দন্ডিত এনামুল বাছিরকে জামিন দেননি হাইকোর্ট
নিজস্ব প্রতিবেদক
প্রকাশ: ০৫:৩৯ পিএম, ৭ সেপ্টেম্বর,
বুধবার,২০২২ | আপডেট: ০৯:১১ এএম, ১৯ ডিসেম্বর,বৃহস্পতিবার,২০২৪
ঘুষ গ্রহণের মামলায় দুর্নীতি দমন কমিশনের (দুদক) বরখাস্ত হওয়া পরিচালক খন্দকার এনামুল বাছিরের জামিন আবেদন কার্যতালিকা থেকে বাদ দিয়েছেন হাইকোর্ট।
আজ বুধবার বিচারপতি খোন্দকার দিলীরুজ্জামানের একক হাইকোর্ট বেঞ্চ এ আদেশ দেন। আদালতে এনামুল বাছিরের পক্ষে শুনানি করেন অ্যাডভোকেট ফারুক আলমগীর চৌধুরী। দুদকের পক্ষে ছিলেন আইনজীবী খুরশিদ আলম খান। এর আগে ঘুষ গ্রহণের মামলায় খন্দকার গতকাল সকালে এনামুল বাছির আবারও জামিন চেয়ে হাইকোর্টে আবেদন করেন। গত ২৩ আগস্ট হাইকোর্টের একটি বেঞ্চ খন্দকার এনামুল বাছিরকে জামিন দিলেও পরে সেটি প্রত্যাহার করা হয়।চলতি বছরের ২৩ ফেব্রুয়ারি খন্দকার এনামুল বাছিরকে আট বছর ও পুলিশের বরখাস্ত উপ-মহাপরিদর্শক (ডিআইজি) মিজানুর রহমানকে তিন বছর কারাদ- দেন ঢাকার বিশেষ জজ আদালত-৪ এর বিচারক শেখ নাজমুল আলম। এ রায়ের বিরুদ্ধে হাইকোর্টে আপিল করে জামিন আবেদন করেন এনামুল বাছির। অন্যদিকে তার সাজা বাড়াতে হাইকোর্টে আবেদন করে দুদক। দুদকের আবেদনের শুনানি নিয়ে হাইকোর্ট রুল জারি করেন। ২০১৯ সালের ২২ জুলাই দুদকের পরিচালক ফানাফিল্লাহর নেতৃত্বে দুদকের একটি টিম মিরপুরের দারুস সালাম এলাকা থেকে এনামুল বাছিরকে গ্রেফতার করে। পরের দিন ২৩ জুলাই জামিনের আবেদন নামঞ্জুর করে ঢাকার সিনিয়র স্পেশাল জজ কে এম ইমরুল কায়েস তাকে কারাগারে পাঠানোর নির্দেশ দেন। অবৈধভাবে সম্পদ অর্জন, কমিশনের তথ্য পাচার ও শৃঙ্খলা ভঙ্গের অভিযোগে দুদক পরিচালক খন্দকার এনামুল বাছিরকে সাময়িকভাবে বরখাস্ত করে দুদক।
২০১৯ সালের ১৬ জুলাই ৪০ লাখ টাকার ঘুষ কেলেঙ্কারির অভিযোগে পুলিশের বরখাস্ত উপ-মহাপরিদর্শক (ডিআইজি) মিজানুর রহমান ও দুদক পরিচালক এনামুল বাছিরের বিরুদ্ধে মামলা করে দুদক। এনামুল বাছির ১৯৯১ সালে তৎকালীন দুর্নীতি দমন ব্যুরোতে যোগ দেন। কমিশন গঠিত হওয়ার পর তিনি সহকারী পরিচালক, উপ-পরিচালক ও পরিচালক হিসেবে পদোন্নতি পান।