এক ব্যক্তির হাতে ক্ষমতা থাকলে গণতন্ত্রচর্চা অসম্ভব : জিএম কাদের
নিজস্ব প্রতিবেদক
প্রকাশ: ০৫:৪০ পিএম, ২৭ আগস্ট,শনিবার,২০২২ | আপডেট: ০৯:৪৩ পিএম, ১৫ ডিসেম্বর,রবিবার,২০২৪
এক ব্যক্তির হাতে সব ক্ষমতা থাকলে গণতন্ত্রচর্চা সম্ভব নয় বলে মন্তব্য করেছেন জাতীয় পার্টির চেয়ারম্যান গোলাম মোহাম্মদ (জিএম) কাদের।
আজ শনিবার (২৭ আগস্ট) দুপুরে জাতীয় পার্টি চেয়ারম্যানের বনানী কার্যালয়ে ‘ছোটদের পল্লীবন্ধু’গ্রন্থের প্রকাশনা উৎসবে প্রধান অতিথির বক্তৃতায় তিনি এ সব কথা বলেন।
তিনি বলেন, ‘পল্লীবন্ধু হুসেইন মুহম্মদ এরশাদকে যারা অন্যায়ভাবে স্বৈরাচার উপাধি দিয়েছেন, তারাই ১৯৯০ সালের পর সংবিধানে কাটাকাটি করে স্বৈরতন্ত্র প্রতিষ্ঠিত করেছিল। আওয়ামী লীগ ও বিএনপি বারবার সংবিধান সংশোধন করে দেশে সাংবিধানিক স্বৈরতন্ত্র প্রতিষ্ঠা করেছে। এখন রাজনৈতিক বাস্তবতা হচ্ছে, গণতন্ত্র নিপাত যাক আর স্বৈরতন্ত্র চালু থাক।’
জি এম কাদের বলেন, ‘এক ব্যক্তির হাতে সব ক্ষমতা, তিনি যা বলবেন সেটাই আইন। এটা কখনোই গণতন্ত্র হতে পারে না। এভাবে গণতান্ত্রিক চর্চা হতে পারে না। হুসেইন মুহম্মদ এরশাদের বিরুদ্ধে রাজনৈতিক প্রতিপক্ষরা অনেক মিথ্যাচার করেছে কিন্তু সফল হয়নি। দেশের মানুষের হৃদয়ের মণিকোঠায় পল্লীবন্ধু অক্ষয় হয়ে আছেন।’
সুনীল শুভরায় প্রণীত ‘ছোটদের পল্লীবন্ধু’ গ্রন্থের প্রকাশনা উৎসবে সভাপতিত্ব করেন জাতীয় পার্টি চেয়ারম্যানের উপদেষ্টা এবং জাতীয় পার্টি রিচার্স অ্যান্ড ডেভেলপমেন্ট উইংয়ের আহ্বায়ক মনিরুল ইসলাম মিলন।
জাতীয় পার্টির চেয়ারম্যান বলেন, পল্লীবন্ধু হুসেইন মুহম্মদ এরশাদ ছিলেন ইতিহাসের সব চেয়ে অসাম্প্রদায়িক নেতা। তিনি রাষ্ট্রধর্ম ইসলাম ঘোষণা করেছেন। তিনি সব ধর্মের অধিকার নিশ্চিত করেছিলেন। হিন্দু, বৌদ্ধ, খ্রিষ্টানদের জন্য পৃথক কল্যাণ ট্রাস্ট গঠন করেছিলেন। শুভ জন্মাষ্টমীতে সরকারি ছুটি ঘোষণা করেছিলেন।
জাতীয় পার্টির কো-চেয়ারম্যান ও সাবেক মহাসচিব এবিএম রুহুল আমিন হাওলাদার বলেন, ‘ইতিহাস থেকে পল্লীবন্ধু এরশাদকে মুছে ফেলা যাবে না। ষড়যন্ত্রকারীরা ব্যর্থ হয়েছে। হুসেইন মুহম্মদ এরশাদ দেশের উন্নয়ন, সংস্কার আর মানবিকতার ইতিহাসে উজ্জ্বল তারকা হয়ে থাকবেন।
কো-চেয়ারম্যান কাজী ফিরোজ রশীদ এমপি বলেন, দেশে ইতিহাস বিকৃতি চলছে। যারা মুক্তিযুদ্ধ করেনি, বঙ্গবন্ধুকে দেখেনি, তারা ইচ্ছেমত মনগড়া তথ্য দিয়ে ইতিহাস লিখছে। বর্তমান বাস্তবতায় ‘ছোটদের পল্লীবন্ধু’ বইটি শুধু শিশু নয়, বড়দের জন্যও গুরুত্বপূর্ণ। বইটি পড়ে পল্লীবন্ধুর ঐতিহাসিক জীবনের কিছু ছবি জানতে পাবে সবাই।
আরেক কো-চেয়ারম্যান সৈয়দ আবু হোসেন বাবলা এমপি বলেছেন, ‘পল্লীবন্ধু হুসেইন মুহম্মদ এরশাদের উন্নয়ন এখনো দেশের মানুষ মনে রেখেছে। দেশের মানুষ আবারো পল্লীবন্ধুর যুগে ফিরে যেতে চান। পল্লীবন্ধুর লাঙ্গল নিয়ে আমরা সাধারণ মানুষের কাছে যাবো।’
জাতীয় পার্টির কেন্দ্রীয় সদস্য শাহীনারা সুলতানা রীমার সঞ্চালনায় বক্তব্য দেন প্রেসিডিয়াম সদস্য সাহিদুর রহমান টেপা, ফখরুল ইমাম এমপি, সুনীল শুভ রায়, মীর আব্দুস সবুর আসুদ, সোলায়মান আলম শেঠ, আতিকুর রহমান আতিক প্রমুখ।