নির্বাচনে কেউ আসবে না বলে ক্রাইসিস তৈরি করতে পারবো না : নির্বাচন কমিশনার
নিজস্ব প্রতিবেদক
প্রকাশ: ০৫:৩৯ পিএম, ৩০ সেপ্টেম্বর,শুক্রবার,২০২২ | আপডেট: ০৫:১৫ এএম, ১৯ ডিসেম্বর,বৃহস্পতিবার,২০২৪
জাতীয় সংসদ নির্বাচনে সব দলকে অংশ নেয়ার আহ্বান জানিয়েছেন নির্বাচন কমিশনার রাশেদা সুলতানা। তিনি বলেন, কমিশনের সামনে নির্বাচন করার আইন ও সংবিধান দেয়া আছে। কেউ আসবেন না বললে তো আমরা সংবিধান লঙ্ঘন করতে পারি না। দেশে ক্রাইসিস তৈরি করে দিতে পারবো না। আর সেটা উচিতও হবে না। এতে দেশে নৈরাজ্যকর পরিস্থিতির সৃষ্টি হবে। এতে দেশ ও জনগণের ক্ষতি হবে। তাই আমরা আইনের যে কাঠামো রয়েছে তার মধ্যে থেকেই নির্বাচন করবো।
আজ শুক্রবার দুপুরে বগুড়া সার্কিট হাউজের সম্মেলন কক্ষে আসন্ন জেলা পরিষদ নির্বাচন উপলক্ষে আইনশৃঙ্খলা সংক্রান্ত সভা শেষে সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে তিনি এসব কথা বলেন।
তিনি আরও বলেন, ইভিএমে কারচুপি বা জাল ভোট দেয়ার সুযোগ নেই। যারা ইভিএম নিয়ে সংশয়ের কথা বলেন, তাদের অনেকবার বিশেষজ্ঞ নিয়ে ত্রুটি বের করার আহবান জানানো হয়েছে। তাই শুধু মুখে বললে চলবে না, ইভিএমে কী কী ত্রুটি আছে তার প্রমাণ চাই। এখন পর্যন্ত কোনও রাজনৈতিক দল বা অন্য কেউ সমস্যা বের করতে পারেনি। তাই আগামী নির্বাচনে প্রায় ১৫০ আসনে ইভিএমে নির্বাচন করতে চাইছি।
নির্বাচন কমিশনার বলেন, আসন্ন জাতীয় সংসদ নির্বাচন হবে অবাধ, সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষ। যেখানে ভোটাররা ভোট দিয়ে পছন্দের প্রার্থী নির্বাচন করবেন। আর আমরা সবসময় চেয়েছি, এখনো চাচ্ছি, সবাই নির্বাচনে আসবেন।
এ সময় তিনি একটি রাজনৈতিক দলকে ইঙ্গিত করে বলেন, আমরা আহ্বান করবো উনারা নির্বাচনে আসবেন। কারণ ওনারাও দেশকে ভালোবাসেন; তারাও জনগণের বন্ধু।
রাশেদা সুলতানা আরও বলেন, আগামী নির্বাচনে ইভিএম ব্যবহার করা হবে। আর এটা চলমান বিষয়। সব নির্বাচনের বুথে সিসি ক্যামেরার ব্যবস্থা থাকবে। ইতোমধ্যে সিসি ক্যামেরার ব্যবস্থা করা হয়েছে। তবে আসন্ন জেলা পরিষদ নির্বাচনে ইভিএমের ব্যবস্থা থাকলেও সিসি ক্যামেরা থাকবে না বলে জানান তিনি।
এর আগে আইনশৃঙ্খলা সংক্রান্ত সভা অনুষ্ঠিত হয়। বগুড়ার অতিরিক্ত জেলা ম্যাজিস্ট্রেট সালাহ্উদ্দিন আহমেদের সভাপতিত্বে অন্যান্যের মধ্যে পুলিশ সুপার সুদীপ কুমার চক্রবর্তী, জেলা পরিষদের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা আশরাফুল মোমিন খান, জেলা নির্বাচন কর্মকর্তা মাহমুদ হাসান, অতিরিক্ত জেলা নির্বাচন কর্মকর্তা নজরুল ইসলাম, সদর উপজেলা নির্বাচন কর্মকর্তা এএসএম জাকির হোসেন, সারিয়াকান্দি নির্বাচন কর্মকর্তা সাখাওয়াত হোসেন, জেলা প্রশাসন, নির্বাচন কর্মকর্তা, নির্বাচনের প্রার্থী ও আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্যরা উপস্থিত ছিলেন।