লিভ টু আপিল খারিজ : বাসা ছাড়তে হবে ঢাবি শিক্ষক মোর্শেদকে
নিজস্ব প্রতিবেদক
প্রকাশ: ০৫:২০ পিএম, ২৮ অক্টোবর,শুক্রবার,২০২২ | আপডেট: ০৫:০৫ পিএম, ১০ ডিসেম্বর,মঙ্গলবার,২০২৪
বঙ্গবন্ধুকে অবমাননা ও মুক্তিযুদ্ধের ইতিহাস বিকৃতির অভিযোগে বরখাস্ত হওয়া ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক অধ্যাপক মোর্শেদ হাসান খানকে বাসা ছাড়তে হাইকোর্ট যে আদেশ দিয়েছেন তার বিরুদ্ধে লিভ টু আপিল খারিজ করে দিয়েছেন আপিল বিভাগ। এর ফলে তাকে বিশ্ববিদ্যালয়ের আবাসিক এলাকার বাসা ছাড়তেই হবে বলে জানিয়েছেন অতিরিক্ত অ্যাটর্নি জেনারেল শেখ মোহাম্মদ মোরসেদ। বৃহস্পতিবার প্রধান বিচারপতি হাসান ফয়েজ সিদ্দিকীর নেতৃত্বাধীন আপিল বিভাগ এ আদেশ দেন।
আদালতে মোর্শেদ হাসানের পক্ষে ছিলেন জ্যেষ্ঠ আইনজীবী সালাউদ্দিন দোলন। রাষ্ট্রপক্ষে ছিলেন অতিরিক্ত অ্যাটর্নি জেনারেল শেখ মোহাম্মদ মোরসেদ এবং ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল অমিত তালুকদার। বঙ্গবন্ধুকে অবমাননা ও মুক্তিযুদ্ধের ইতিহাস বিকৃতির অভিযোগে বরখাস্ত হওয়া অধ্যাপক মোর্শেদ হাসান খানকে বাসা ছাড়তে বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষের দেয়া নোটিশ স্থগিত চেয়ে করা আবেদন গত ৫ জুলাই খারিজ করে দেন হাইকোর্ট। বিচারপতি ভীষ্মদেব চক্রবর্তী ও বিচারপতি এস এম মনিরুজ্জামানের হাইকোর্ট বেঞ্চ ওই আদেশ দেন। পরে হাইকোর্টের আদেশের বিরুদ্ধে লিভ টু আপিল করেন অধ্যাপক মোর্শেদ হাসান খান। গত ২৯ জুন বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ মোর্শেদ হাসান খানকে বাসা ছাড়তে নোটিশ দেয়। ওই নোটিশের কার্যক্রম স্থগিত চেয়ে হাইকোর্টে আবেদন করেন অধ্যাপক মোর্শেদ।
বিশ্ববিদ্যালয় সূত্রে জানা যায়, ঢাবির উত্তর ফুলার রোডের ৩৭ নম্বর আবাসিক ভবনের দ্বিতীয় তলায় ২৮০০ বর্গফুটের বাসায় থাকছেন মোর্শেদ হাসান খান। ২০২০ সালের সেপ্টেম্বর মাসে চাকরি থেকে অব্যাহতি পাওয়ার পর নিয়ম অনুযায়ী বাসা ছেড়ে দেয়ার কথা ছিল তার। কিন্তু তিনি এখনো ওই বাসা ছাড়েননি। ২০১৮ সালের ২৬ মার্চ একটি জাতীয় দৈনিকের স্বাধীনতা দিবস সংখ্যায় অধ্যাপক মোরশেদ হাসান ‘জ্যোতির্ময় জিয়া’ শিরোনামে একটি নিবন্ধ লেখেন। ওই লেখায় বঙ্গবন্ধুর অবমাননা, মুক্তিযুদ্ধের ইতিহাস বিকৃতি এবং প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা সম্পর্কে ঔদ্ধত্যপূর্ণ বক্তব্য আছে বলে অভিযোগ আনে ছাত্রলীগ। এ ঘটনায় তাকে বরখাস্ত করার দাবিতে আন্দোলনের পাশাপাশি উপাচার্যের কাছে স্মারকলিপি দেন ছাত্রলীগের নেতাকর্মীরা। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষক সমিতিও ওই লেখার নিন্দা ও প্রতিবাদ জানায়। এ ঘটনায় ২০২০ সালের ৯ সেপ্টেম্বর সিন্ডিকেটের এক সিদ্ধান্তে বিশ্ববিদ্যালয়ের চাকরি থেকে অব্যাহতি দেয়া হয় অধ্যাপক মোর্শেদকে।