সালাম মুর্শেদীর গুলশানের বাড়ির নথি হাইকোর্টে দাখিলের নির্দেশ
নিজস্ব প্রতিবেদক
প্রকাশ: ০৬:০১ পিএম, ১ নভেম্বর,মঙ্গলবার,২০২২ | আপডেট: ১০:১৯ পিএম, ১৯ ডিসেম্বর,বৃহস্পতিবার,২০২৪
পরিত্যক্ত সম্পত্তির বাড়ি ভোগদখলের অভিযোগ ওঠা সংসদ সদস্য, ব্যবসায়ী ও সাবেক ফুটবলার আব্দুস সালাম মুর্শেদীর গুলশানের বাড়িসংক্রান্ত যাবতীয় নথি চেয়েছেন হাইকোর্ট। গণপূর্তসচিব, রাজধানী উন্নয়ন কর্তৃপক্ষের (রাজউক) চেয়ারম্যান এবং আব্দুস সালাম মুর্শেদীকে আগামী ১০ দিনের মধ্যে নথি হলফনামা করে আদালতে দাখিল করার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।
আজ মঙ্গলবার (০১ নভেম্বর) এসংক্রান্ত একটি রিটের শুনানি শেষে বিচারপতি মো. নজরুল ইসলাম তালুকদার ও বিচারপতি খিজির হায়াতের হাইকোর্ট বেঞ্চে এই নির্দেশ দেন। রিট আবেদনের পক্ষে ছিলেন সুপ্রিম কোর্টের আইনজীবী সৈয়দ সায়েদুল হক সুমন।
আব্দুস সালাম মুর্শেদীর বিরুদ্ধে পরিত্যক্ত বাড়ি দখলের অভিযোগ তদন্তের নির্দেশনা চেয়ে হাইকোর্টে রিট আবেদনটি তিনি নিজেই করেন। আর সরকারের পক্ষে আইনজীবী ছিলেন ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল এ এম আমিন উদ্দিন মানিক।
সাবেক ফুটবলার আব্দুস সালাম মুর্শেদী এনভয় গ্রুপের ব্যবস্থাপনা পরিচালক। তিনি বাংলাদেশ পোশাক প্রস্তুতকারক ও রপ্তানিকারক সমিতির (বিজিএমইএ) সভাপতি ছিলেন। ক্ষমতাসীন দল আওয়ামী লীগের রাজনীতিতে যুক্ত হয়ে ২০১৮ সালে তিনি খুলনা-৪ আসন থেকে বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় সংসদ সদস্য হন।
আইনজীবী সুমনের রিটে বলা হয়েছে, রাজধানীর গুলশান-২-এর ১০৪ নম্বর সড়কে সি ই এন (ডি)-২৭-এর ২৯ নম্বর বাড়িটি ১৯৮৬ সালের অতিরিক্ত গেজেটে ‘খ’ তালিকায় পরিত্যক্ত বাড়ি হিসেবে তালিকাভুক্ত। কিন্তু আব্দুস সালাম মুর্শেদী বাড়িটি দখল করে বসবাস করছেন। এ দাবির পক্ষে আইনজীবী সুমন তার রিট আবেদনে ২০১৫ সালের ১৩ এপ্রিল, ২০১৬ সালের ২০ জানুয়ারি ও চলতি বছরের ৪ জুলাই রাজধানী উন্নয়ন কর্তৃপক্ষের (রাজউক) চেয়ারম্যানকে দেওয়া গৃহায়ণ ও গণপূর্ত মন্ত্রণালয়ের তিনটি চিঠি যুক্ত করেছেন। পরিত্যক্ত বাড়ির তালিকা থেকে বাড়িটি অবমুক্ত না হওয়ার পরও আব্দুস সালাম মুর্শেদী কিভাবে বাড়িটি দখল করে আছেন, ২০১৫ ও ১৬ সালে দেওয়া চিঠিতে রাজউক চেয়ারম্যানের কাছে ব্যাখ্যা চায় পূর্ত মন্ত্রণালয়। কিন্তু রাজউক চেয়ারম্যান সে চিঠি আমলে না নেওয়ায় চলতি বছরের ৪ জুলাই রাজউক চেয়ারম্যানকে ফের চিঠি দেওয়া হয়।
এ চিঠিতে বলা হয়, পরিত্যক্ত বাড়ির তালিকা থেকে বাড়িটি অবমুক্ত না হওয়ার পরও কিভাবে রাজউক চেয়ারম্যানের দপ্তর থেকে বাড়িটির নামজারি ও দলিল করার অনুমতি দেওয়া হলো, সে বিষয়ে ব্যাখ্যা দিতে অনুরোধ করা হলেও রাজউক চেয়ারম্যান সে ব্যাখ্যা দিতে অনীহা দেখিয়েছেন। রিট আবেদনে এ অভিযোগের বিষয়ে তদন্তের নির্দেশনা চাওয়ার পাশাপাশি পরিত্যক্ত বাড়ি দখলের কারণে আব্দুস সালাম মুর্শেদীর বিরুদ্ধে প্রয়োজনীয় আইনগত ব্যবস্থা নিতে বিবাদীদের ব্যর্থতা ও নিষ্ক্রিয়তা কেন আইনগত কর্তৃত্ববহির্ভূত ঘোষণা করা হবে না, জানতে রুল চাওয়া হয়েছে।
গৃহায়ণ ও গণপূর্ত সচিব, রাজউক চেয়ারম্যান, দুদক চেয়ারম্যান, ঢাকার জেলা প্রশাসক ও আব্দুস সালাম মুর্শেদীকে বিবাদী করা হয়েছে রিটে।