ঘূর্ণিঝড়ের বিষয়ে প্রধানমন্ত্রীর নির্দেশে সতর্ক আছি : প্রতিমন্ত্রী
নিজস্ব প্রতিবেদক
প্রকাশ: ০৫:৫২ পিএম, ১২ অক্টোবর,
বুধবার,২০২২ | আপডেট: ০৯:৫৪ এএম, ১২ ডিসেম্বর,বৃহস্পতিবার,২০২৪
চলতি মাসের শেষের দিকে বঙ্গোপসাগরে শক্তিশালী ঘূর্ণিঝড় সৃষ্টির আশঙ্কা রয়েছে জানিয়ে দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা ও ত্রাণ প্রতিমন্ত্রী মো. এনামুর রহমান বলেন, প্রধানমন্ত্রীর নির্দেশে আমরা এ বিষয়ে সতর্ক আছি।
আজ বুধবার সচিবালয়ে আন্তর্জাতিক দুর্যোগ প্রশমন দিবস উপলক্ষে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে এক প্রশ্নের জবাবে প্রতিমন্ত্রী এ কথা বলেন।
প্রতিমন্ত্রী বলেন, আমেরিকার গ্লোবাল ফোরকাস্ট সিস্টেম বা জিএফএসের দেয়া তথ্যমতে আগামী সপ্তাহে বঙ্গোপসাগরে একটি শক্তিশালী ঘূর্ণিঝড় সৃষ্টি হতে পারে।
তারা বলেছে, চলতি মাসের ১৭ তারিখ একটি লঘুচাপ সৃষ্টি হবে। যেটা পরবর্তী সময়ে নিম্নচাপে পরিণত হয়ে ঝড় হবে। এটি ভারতের অন্ধ্র প্রদেশ হয়ে পশ্চিমবঙ্গ ও আমাদের সুন্দরবনের কিছু অংশে আঘাত হানতে পারে। এটি আম্ফানের মতো সুপার সাইক্লোনে রূপান্তরিত হতে পারে।
কিন্তু আমাদের আবহাওয়াবিদরা জানিয়েছেন, তারা এটার ওপর নজর রাখছেন। এখন পর্যন্ত সেই ধরনের কোনো সম্ভাবনার কথা তারা আমাদের জানাননি।
তারা বলেছেন, এটি আরও পর্যবেক্ষণ করতে হবে। তারপর সিদ্ধান্ত নেবেন। বঙ্গোপসাগরে নিম্নচাপ ও লঘুচাপ এখনও সৃষ্টি হয়নি।
এনামুর রহমান বলেন, আমরা বিষয়টি নজরদারিতে রেখেছি। আমাদের প্রধানমন্ত্রী এ ব্যাপারে আলোচনা করেছেন। তিনি আমাদের সতর্ক থাকার নির্দেশনা দিয়েছেন, আমরা সতর্ক আছি। আমাদের আবহাওয়া দফতর জাপান ও ভারতের আবহাওয়া দফতরের সঙ্গে যৌথভাবে কাজ করে। সিদ্ধান্ত আসলে, আগাম প্রস্তুতির বিষয়ে পদক্ষেপ নেবো। কিন্তু এখন পর্যন্ত কোনো নিম্নচাপ বা লঘুচাপের তথ্য আমরা পাইনি। ঝড়টি সৃষ্টি হলে এর ‘সিত্রাং’ নামকরণ করা হবে। এটি থাইল্যান্ডের দেয়া নাম।
তিনি আরও বলেন, আমাদের মাঠ প্রশাসন ও স্বেচ্ছাসেবকদের কাছে এ বার্তাটি পৌঁছে গেছে, তারা প্রস্তুত। সাধারণত নিম্নচাপ সৃষ্টি হওয়ার পর আমরা প্রস্তুতিমূলক কাজ করতে থাকি। ঘূর্ণিঝড় হলে এর মাত্রা বুঝে যখন মহাবিপদ সংকেত হবে ওই সময় মানুষকে আশ্রয়কেন্দ্রে নিয়ে আসব। এর আগে আমাদের কাজ হলো স্বেচ্ছাসেবকদের প্রস্তুত করা। সতর্কবার্তা পৌঁছে দেয়া, আশ্রয়কেন্দ্র প্রস্তুত রাখা এবং আশ্রয়কেন্দ্রের পথ নিরবচ্ছিন্ন রাখতে কাজ করা। আশ্রয়কেন্দ্রে আমাদের মন্ত্রণালয় থেকে চাল, শুকনো খাবার, সুপেয় পানি ও নগদ টাকা পৌঁছে দেব।