ভারত থেকে বাংলাদেশের অর্জন তা শেখ হাসিনার নেতৃত্বেই : তথ্যমন্ত্রী
নিজস্ব প্রতিবেদক
প্রকাশ: ০৫:৪৮ পিএম, ৬ সেপ্টেম্বর,মঙ্গলবার,২০২২ | আপডেট: ০৫:৪৭ পিএম, ২১ ডিসেম্বর,শনিবার,২০২৪
চার দিনের সফরে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার ভারত সফরে সঙ্গে যাওয়ার কথা থাকলেও পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. এ কে আব্দুল মোমেন শেষ মুহূর্তে যেতে পারেননি। এ প্রসঙ্গে জানতে চাইলে তথ্যমন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদ বলেছেন, ‘ভারতের প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গেও সবসময় দেশটির পররাষ্ট্রমন্ত্রী সফরসঙ্গী হন না। তবে বাংলাদেশের পররাষ্ট্রমন্ত্রী প্রধানমন্ত্রীর সফরসঙ্গী ছিলেন, শেষ মুহূর্তে বাদ পড়েছেন। তার কারণ হলো তিনি কিছুটা অসুস্থ ছিলেন।
আজ মঙ্গলবার সচিবালয়ে সমসাময়িক বিভিন্ন বিষয় নিয়ে সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে তিনি এ কথা বলেন।
তথ্যমন্ত্রী বলেন, ‘আপনারা প্রশ্ন করতে পারেন, অসুস্থ থাকলে তিনি অফিস করলেন কীভাবে। সে ক্ষেত্রে বলবো, সামান্য অসুস্থ হলে অফিস করা যায়, হাই লেভেলের ট্যুরে অংশ নেয়া যায় না। আমি নিজেও অল্প অসুস্থ হলে অফিস করি, কিন্তু বিদেশ ট্যুরে যাই না। প্রধানমন্ত্রী ভারত সফরে গেলে সবসময় ‘দিয়ে আসেন’ কিছু নিয়ে আসতে পারেন না- বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীরের এমন বক্তব্যের জবাবে তথ্যমন্ত্রী বলেন, ‘এ ধরনের কথা ওনার বেলায়, ওনার নেত্রীর (খালেদা জিয়া) বেলায় এবং ওনার দলের বেলায় প্রযোজ্য। বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়া ২০০৬ সালে ভারত সফরে গিয়েছিলেন। ফিরে আসার পর সাংবাদিকরা গঙ্গার পানি বণ্টন চুক্তির বিষয়ে জানতে চাইলে তিনি বলেন- আল্লাহ, আমিতো ভুলেই গেছিলাম। এটা আমরা ভুলিনি।
ড. হাছান মাহমুদ আরও বলেন, ‘ভারত থেকে বাংলাদেশ যা কিছু অর্জন করেছে, তা শেখ হাসিনার শাসনামলেই, তার নেতৃত্বেই। ১৯৭৪ সালের ইন্দিরা-মুজিব চুক্তির ফলে বহু বছর পর শেখ হাসিনাই এ ছিটমহল আদায় করেছেন। শেখ হাসিনার আমলেই ভারতের সঙ্গে মামলায় জিতে সমুদ্রসীমা জয় করেছে বাংলাদেশ, শেখ হাসিনার শাসনামলেই ২০টি পণ্য ছাড়া বাকি সব পণ্যের শুল্কমুক্ত সুবিধা আদায় করা হয়েছে। কাজেই মির্জা ফখরুল ইসলামের এ বক্তব্য, তাদের বেলায় প্রযোজ্য, আমাদের নয়। বিএনপি গণতান্ত্রিক সরকার প্রতিষ্ঠার আন্দোলন করছে মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীরের এমন অপর একটি বক্তব্যের বিষয়ে সাংবাদিকরা জানতে চাইলে তিনি বলেন, ‘যে দলের জন্ম বন্দুকের নল উঁচিয়ে, ক্ষমতার উচ্ছিষ্ট বিলিয়ে; সেই দল যখন গণতন্ত্রের কথা বলে তা শুনে মানুষও হাসে গাধাও হাসে।