি সেনাবাহিনীর বিরুদ্ধে আমাদের পূর্বসূরী মুক্তিযোদ্ধারা বিজয় ছিনিয়ে এনেছিল।
হাছান মাহমুদ বলেন, বঙ্গবন্ধু যে স্বপ্ন এঁকে আমাদের স্বাধীনতা সংগ্রামে নেতৃত্ব দিয়েছিলেন, ১৯৭৫ সালের ১৫ আগস্ট তাকে হত্যা করার কারণে তিনি সেইসব স্বপ্ন বাস্তবায়ন করে যেতে পারেননি। বঙ্গবন্ধুকন্যা জননেত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে বঙ্গবন্ধুর সেই স্বপ্ন পূরণের পথে বাংলাদেশ গত ১৪ বছরে অভাবনীয় উন্নতি সাধন করেছে। আমরা মধ্যম আয়ের, খাদ্যে স্বয়ংসম্পূর্ণ দেশে উন্নীত হয়েছি।