আমরা বারিধারা থাকি সেখানেও অনেক মশা : স্বাস্থ্যমন্ত্রী
নিজস্ব প্রতিবেদক
প্রকাশ: ১০:৩৯ এএম, ৫ ডিসেম্বর,সোমবার,২০২২ | আপডেট: ১২:২০ এএম, ২২ ডিসেম্বর,রবিবার,২০২৪
স্বাস্থ্যমন্ত্রী জাহিদ মালেক বলেছেন, আমরা বারিধারা থাকি সেখানেও অনেক মশা। সার্বক্ষণিক স্প্রে করলেও দেখি মশা দূর হয় না। সেজন্য সবাইকে সচেতন হতে হবে। তিনি বলেন, বাংলাদেশে ডেঙ্গু রোগী ও মৃত্যুর হারও বেড়েছিল। আমরা লক্ষ্য করেছি আশপাশের দেশগুলোর মধ্যে থাইল্যান্ড, মালয়েশিয়া, ইন্দোনেশিয়া, সিঙ্গাপুরসহ দেশগুলোতে ডেঙ্গু বেড়ে গিয়েছিল। এ পর্যন্ত দেশে ৫৮ হাজার ডেঙ্গু রোগী পেয়েছি। তার মধ্যে ৩৬ হাজারই ঢাকায়, তাও সিটি করপোরেশন এরিয়ায়।
আজ সোমবার (০৫ ডিসেম্বর) সচিবালয়ে স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ে নেপাল ও সুইজারল্যান্ডের রাষ্ট্রদূতের সাথে সাক্ষাৎ শেষে সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে তিনি এ তথ্য জানিয়েছেন।
স্বাস্থ্যমন্ত্রী বলেন, দেরি করে চিকিৎসা নিতে আসার কারণে দেশে বেশি ডেঙ্গু রোগী মারা গেছেন।
তিনি বলেন, রোগীরা হাসপাতালে দেরি করে আসছে। দেখা যাচ্ছে রোগী যখন ভাইরাসে আক্রান্ত হচ্ছে তখন অনেকে মনে করছেন সর্দি জ্বর হচ্ছে। সেটা ভেবে অনেক কালক্ষেপণ করা হচ্ছে, এতে রোগী সিরিয়াস হয়ে যাচ্ছে। হেমোরেজিক একটা ভাইরাসে আছে ডেঙ্গুর যা ইন্টারনাল ব্লেডিং করে, সেটা শুরু হলে রোগীকে বাঁচানো কষ্ট হয়ে যায়। দেরি করে আসার কারণে অনেক রোগী মারা গেছে। ভর্তি হওয়ার তিন দিনের মধ্যে রোগী মারা গেছে ৭২ শতাংশ। যারা দীর্ঘসময় থাকতে পেরেছে তারা কিন্তু বেঁচে গেছে। যারা আসার তিন দিনের মধ্যে মারা গেছেন তারা সিরিয়াস কন্ডিশনে আসছে।
তিনি বলেন, জ্বর হলে দ্রুত পরীক্ষার ব্যপারে সচেতন হতে হবে। ডেঙ্গু হলে তাৎক্ষণিক চিকিৎসা নেয়া প্রয়োজন।
তিনি আরো বলেন, সিটি করপোরেশেই সবচেয়ে বেশি ডেঙ্গু রোগী। সিটি করপোরেশনে লোকও বেশি বাস করে। এখানে অনেক ড্রেনেজ সিস্টেম আছে। অনেক রকমের পানি জমে আছে, সেটাও বেশি। ঘরবাড়িও বেশি, যেখানে আবর্জনা ও পানি জমে থাকে, কনস্ট্রাকশন অনেক বেশি। সব জায়গায় স্প্রে করা প্রয়োজন। স্প্রে সিটি করপোরেশন ও পৌরসভা করে থাকে। এ বছর দেখা গেলো তারপরও মশা অনেক বেড়েছিল।
মন্ত্রী বলেন, ডেঙ্গুর জন্য যে চিকিৎসা ব্যবস্থা আমাদের নেয়ার কথা অর্থাৎ হাসপাতালের ব্যবস্থা রাখা, আমরা কিন্তু সেই ব্যবস্থা রেখেছিলাম। হাসপাতাল ডেঙ্গু রোগীতে ভরা ছিল। প্রত্যেক দিন প্রায় এক হাজার রোগী আমরা পেতাম। সেই এক হাজার রোগীকে আমাদের রাখতে হয়েছে, চিকিৎসা দিতে হয়েছে। কেউই বিনা চিকিৎসায় হাসপাতাল থেকে যায়নি।
জাহিদ মালেক বলেন, স্প্রে যথেষ্ট করার পরও যখন মশা এতো বাড়ে তখন অনেক সময় মনে হয় এই ওষুধটা মশার জন্য কার্যকর হয়নি। বা মানুষের শরীরে যেভাবে অ্যান্টিবডি ডেভলপ করেছে, মশারও তেমন অ্যান্টিবডি ডেভলপ করেছে। ডেঙ্গুতে মৃত্যুর কারণ মানুষের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা কমে গেছে।