যে হাত মারতে আসবে, সে হাত ভেঙে দিতে হবে : প্রধানমন্ত্রী
নিজস্ব প্রতিবেদক
প্রকাশ: ১০:৪৫ এএম, ৮ ডিসেম্বর,বৃহস্পতিবার,২০২২ | আপডেট: ০৯:১৯ পিএম, ১০ ডিসেম্বর,মঙ্গলবার,২০২৪
বিএনপির প্রতি কড়া হুঁশিয়ারি দিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। তিনি বলেছেন, ১৯৭৫ সাল থেকে আমরা মার খাচ্ছি। আর মার খাওয়ার সময় নেই। যে হাত দিয়ে মারতে আসবে, সে হাত ভেঙে দিতে হবে। এসময় সারা দেশে দলের প্রত্যেক নেতা-কর্মীকে মাঠে সতর্ক অবস্থানে থাকার নির্দেশ দিয়েছেন তিনি।
আজ বৃহস্পতিবার (০৮ ডিসেম্বর) বঙ্গবন্ধু এভিনিউস্থ আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে দলের কেন্দ্রীয় কমিটি, মহানগর ও সহযোগী সংগঠনের শীর্ষ নেতাদের সঙ্গে বৈঠকে গণভবন থেকে ভার্চ্যুয়ালি যুক্ত হয়ে প্রধানমন্ত্রী এসব কথা বলেন।
শেখ হাসিনা আরও বলেন, জনগণ ভোট দিতে পারেনি। ভোট চুরি করে নিয়ে গেছে। জনগণের ব্যাপক সাড়া আমরা পাই। যে কারণে আন্দোলণ সফল হয়। তখন খালেদা জিয়া ৩০ মার্চ পদত্যাগে বাধ্য হয়। সে (খালেদা জিয়া) যদি ভোট চুরি না করতো তাহলে তো পদত্যাগে বাধ্য হতো না।
আওয়ামী লীগ জনগণের ভোট কখনো চুরি করে না। জনগণের ভোট সংরক্ষিত করে। ভোটের অধিকার জনগণের হাতে আওয়ামী লীগ তুলে দেয় এবং এটা আমরা প্রমাণ করেছি। আর প্রমাণ করেছি বলেই আমাদের সরকার ২০০৮ সালের নির্বাচনে জয়ী হয়ে ২০০৯ সালে সরকার গঠন করি।
নয়াপল্টনের সংঘর্ষের প্রসঙ্গ তুলে ধরে শেখ হাসিনা বলেন, ‘বিআরটিসির বাসে আগুন দেয়া হয়েছে। এখন থেকে যে বাসে আগুন দিতে আসবে, তাঁকে ধরে আগে তাঁর হাত আগুনে পুড়িয়ে দিতে হবে। বিএনপি-রাজাকারদের আর ক্ষমতায় আসতে দেওয়া হবে না। ২০০১ সালে গ্যাস বিক্রির মুচলেকা দিয়ে বিএনপি ক্ষমতায় আসতে পেরেছিল। এখনো ক্ষমতায় আসতে পারবে বলে তারা মনে করছে। তবে এত সহজে এখন আর তা হবে না। আমরা জানি, কোথায় কী হবে। দেশকে নিয়ে ছিনিমিনি খেলতে দেব না।
প্রধানমন্ত্রী বলেন, বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান সাজাপ্রাপ্ত আসামি। তাঁকে দেশে ফিরিয়ে দেয়ার জন্য ব্রিটিশ সরকারে সঙ্গে যোগাযোগ করব। তারেক রহমানকে এ দেশে এনে সাজা বাস্তবায়ন করব।
গণমাধ্যমের মালিকদের সমালোচনা করে প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘অনেকে আছে বিএনপিকে তেল মারছে। এত তেল মারা কিসের জন্য। কত তেল আছে, আমি তাদের দেখব।’