একেবারে শূন্য হাতে ফিরেছি, বলতে পারবো না : প্রধানমন্ত্রী
নিজস্ব প্রতিবেদক
প্রকাশ: ০৫:৪৪ পিএম, ১৪ সেপ্টেম্বর,
বুধবার,২০২২ | আপডেট: ০৩:৫২ পিএম, ২৩ ডিসেম্বর,সোমবার,২০২৪
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, বন্ধুপ্রতিম রাষ্ট্র হিসেবে ভারত সব বিষয়েই সহযোগিতা করে যাচ্ছে। এ সফরেও আমরা একেবারে শূন্য হাতে ফিরেছি, এটা বলতে পারবো না।
তিনি বলেন, বাংলাদেশ এমন একটি রাষ্ট্র যার সব দিকে ভারত। একপাশে ছোট্ট একটুখানি মিয়ানমার। বাকি সীমান্তজুড়ে বঙ্গোপসাগর, এটাও আমাদের মাথায় রাখতে হবে। সবচেয়ে বড় ব্যাপার হলো- বাংলাদেশের ব্যাপারে ভারতের সব দল-মত এক থাকে।
আজ বুধবার বিকেলে গণভবনে ভারত সফর নিয়ে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে সাংবাদিকদের বিভিন্ন প্রশ্নের জবাবে প্রধানমন্ত্রী এসব কথা বলেন।
প্রধানমন্ত্রী বলেন, এবারের সফরে বাংলাদেশের উল্লেখযোগ্য প্রাপ্তি আছে। ১৯৬৫ সালে ভারত-পাকিস্তান যুদ্ধের পর রেল ও সড়ক যোগাযোগ পুরোপুরি বন্ধ ছিল। একে একে সেগুলো তো সব চালু হচ্ছে। প্রধানমন্ত্রীর ভারত সফর নিয়ে বিএনপি নেতাদের বক্তব্যের সমালোচনা করে শেখ হাসিনা বলেন, ভারত এতকিছু করার পরও বিএনপি বলে বেড়াচ্ছে কিছুই হয়নি। এটা মানসিকতা ও আত্মবিশ্বাসের বিষয়।
এবার ভারত সফরে রোহিঙ্গা সমস্যা নিয়ে আলোচনা হয়েছে উল্লেখ করে প্রধানমন্ত্রী বলেন, রোহিঙ্গারা আমাদের প্রাকৃতিক সম্পদ নষ্ট করছে। নিজেদের মধ্যে অস্ত্রবাজি ও সংঘাত করছে। পরিবেশকে তারা আরও নষ্ট করছে।
তিনি আরও বলেন, ভারতকে আমরা বলেছি তারা যেন মিয়ানমার ইস্যুতে সহযোগিতা করে। তাদের ইতিবাচক সাড়া পেয়েছি। কিন্তু সমস্যা হচ্ছে মিয়ানমারকে নিয়ে। এরা নিজেদের মধ্যে দ্বন্দ্ব ও সংঘাতে লিপ্ত থাকে। ভারত মনে করে এটার সমাধান হওয়া উচিত।
প্রধানমন্ত্রী বলেন, আমরা মানবিক কারণে রোহিঙ্গাদের স্থান দিয়েছি, কিন্তু এখন যে পর্যায়ে যাচ্ছে তারা আমাদের জন্য একটা বোঝা হয়ে যাচ্ছে। আজকে শরণার্থী তো সব জায়গাতে হচ্ছে। ইউক্রেন-রাশিয়ার যুদ্ধে কত মানুষ শরণার্থী হয়ে যাচ্ছে। এ জন্য আমাদের আহ্বান-আমরা যুদ্ধ চাই না, শান্তি চাই।
এর আগে বিকেল ৪টা ১০ মিনিটে গণভবনে এ সংবাদ সম্মেলন শুরু হয়। শুরুতেই প্রধানমন্ত্রী সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্য পড়ে শোনান। এরপর সাংবাদিকদের প্রশ্নের উত্তর দেন সরকারপ্রধান। গত ৫ সেপ্টেম্বর চারদিনের রাষ্ট্রীয় সফরে ভারতে যান প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। সফরকালে বাংলাদেশ ও ভারতের মধ্যে পানি ব্যবস্থাপনা, রেলপথ, বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি, তথ্য ও সম্প্রচার বিষয়ে সাতটি চুক্তি ও সমঝোতা স্মারক সই হয়। সফরে হায়দরাবাদ হাউসে ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার মধ্যে আলোচনা অনুষ্ঠিত হয়। এতে নিরাপত্তা সহযোগিতা, বিনিয়োগ, ক্রমবর্ধমান বাণিজ্য সম্পর্ক, বিদ্যুৎ ও জ্বালানি খাতের সহযোগিতা, অভিন্ন নদীর পানিবণ্টন, পানিসম্পদ ব্যবস্থাপনা, সীমান্ত ব্যবস্থাপনা, মাদক চোরাচালান ও মানবপাচার রোধের বিষয়গুলো গুরুত্ব পায়।