দেশের অর্থনীতিতে অবদান রাখবে নবনির্মিত দুই সেতু : প্রধানমন্ত্রী
নিজস্ব প্রতিবেদক
প্রকাশ: ০৬:০৩ পিএম, ১০ অক্টোবর,সোমবার,২০২২ | আপডেট: ০৯:৫০ পিএম, ৯ ডিসেম্বর,সোমবার,২০২৪
নড়াইলের মধুমতি নদীর ওপর নির্মিত ‘মধুমতি সেতু’ এবং নারায়ণগঞ্জের শীতলক্ষ্যা নদীর ওপর নির্মিত ‘বীর মুক্তিযোদ্ধা এ কে এম নাসিম ওসমান তৃতীয় শীতলক্ষ্যা সেতু মানুষের যোগাযোগ ব্যবস্থাকে যেমন সহজ ও গতিশীল করবে, একই সঙ্গে দেশের অর্থনীতির গতি বাড়াবে বলে মন্তব্য করেছেন প্রধানমন্ত্রী ও আওয়ামী লীগ সভাপতি শেখ হাসিনা।
আজ সোমবার দুপুরে প্রধানমন্ত্রী কার্যালয় থেকে ভার্চুয়ালি যুক্ত হয়ে এ সেতু দুটির উদ্বোধনকালে তিনি এ কথা বলেন। এ সময় শেখ হাসিনা বলেন, আমি আনন্দিত কারণ গতকাল এই সেতু দুটি আমি উদ্বোধন করতে পেরেছি। আমি মনে করি যোগাযোগের ফলে আমাদের অবহেলিত অঞ্চলগুলো উন্নত হবে।
প্রধানমন্ত্রী বলেন, সারাদেশে একটি যোগাযোগ নেটওয়ার্ক গড়ে তোলার লক্ষ্য নিয়ে আমরা কাজ করেছি। এখন আমরা দাবি করতে পারি যে, বাংলাদেশের সব জেলার মধ্যে একটা সম্পর্ক হয়, সেই কাজটি আমরা করতে সক্ষম হয়েছি। তিনি আশা প্রকাশ করে বলেন, বাংলাদেশ এখন উন্নয়নশীল দেশ এবং উন্নয়নশীল দেশ হিসেবে আমরা এগিয়ে যাব। সরকারপ্রধান বলেন, আমাদের দেশের সার্বিক উন্নয়নে আমরা আমাদের কাজ অব্যাহত রাখব এবং বাংলাদেশের অগ্রযাত্রা যাতে ব্যাহত না হয়, সেজন্য আমরা সবাই নিরলস পরিশ্রম করে যাব। এটাই আমাদের অঙ্গীকার।
বর্তমান সরকারের কার্যক্রম তুলে ধরে আওয়ামী লীগ সভাপতি বলেন, জনগণের ভোটে নির্বাচিত হয়ে সরকার গঠন করেছি, জনগণের সেবায় আত্মনিয়োগ করেছি। আওয়ামী লীগের ইতিহাস হলো আওয়ামী লীগ সবসময়ই নির্বাচনের মাধ্যমে ক্ষমতায় এসেছে এবং জনগণের সমর্থন নিয়ে দেশের গণতান্ত্রিক ধারা অব্যাহত রেখেছে। দ্বিতীয় দফায় যখন সরকারে আসি তখন থেকে এ পর্যন্ত আমরা বাংলাদেশকে এগিয়ে নিয়ে যাচ্ছি। সমগ্র বাংলাদেশ আমি সফর করেছি। বাংলাদেশের উন্নয়নের জন্য সবচেয়ে বেশি প্রয়োজন যোগাযোগ ব্যবস্থার উন্নতির। ফলে আমরা আমাদের সাধ্যমত চেষ্টা করেছি। আমরা সরকারে এসে যমুনা নদীর ওপরে বঙ্গবন্ধু সেতু নির্মাণ করি। এছাড়াও আরও অনেকগুলো সেতু নির্মাণ আমরা সম্পন্ন করেছিলাম, যোগ করেন বঙ্গবন্ধুকন্যা।
তিনি বলেন, নারায়ণগঞ্জ আমাদের একটি গুরুত্বপূর্ণ জায়গা। অর্থনৈতিতে নারায়ণগঞ্জ একটি বড় ভূমিকা রয়েছে। নারায়ণগঞ্জবাসীর জন্য, তাদের জীবনযাত্রা উন্নত করার লক্ষ্যে একটি সেতু একান্তভাবে দরকার। সে কথাটা মাথায় রেখেই আমরা শীতলক্ষ্যা নদীর ওপর তৃতীয় সেতুর নির্মাণ করলাম। ইতিমধ্যে শীতলক্ষ্যার ওপরে আমরা আরও কয়েকটা সেতু করেছি। নাসিম ওসমান সেতুর কারণে রাজধানীর যানজট কমবে বলেও আশা প্রকাশ করেছেন শেখ হাসিনা।
প্রধানমন্ত্রী বলেন, মধুমতি সেতু যেহেতু এশিয়ান হাইওয়ের সঙ্গে যুক্ত হয়ে যাবে। যার ফলে আমাদের ব্যবসা-বাণিজ্য বাড়বে। ঢাকা থেকে এখন মোংলা পোর্ট কাছে হয়ে গেছে। আমাদের বেনাপোলসহ কুষ্টিয়া অঞ্চলের যে সমস্ত যোগাযোগগুলো রয়েছে সেগুলো সঙ্গে যোগাযোগটাও বাড়ছে। মানুষের সময় বাঁচবে। অর্থনৈতিক কর্মকান্ড গতিশীল হবে। সেই সুযোগটা সৃষ্টি হয়েছে। এ সময় সরকারপ্রধান জাপান সরকারকে ধন্যবাদ জানান। একই সঙ্গে বাংলাদেশে নিযুক্ত সৌদি আরবের রাষ্ট্রদূতকে ধন্যবাদ জানান তিনি। বাংলাদেশে নিযুক্ত এই দুই দেশের রাষ্ট্রদূতরাও নিজ নিজ দেশের সরকারপ্রধানের পক্ষে প্রধানমন্ত্রীকে ধন্যবাদ জানান।