জনগণের স্বাস্থ্য নিয়ে ব্যবসা করা যাবে না : স্বাস্থ্যমন্ত্রী
নিজস্ব প্রতিবেদক
প্রকাশ: ১০:১২ এএম, ১৫ সেপ্টেম্বর,বৃহস্পতিবার,২০২২ | আপডেট: ০৬:২০ পিএম, ২২ ডিসেম্বর,রবিবার,২০২৪
স্বাস্থ্যমন্ত্রী জাহিদ মালিক বলেছেন, ‘জনগণের স্বাস্থ্য নিয়ে কাউকে ছিনিমিনি খেলতে দেওয়া হবে না। কোনো স্বাস্থ্যসেবা দানকারী প্রতিষ্ঠান যদি সঠিক নিয়মে সেবা না দেয়, তাহলে তাদের আমরা কাজ করতে দেবো না। জনগণের স্বাস্থ্য নিয়ে কাউকে ব্যবসা করতেও দেওয়া হবে না।’
আজ বৃহস্পতিবার (১৫ সেপ্টেম্বর) রাজশাহী সদর হাসপাতাল পরিদর্শন কালে সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে স্বাস্থ্য মন্ত্রী একথা বলেন।
এসময় স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের মহাপরিচালক অধ্যাপক ডা. এবিএম খুরশিদ আলম, রাজশাহী মহানগর আওয়ামী লীগের ভারপ্রাপ্ত সভাপতি মোহাম্মদ আলী কামাল, রাজশাহী মেডিক্যাল কলেজ হাসাতালের পরিচালক ব্রিগেডিয়ার জেনারেল ডা. শামীম ইয়াজদানী, বিভাগীয় স্বাস্থ্য পরিচালক ডা. মো. হাবিবুল আহসান তালুকদার ও রাজশাহীর সিভিল সার্জন ডা. আবু সাঈদ মো. ফারুকসহ স্বাস্থ্য বিভাগের কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।
রাজশাহী সদর হাসপাতাল অতিসত্বর চালু করা হবে উল্লেখ করে স্বাস্থ্যমন্ত্রী বলেন, ‘অবকাঠোমোর কাজ শেষ হয়েছে, এখন জনবল এবং মেডিক্যাল ইকুইপমেন্ট সরবরাহের ব্যবস্থা করা হচ্ছে। হাসপাতালটিতে রোগীদের চিকিৎসার জন্য আইসিইউ এবং প্রতি বেডে মেডিক্যাল অক্সিজেন সুবিধাসহ অত্যাধুনিক সব ধরনের সুবিধা থাকবে।’
সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে স্বাস্থ্যমন্ত্রী বলেন, ‘বাংলাদেশের ৬০ শতাংশ রোগীর স্বাস্থ্যসেবা দিয়ে থাকে সরকারি হাসপাতালগুলো। বাকি ৪০ শতাংশ স্বাস্থ্যসেবা দিয়ে থাকে বেসরকারি প্রতিষ্ঠান। সরকারি হাসপাতালগুলোতে নামেমাত্র মূল্যে রোগীদের চিকিৎসাসহ খাবারের ব্যবস্থা করা হচ্ছে। বিশ্বে এমন দৃষ্টান্ত বিরল। অনেকেই বেসরকারি হাসপাতালে এবং দেশের বাইরে স্বাস্থ্যসেবা নিয়ে থাকেন। এ কারণে স্বাস্থ্যসেবায় ব্যক্তি কেন্দ্রিক ব্যয় বাড়তে পারে।’
স্বাস্থ্যমন্ত্রী বলেন, ‘রাজশাহী মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে নির্ধারিত আসনের দ্বিগুণ রোগী চিকিৎসা সেবা নিচ্ছেন। এখানে চিকিৎসকসহ চতুর্থ শ্রেণির জনবলের ঘাটতি রয়েছে। এছাড়া রোগী বেশি ভর্তি হওয়ায় বেডেরও ঘাটতি দেখা দিয়েছে। হাসপাতালটিতে ১০ তলা ফাউন্ডেশনের একটি চারতলা ভবন রয়েছে। ওই ভবনটি আরো এক্সটেনশন করা গেলে আরও ৮০০ থেকে ১ হাজারের মতো আসন বৃদ্ধি করা সম্ভব হবে। এ লক্ষ্যে স্বাস্থ্যমন্ত্রণালয় কাজ করছে। একইসঙ্গে হাসপাতালের জনবল বাড়ানোর নির্দেশনাও দেওয়া হয়েছে।’
বেসরকারি খাতে চিকিৎসা সেবার অব্যবস্থাপনার প্রসঙ্গে স্বাস্থ্যমন্ত্রী বলেন, ‘যেসব হাসপাতাল বা ডায়াগনস্টিক সেন্টারে অনিয়ম পাওয়া যাবে, তাদের লাইসেন্স বাতিল করা হবে। স্বাস্থ্যসেবায় নিয়োজিত সবাইকে সরকারি নির্দেশনা মেনে লাইসেন্স নিয়ে ব্যবসা প্রতিষ্ঠান পরিচালনা করতে হবে।’