জঙ্গিদের নিয়ে আমরাও উদ্বিগ্ন : স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী
নিজস্ব প্রতিবেদক
প্রকাশ: ০৪:১০ পিএম, ২৯ নভেম্বর,মঙ্গলবার,২০২২ | আপডেট: ০৫:৫১ এএম, ২৩ ডিসেম্বর,সোমবার,২০২৪
স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামাল বলেছেন, কাশিমপুর হাই সিকিউরিটি কারাগারে জঙ্গিরা থাকে। এই জঙ্গিদের নিয়ে আপনারা যেমন উদ্বিগ্ন আমরাও উদ্বিগ্ন।
আজ মঙ্গলবার সকালে গাজীপুরের কাশিমপুর কারা কমপ্লেক্সের প্যারেড গ্রাউন্ডে ৬০তম কারারক্ষী বুনিয়াদি প্রশিক্ষণ কোর্স সম্পন্নকারী প্রশিক্ষণার্থীদের শপথ এবং কুচকাওয়াজ অনুষ্ঠানে যোগ দিয়ে সাংবাদিকদের তিনি এসব কথা বলেন।
স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, তারা (জঙ্গি) দীর্ঘদিন ধরে একটা পরিকল্পনা করেই ওই কান্ডটি (পালিয়েছে) ঘটিয়েছে। যেখানে আমাদের দুর্বলতা ছিল। সেই দুর্বলতার ফাঁক ফোকর দিয়েই এরা বেরিয়ে গেছে। এ দুর্বলতাটা কে তৈরি করেছিল, কারা এজন্য দায়ী, কারা এই সুযোগ-সুবিধা ওভারলুক করেছে কিংবা কার গাফিলতি আছে, সেগুলোর জন্য দুটি তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়েছে। এই কমিটির প্রতিবেদন আমাদের কাছে এখনো পৌঁছায়নি। তদন্ত রিপোর্ট আসলে সে অনুযায়ী আমরা ব্যবস্থা নেব। কারাগার থেকে আসামি স্থানান্তরের সময় তিনি কারা কর্মকর্তা ও সংশ্লিষ্টদের অধিকতর সতর্কতা অবলম্বন করতে বলেন। অনুষ্ঠানে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের (সুরক্ষা সেবা বিভাগের) সচিব মো. আব্দুল্লাহ আল মাসুদ চৌধুরী হোসেন, কারা মহাপরিদর্শক ব্রিগেডিয়ার জেনারেল এ এস এম আনিসুল হক, গাজীপুরের জেলা প্রশাসক আনিসুর রহমান, কারা উপ-মহাপরিদর্শক এ কে এম ফজলুল হক, মো. জাহাঙ্গীর কবির, কাশিমপুর হাইসিকিউরিটি কারাগারের সিনিয়র জেল সুপার সুব্রত কুমার বালা, কোর্সটির প্রধান প্রশিক্ষক ও কাশিমপুর কেন্দ্রীয় কারাগার-২ এর সিনিয়র জেল সুপার মো. আমিরুল ইসলাম, কাশিমপুর কেন্দ্রীয় মহিলা কারাগারের সুপার হালিমা খাতুন প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।
অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, কারাগারে আটক বন্দিদের প্রশিক্ষণের মাধ্যমে দক্ষ জনশক্তি হিসেবে গড়ে তোলার লক্ষ্যে দেশ ও বিদেশের শ্রম বাজারের চাহিদার সঙ্গে সঙ্গতি রেখে ৩৮টি কারাগারে ৩৯টি ট্রেডে প্রশিক্ষণ দেয়া হচ্ছে। পর্যায়ক্রমে সকল কারাগারকে এই প্রশিক্ষণের আওতায় আনার পরিকল্পনা রয়েছে। কারাগারে বন্দিদের শ্রমে উৎপাদিত পণ্য সামগ্রীর বিক্রয়লদ্ধ অর্থ থেকে ৫০ শতাংশ লভ্যাংশ বন্দিদের মজুরি হিসেবে দেয়া হচ্ছে। যা বন্দিরা পরিবারের নিকট প্রেরণ করতে পারছেন।
তিনি বলেন, কারা কর্মকর্তা-কর্মচারীদের শারীরিক উৎকর্ষ ও কর্ম দক্ষতা বৃদ্ধির লক্ষ্যে বর্তমান সরকারের আন্তরিকতায় রাজশাহীতে কারা প্রশিক্ষণ কেন্দ্রের কাজ চলমান রয়েছে, যা অল্প কিছু দিনের মধ্যেই শেষ হবে। এছাড়া ঢাকার কেরানীগঞ্জে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব কারা প্রশিক্ষণ একাডেমি নির্মাণের উদ্যোগ গ্রহণ করা হয়েছে। কারা কর্মকর্তা-কর্মচারীদের উদ্দেশে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, আপনারা কারাগার থেকে আসামি স্থানান্তরের সময় অধিকতর সতর্কতা অবলম্বন করবেন। শৃঙ্খলা ও মানবিকতাকে প্রাধান্য দিয়ে অনিয়ম ও দুর্নীতিকে প্রতিরোধ করবেন। কারা অভ্যন্তরে বিধি বহির্ভূত নিষিদ্ধ দ্রব্য প্রবেশ করতে যেন না পারে, সেদিকে আপনাদের সর্বদা সজাগ দৃষ্টি রাখতে হবে। এদিন অনুষ্ঠানে নবীন কারারক্ষীদের মধ্য থেকে বেস্ট ড্রিলে নরসিংদী জেলা কারাগারের রনি দেওয়ান, বেস্ট পিটিতে প্রথম খাগড়াছড়ি জেলা কারাগারের মো. রবিউল ইসলাম, বেস্ট ফায়ারে মেহেরপুর জেলা কারাগারের মো. ইমানুর রহমান ও সর্ববিষয়ে চৌকস ক্যাটাগরিতে মানিকগঞ্জ জেলা কারাগারের নবীন কারারক্ষী মিন্টু ঘোষকে কৃতী প্রশিক্ষণার্থীর পুরস্কার দেয়া হয়। ৬ মাস মেয়াদি এ প্রশিক্ষণ শুরু হয় চলতি বছরের ২৯ মে। এ কোর্সে ৩০১ জন নবীন কারারক্ষী অংশ নেন।