গণতান্ত্রিক সমাজ গঠনে বিতর্ক মানুষকে সহিঞ্চু করে তোলে : তথ্য ও সম্প্রচারমন্ত্রী
নিজস্ব প্রতিবেদক
প্রকাশ: ০১:৫৯ পিএম, ২ সেপ্টেম্বর,শুক্রবার,২০২২ | আপডেট: ০৯:০৫ এএম, ১৬ ডিসেম্বর,সোমবার,২০২৪
বিতর্ক প্রতিযোগিতায় যুক্তি চর্চার মাধ্যমে বিতার্কিকেরা অন্যের মতামতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল হয় এবং যুক্তিবাদী মানুষ হিসেবে গড়ে ওঠে। বিতর্ক একটি শিল্প।
আজ শুক্রবার সকালে তথ্য ও সম্প্রচারমন্ত্রী ড.হাছান মাহমুদ, এমপি বালাদেশ টেলিভিশন চট্রগ্রাম কেন্দ্রে আয়োজিত স্নাতক ও স্নাতকোওর পর্যায়ে ১ম জাতীয় টেলিভিশন বিতর্ক প্রতিযোগিতা ২০২২ এর চুড়ান্ত পর্ব ও পুরস্কার বিতরনী অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে এসব কথা বলেন।
তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রী ড.হাছান মাহমুদ বলেন, বিতর্ক একজন মানুষকে বিস্তর জটিল বিষয়াদি নিয়ে কথা বলতে শেখায় এবং কীভাবে উপস্থিত সবাইকে বিচারক ও প্রতিপক্ষ সহ নিজের দৃষ্টিভঙ্গি বুঝিয়ে দিতে হয় সে ব্যাপারেও যুক্তিবাদী হতে শেখায়।এজন্য এটি অনেক গুরুত্বপূর্ণ স্কিল।
তিনি আরও বলেন, বিতর্কের একটা গুরুত্বপূর্ণ পয়েন্ট হচ্ছে, বিভিন্ন বিষয় নিয়ে প্রচুর জ্ঞান থাকা প্রয়োজন। এ ক্ষেত্রে বিষয়টা নিয়ে পুরোপুরি জানা ছাড়া কোন বিকল্প উপায় থাকে না। বর্তমান সময়ে মানুষ একে অন্যের মতামতকে সম্মান করতে ভুলে যাচ্ছে, যেকোন উপায়ে নিজের মতামতকে চাপিয়ে দেয়ার কালচার সৃষ্টি হচ্ছে, সে সময়ে এসে বিতার্কিকরা প্রতিপক্ষের যুক্তি শুনছে, চিন্তা করে দেখছে। এটিও বিতর্কের অন্যতম ভালো দিক।
তিনি বলেন, বিতর্কচর্চা ব্যক্তির মধ্যে যুক্তিবাদিতা ও পরমতসহিষ্ণুতার অভ্যাস গড়ে তুলতে সহায়তা করে। বাড়িয়ে দেয় বিষয়ভিত্তিক মনঃসংযোগ, বিশ্লেষণী ক্ষমতা ও সংবেদনশীলতা। পড়াশোনার পাশাপাশি ব্যক্তির মনোজগতের বিকাশে বিতর্কচর্চা সুদূরপ্রসারী ভূমিকা রাখতে পারে।
মন্ত্রী বলেন, একজন বিতার্কিককে বিতর্কের প্রস্তুতির জন্যে যেমন জানতে হয় দেশের ইতিহাস, ঐতিহ্য, সংস্কৃতি ও অর্থনীতি, ঠিক তেমনি নজর রাখতে হয় চলমান ঘটনাপ্রবাহ এবং রাজনৈতিক বিষয়াদি। কোনো নির্ধারিত বা অনির্ধারিত বিষয়ে সঠিক তথ্য, যুক্তি উপস্থাপনের জন্য প্রয়োজন হয় বহুমাত্রিক পড়াশোনা।
তিনি বিতর্কে বিজয়ী এবং রানার আপ উভয় দলের প্রতি আন্তরিক অভিনন্দন ও শুভেচ্ছা জানিয়ে বলেন, আমি মনে করি দুই দলই জয়ী হয়েছে। বিতর্কে অংশগ্রহণের ফলে যে জ্ঞানলাভ হয়েছে, তা জীবনকে অনেক সামনে এগিয়ে নিয়ে যাবে। তিনি আরও বলেন ভালো বিতার্কিক হতে হলে সব সময় সজাগ ও সক্রিয় থাকতে হয়। যুক্তিতর্কে অন্যকে পরাজিত করার জন্য হতে হয় অনেক কৌশলী এবং সতর্ক।
বাংলাদেশ টেলিভিশনের মহাপরিচালক মোঃ সোহরাব হোসেন এর সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন, এমএ মালেক, সম্পাদক, দৈনিক আজাদী, আ জ ম নাছির উদ্দিন, সাবেক মেয়র, চট্রগ্রাম সিটি কর্পোরেশন, মোঃ আশরাফ উদ্দিন, বিভাগীয় কমিশনার, চট্রগ্রাম, কৃষ্ণপদ রায় বিপিএম(বার), পিপিএম(বার), পুলিশ কমিশনার, চট্রগ্রাম মেট্রোপলিটন পুলিশ।
এছাড়াও অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন চট্রগ্রামের বিশিষ্ট সাংবাদিক, গণমাধ্যমকর্মী, সরকারি কর্মকর্তাসহ বিশিষ্ট রাজনৈতিক ব্যক্তিবর্গ।
অনুষ্ঠানে স্বাগত বক্তব্য রাখেন, বাংলাদেশ টেলিভিশন চট্রগ্রাম কেন্দ্রের জেনারেল ম্যানেজার মাহফুজা আক্তার।তিনি বলেন স্নাতক পর্যায়ে এই জাতীয় বিতর্ক প্রতিযোগিতার যাত্রা শুরু হয় ২৭ মার্চ ২০২২ এবং এই প্রতিযোগিতায় ১০৪ টি দল অংশগ্রহণ করেছেন। শুদ্ধাচার ও নৈতিকতা গঠনে পরিবারের চেয়ে শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের ভূমিকাই মুখ্য শীর্ষক এই প্রতিযোগিতায় চ্যাম্পিয়ন হয়েছে বাংলাদেশ টেক্সটাইল বিশ্বববিদ্যালয়, ঢাকা এবং রানার্সআপ হয়েছে বলেন বেগম ফজিলাতুন্নেছা মুজিব হল, জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়।