জহির হত্যা : হাইকোর্টে স্ত্রীসহ দুজনের মৃত্যুদন্ডের সাজা কমে যাবজ্জীবন
নিজস্ব প্রতিবেদক
প্রকাশ: ০৫:১৬ পিএম, ২ অক্টোবর,রবিবার,২০২২ | আপডেট: ০৪:২৯ এএম, ২৩ ডিসেম্বর,সোমবার,২০২৪
কুমিল্লার কাপ্তানবাজারে রেস্টুরেন্ট কর্মচারী জহির মিয়া হত্যা মামলায় মৃত্যুদন্ডপ্রাপ্ত স্ত্রী শিরিন আক্তার ও তার কথিত পরকীয়া প্রেমিক দুলাল চন্দ্র ভট্টাচার্যের মৃত্যুদন্ডের সাজা কমিয়ে যাবজ্জীবন কারাদন্ড দিয়ে রায় ঘোষণা করেছেন হাইকোর্ট। ডেথ রেফারেন্স ও আপিলের ওপর শুনানি নিয়ে নির্ধারিত দিনে আজ রবিবার হাইকোর্টের বিচারপতি মো. রেজাউল হক ও বিচারপতি কে এম ইমরুল কায়েশের সমন্বয়ে গঠিত বেঞ্চ এ রায় ঘোষণা করেন। আদালতে ওইদিন রাষ্ট্রপক্ষে ছিলেন ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল শেখ সাইফুজ্জামান জামান। আসামিপক্ষে ছিলেন, আইনজীবী মো. জাহেদুল আলম। গত ২৬ সেপ্টেম্বর ডেথ রেফারেন্স ও আপিলের ওপর শুনানি শেষ হয়। এ বিষয়ে রায় ঘোষণার জন্য ২ অক্টোবর দিন ঠিক করেছেন হাইকোর্ট। সোমবার শুনানি শেষে হাইকোর্টের একই বেঞ্চ রায়ের জন্য দিন ধার্য করেন। এরই ধারাবাহিকতায় আজ রায় ঘোষণা করা হয়।
মামলার বিবরণে জানা গেছে, ২০০৭ সালের ১৮ ফেব্রুয়ারি রাত সাড়ে ১০টায় জহির মিয়াকে স্যালাইনের সঙ্গে বিষাক্ত ওষুধ মিশিয়ে ইনজেকশনের মাধ্যমে শরীরে প্রবেশ করিয়ে মুখে কজটেপ ও বালিশ দিয়ে চেপে হত্যা করা হয়। পরে জহির মিয়ার বড় ভাই বাদী হয়ে মৃত জহিরের স্ত্রী শিরিন আক্তারসহ অজ্ঞাতনামা ২-৩ জনকে আসামি করে কুমিল্লা আদালতে একটি হত্যা মামলা করেন।
পরে আদালতের নির্দেশে কবর থেকে জহিরের মরদেহ তুলে ময়নাতদন্তের জন্য কুমিল্লা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে মর্গে পাঠানো হয়। তদন্ত শেষে জহির মিয়ার স্ত্রী শিরিন আক্তার ও তার কথিত প্রেমিক দুলাল চন্দ্র ভট্টাচার্যের বিরুদ্ধে চার্জশিট জমা দেয় পুলিশ। বিচারকাজ শেষে ২০১৭ সালের ২১ মার্চ কুমিল্লার অতিরিক্ত জেলা ও দায়রা জজ তৃতীয় আদালতের বিচারক এম আলী আহমেদ দুইজনকে মৃত্যুদন্ড দেন। মৃত্যুদন্ডপ্রাপ্তরা হলেন- মৃত জহির মিয়ার স্ত্রী একই জেলার বুড়িচং উপজেলার ভারেল্লা গ্রামের রওশন আলীর মেয়ে শিরিন আক্তার ও তার কথিত পরকীয়া প্রেমিক নগরীর ঝাঁকুনীপাড়া এলাকার মৃত কুমোদ চন্দ্র ভট্টাচার্যের ছেলে দুলাল চন্দ্র ভট্টাচার্য। পরে মৃত্যুদন্ডাদেশ অনুমোদনের জন্য ডেথ রেফারেন্স হাইকোর্টে পাঠানো হয়। পাশাপাশি আসামিরা আপিল করেন।