বিএনপি নেতা-কর্মীদের ওপর হামলার নির্দেশনা নেই, জড়ালে শাস্তিমূলক ব্যবস্থা : কাদের
নিজস্ব প্রতিবেদক
প্রকাশ: ০১:৩৮ পিএম, ১৯ সেপ্টেম্বর,সোমবার,২০২২ | আপডেট: ০১:৩৬ পিএম, ২০ ডিসেম্বর,শুক্রবার,২০২৪
বিএনপি নেতা-কর্মীদের ওপর হামলার কেন্দ্রের কোনো নির্দেশনা নেই বলে জানিয়েছেন আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের। তিনি বলেন, ‘নির্দেশনার বাইরে কেউ যদি এসব হামলায় জড়িয়ে পড়েন, আমরা কিন্তু শাস্তিমূলক ব্যবস্থা নেব।’
আজ সোমবার (১৯ সেপ্টেম্বর) আওয়ামী লীগের সম্পাদকমণ্ডলীর সঙ্গে দলের ঢাকা মহানগর উত্তর ও দক্ষিণ এবং সহযোগী সংগঠনগুলোর নেতাদের সঙ্গে যৌথ সভায় ওবায়দুল কাদের এসব কথা বলেন। রাজধানীর বঙ্গবন্ধু অ্যাভিনিউয়ে আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে যৌথ সভায় সভাপতিত্ব করেন কাদের।
দেশের বিভিন্ন জায়গায় কর্মসূচি পালন করতে গিয়ে বিএনপির নিজেদের মধ্যে সংঘর্ষ-মারামারিতে জড়িয়ে পড়ার ঘটনাগুলো তুলে ধরে ওবায়দুল কাদের বলেন, ‘বিএনপি বলছে কুমিল্লায় ও ঢাকায় হামলা হয়েছে...কিন্তু গতকাল বরিশালে আর চট্টগ্রামে মারামারি করেছে কারা? বরিশালে তারা নিজেরা নিজেদের ওপর হামলা করেছে, চট্টগ্রামেও চেয়ার ছোড়াছুড়ি করেছে। এটা মাত্র একটা কাগজে দেখেছি। তাদের নেগেটিভ নিউজও ছাপে না অনেকে। বলতে চায় না। কেন, জানি না। বিবেকের কাছে প্রশ্ন রাখছি আমরা।’
এ সময় দলের নেতা–কর্মীদের সতর্ক করে দিয়ে আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক বলেন, ‘নেত্রীর নির্দেশনার বাইরে কেউ যদি এসব হামলায় জড়িয়ে পড়েন, আমরা কিন্তু শাস্তিমূলক ব্যবস্থা নেব। আমরা কাউকে ছাড় দেব না। এখানে কেন্দ্রের কোনো নির্দেশ নেই।’
সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের বলেন, বিচ্ছিন্নভাবে এখানে-ওখানে দু’একটা ঘটনা ঘটিয়ে আজকে সরকারের দুর্নাম, আওয়ামী লীগের দুর্নাম। এগুলো যাঁরা করবে, সহ্য করা হবে না। আর এইটার সুযোগ নিয়ে তারা আমাদের অপবাদ দেবে। সকালে ঘুম থেকে উঠে চলে যায় বিভিন্ন দূতাবাসে। গিয়েই নালিশ। বিএনপির আরেক নাম বাংলাদেশ নালিশ পার্টি। দেশের মানুষের কাছে যতটা না করে, তার চেয়ে বেশি বিদেশিদের কাছে।
একাত্তরের মুক্তিযুদ্ধে এ দেশের মানুষের ওপর গণহত্যা চালিয়ে মা-বোনের সম্ভ্রম নষ্ট করেছে যে পাকিস্তান, তাদের প্রতি বিএনপির এত পেয়ার (প্রেম) কেন, তা জানতে চেয়েছেন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের। তিনি বলেন, তারা জানে না শেখ হাসিনা পিতা বঙ্গবন্ধুর মতো কখনো পিছপা হন না। কখনো পরাজয়, পরাভয় মানেন না। শেখ হাসিনা হার মানতে জানেন না। তিনি হেরে গেলে বাংলাদেশ হেরে যাবে। বঙ্গবন্ধুকে হত্যা করে যারা পাকিস্তান বানাতে চেয়েছিল, মুক্তিযুদ্ধের আদর্শকে নির্বাসনে পাঠাতে চেয়েছিল; তাদেরই প্রেতাত্মারা...তাদেরই দলের সেই সৈনিকরা, সেই দল বাংলাদেশকে আবার পাকিস্তান বানাতে চায়। মির্জা ফখরুল মনের কথা গোপন রাখতে পারেননি। তাঁর মুখ দিয়ে বেরিয়ে এসেছে যে ‘পাকিস্তান আমলে ভালো ছিলাম।’
ওবায়দুল কাদের বলেন, ফখরুল সাহেব, ‘কত রবি জ্বলে রে, কেবা আখি মেলে রে।’ শুনেছি পাকিস্তান ফিরে পেতে চান। এই মুক্তিযুদ্ধের দেশে আমরা আমাদের প্রিয় জন্মভূমিকে পাকিস্তানপন্থীদের হাতে তুলে দেব না—এই শপথ আমাদের নেতৃবৃন্দ নিচ্ছি।’
এ সময় দলের সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য মতিয়া চৌধুরী, জাহাঙ্গীর কবির নানক, মোফাজ্জেল হোসেন চৌধুরী মায়া, কামরুল ইসলাম, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মাহবুব-উল আলম হানিফ, হাছান মাহমুদ, আ ফ ম বাহাউদ্দিন নাছিম, সাংগঠনিক সম্পাদক বি এম মোজাম্মেল হক, মির্জা আজম, ত্রাণ ও সমাজকল্যাণ সম্পাদক সুজিত রায় নন্দী, দপ্তর সম্পাদক বিপ্লব বড়ুয়া, বন ও পরিবেশ সম্পাদক দেলোয়ার হোসেন, শিক্ষা ও মানবসম্পদ সম্পাদক শামসুন নাহার চাপা, উপদপ্তর সম্পাদক সায়েম খানসহ সহযোগী সংগঠনের নেতারা উপস্থিত ছিলেন।