বাংলাদেশের অর্থনীতি পাকিস্তান-ভারতের চেয়েও এগিয়ে : বাণিজ্যমন্ত্রী
নিজস্ব প্রতিবেদক
প্রকাশ: ১২:৪১ পিএম, ১৬ আগস্ট,মঙ্গলবার,২০২২ | আপডেট: ০২:৫১ এএম, ১৬ ডিসেম্বর,সোমবার,২০২৪
বাণিজ্যমন্ত্রী টিপু মুনশী বলেছেন, ‘বাংলাদেশের অর্থনীতি পাকিস্তানের চেয়ে অনেক ভালো। অনেক ক্ষেত্রে ভারতের চেয়েও বাংলাদেশ এগিয়ে আছে। আর এ এগিয়ে যাবার সবকিছুই জাতির পিতার সোনার বাংলা নির্মাণে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার অবদান।’
আজ মঙ্গলবার (১৬ আগস্ট) দুপুরে জেলা শিল্পকলা অ্যাকাডেমি মিলনায়তনে রংপুর সিটি করপোরেশনের উদ্যোগে ‘রংপুরে বঙ্গবন্ধু’ শীর্ষক ঐতিহাসিক স্যুভিনিরের মোড়ক উম্মোচন অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি কথা বলেন।
মন্ত্রী বলেন, যে পাকিস্তানকে আমরা ত্যাজ্য করে পরাজিত করলাম, সেদিন পাকিস্তানে অর্থনীতি আমাদের চেয়ে অনেক ভালো ছিল। আজকে পাকিস্তান আমাদের থেকে অনেক পিছিয়ে পড়েছে। তাদের নেতারা বলছেন যে, পাকিস্তানের অর্থনীতি এখন বাংলাদেশকে ফলো করে। সবকিছু হয়েছে জাতির পিতার যোগ্য কন্যার জন্য। তিনি সেখানে নিয়ে এসেছেন আমাদের।
মন্ত্রী বলেন, ভারত থেকেও অনেক হিসেবে আমরা সামনে আছি। তাদের পারক্যাপিটা ইনকাম আমাদের থেকে পিছিয়ে পড়েছে। স্যানিটেশন বলেন, অনেক ক্ষেত্রেই তারা আমাদের থেকে পিছনে।
মন্ত্রী আরও বলেন, যারা দেশকে শ্রীলংকা হবে বলছে, আসলে তারা এই দেশই চায়নি। একটা পরিবারে যখন সঙ্কট হয়, তখন সবাই মিলে সেই সঙ্কট আমরা কাটাই। আমাদের দেশে দ্রব্যমূল্য যে চড়া সেটা বৈশ্বিক ব্যাপার। খুব তাড়াতাড়ি এই সঙ্কট কেটে যাবে।
রংপুর সিটি মেয়র মোস্তাফিজার রহমান মোস্তফার সভাপতিত্বে প্রকাশনা অনুষ্ঠানে বিভাগীয় কমিশনার সাবিরুল সাবিরুল ইসলাম, রেঞ্জ ডিআইজি মোঃ আবদুল আলীম মাহমুদ, পুলিশ কমিশনার নুরে আলম মিনা, ডিসি আসিব আহসান, পুলিশ সুপার ফেরদৌস আলী চৌধুরী, জেলা পরিষদ প্রশাসক ছাফিয়া খানম, সিটি করপোরেশনের প্রধান নির্বাহী রুহুল আমীন মিঞা, জেলা মুক্তিযোদ্ধা সংসদের কমান্ডার বীর মুক্তিযোদ্ধা মোঃ মোছাদ্দেক হোসেন বাবলু, জেলা আওয়ামী লীগ সভাপতি মমতাজ উদ্দিন আহমেদ, মহানগর আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক তুষার কান্তি মণ্ডল বিশেষ অতিথির বক্তব্য রাখেন।
অনুষ্ঠানে স্বাগত বক্তব্য রাখেন সিটি স্যুভেনির প্রকাশনার কমিটির আহ্বায়ক কাউন্সিলর তৌহিদুল ইসলাম ও যুগ্ম আহ্বায়ক মাহমুদুর রহমান টিটু।
সভাপতির বক্তব্যে মেয়র মোস্তাফিজার রহমান মোস্তফা বলেন, রংপুর মহানগরীসহ বৃহত্তর রংপুরের ৫ জেলায় বঙ্গবন্ধুর বিচরণসহ তার স্মৃতি নিয়ে ঐতিহাসিক প্রকাশনাটি করা হয়েছে। যা ইতিহাসকে সমৃদ্ধ করবে। অনেক অজানা তথ্য পাওয়া যাবে যা গবেষণার খোরাক হিসেবে কাজ করবে।