কোন নিয়মে সরকারের পদত্যাগ চায় বিএনপি? : কাদের
নিজস্ব প্রতিবেদক
প্রকাশ: ১১:১৬ এএম, ১৬ অক্টোবর,রবিবার,২০২২ | আপডেট: ১১:১৫ পিএম, ২২ ডিসেম্বর,রবিবার,২০২৪
আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের বলেছেন, দেশে রিজার্ভ নিয়ে চিন্তার কারণ নেই। বর্তমানে যে রিজার্ভ আছে, তা দিয়ে আগামী পাঁচ-ছয় মাস চলা সম্ভব বলে জানিয়েছেন। তিনি বলেন, এই সঙ্কট কাটাতেই কিছুটা বেগ পেতে হচ্ছে। সেজন্য সরকারের পদত্যাগ চাইতে হবে এমন কথা নয়। কোন নিয়মে সরকারের পদত্যাগ চায় বিএনপি?
আজ রবিবার (১৬ অক্টোবর) সচিবালয়ে সাংবাদিকদের সাথে আলাপ করেন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ও সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী।
ওবায়দুল কাদের বলেন, দেশে সংবিধানসম্মতভাবে নির্বাচন হবে। নির্বাচন কমিশন সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষ নির্বাচন করবে। সেখানে সরকারের কোনো হস্তক্ষেপ থাকবে না। তবুও তত্ত্বাবধায়ক সরকার চাওয়ার কারণ বুঝতে পারছি না।
তিনি প্রশ্ন রাখেন, তত্ত্বাবধায়ক সরকারের ভূত কেন নামাতে পারছে না বিএনপি? আমরা ইভিএমের পক্ষে, কারণ এতে জালিয়াতির শঙ্কা নেই। অথচ ব্রাজিলের প্রেসিডেন্ট ইভিএমের বিপক্ষে, আর বিরোধী দল পক্ষে। আর আমাদের ফখরুলরা ইভিএম চাচ্ছে না।
মন্ত্রী বলেন, নির্বাচনে ইভিএম থাকুক এটা সরকারি দলও চায়। এখন নির্বাচন কমিশন কতটুকু দেবে সেটা তাদের সিদ্ধান্ত।
দেশের বিভিন্ন স্থানে সেতুর উদ্বোধন বিষয়ে তিনি বলেন, এক শ’টি সেতু উদ্বোধন করা হবে। প্রধানমন্ত্রীর কাছে ইতোমধ্যে সামারি পাঠানো হয়েছে। তিনি যখন সময় দেবেন, তখন সেতুগুলো উদ্বোধন করা হবে।
সেতুমন্ত্রী বলেন, একটা প্রকল্প আমাদের গলার কাটা হয়েছে। সেটি হলো বাস র্যাপিড ট্রানজিট (বিআরটি)। এটা আমি আসার আগেই নেয়া হয়েছিল। এই প্রকল্প কতটা বাস্তবসম্মত ছিল, তাতে ভাবনার ঘাটতি ছিল।
কাদের বলেন, আমরা মোটামুটি ঠিক করেছি, সবাই কানেক্টেড (উদ্বোধনের সময়) থাকবে। যেখানে সেতু বেশি, যেমন ৫০টির বেশি সেতু চট্টগ্রাম বিভাগে। চট্টগ্রাম, বরিশাল, ঢাকা-এ তিনটি বিভাগে প্রধানমন্ত্রী কানেক্টেড হবেন। অন্যান্যরা কানেক্টেড থাকবে, যাদের ব্রিজ আছে। তিনটি জায়গায় সমাবেশ হবে, উদ্বোধন উপলক্ষে সমাবেশ।
তিনি বলেন, আমরা আশা করছি বছরের প্রান্তিকে আমাদের বহুপ্রতিক্ষিত স্বপ্নের প্রকল্প এমআরটি লাইন ৬ (মেট্রো রেল) এর ফাস্ট পেজের উদ্বোধন হবে এবং চট্টগ্রামের সাউথ এশিয়ার নদীর তলদেশের টানেল বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান কর্ণফুলী টানেল, এটাও বছরের শেষে খুলে দেয়া হবে। আর অন্যান্য যে কাজ আছে, সেগুলো এগিয়ে চলেছে।
ওবায়দুল কাদের বলেন, ‘আমি ফাইনান্সিয়াল ডিসিপ্লিনের কথা বারবার বলেছি। এখানে মনিটরিং জোরদার করতে বলেছি। কাজের ব্যাপারে আররো কমিটমেন্ট নিয়ে কাজ করতে বলেছি। বিআরটির যে সমস্যাটি ছিল, সেটা এখন অনেকটা ট্রেকে এসেছে। এ ধারা বজায় রাখতে বলেছি।’