দেশে এখন বিচারবহির্ভূত হত্যা নেই : পররাষ্ট্রমন্ত্রী
নিজস্ব প্রতিবেদক
প্রকাশ: ০৫:১৫ পিএম, ১৪ আগস্ট,রবিবার,২০২২ | আপডেট: ০১:৫২ এএম, ১৮ ডিসেম্বর,
বুধবার,২০২৪
বাংলাদেশে বিচারবহির্ভূত হত্যা আগে হলেও এখন নেই বলে দাবি করেছেন পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. এ কে আব্দুল মোমেন।
আজ রবিবার রাষ্ট্রীয় অতিথি ভবন পদ্মায় ঢাকা সফররত জাতিসংঘের মানবাধিকারবিষয়ক হাইকমিশনার মিশেল ব্যাচেলেটের সঙ্গে বৈঠক শেষে সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে এ দাবি করেন পররাষ্ট্রমন্ত্রী।
তিনি বলেছেন, বিচারবহির্ভূত হত্যার বিষয়ে কোনো তথ্য পেলে সরকার তা তদন্ত করবে। বৈঠকে এ বিষয়ে আলোচনা হয়েছে কি না, জানতে চাইলে পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, বিচারবহির্ভূত হত্যার বিষয়ে তারা বলেনি। আমরা নিজে থেকে বলেছি। এরকম বলা হয়েছে যে, কিছু লোককে কিল করা হয়েছে। আমাদের এখানে আগে হতো ২০০০, ২০০৩ ওই সময়ে। বিচারবহির্ভূত হত্যার বিষয়ে আমরা কোনো তথ্য পেলে তদন্ত করা হবে।
বৈঠকে আলোচনার বিষয়ে ড. মোমেন বলেন, কিছু কিছু লোক নাকি বলেছে যে, ৭৬ জন লোক গত ১০ বছরে নিখোঁজ হয়ে গেছে। তারা বলেছে, সরকার নাকি নিখোঁজ করেছে। ৭৬ জনের মধ্যে আবার ১০ জনের দেখা পাওয়া গেছে। বাকিগুলো আমরা ঠিক জানি না। পরিবার কোনো তথ্য দেয় না। পরিবারকে বলা হয়, তারা ভয়ে আর কোনো তথ্য দেয় না। আমরা জানি না, তারা কোথায় গেছেন। আলোচনায় গণমাধ্যমের স্বাধীনতার প্রসঙ্গটি এসেছে জানিয়ে, পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, ওদের (জাতিসংঘ) ধারণা, বাংলাদেশে টেলিভিশন মিডিয়া এগুলোতে কোনো ফ্রিডম নেই। কেউ নিজের কথা বলতে পারে না। তাদের (গণমাধ্যম) সেন্সর করে। আমি বলেছি, আমার এমন কিছু জানা নেই। আমি তো দেখি, আমাদের মিডিয়া ভেরি স্ট্রং। প্রাইভেট টেলিভিশন একটা কথা বললে ধরে ফেলে।
মিডিয়ার স্বাধীনতার প্রসঙ্গে বলেছি, আমরা এ সম্পর্কে জানি না। কিন্তু কেউ কেউ মনে হয়ত মনে করে। তারা মনে মনে চিন্তা করে। তাদেরকে বলা হয়েছে, বাংলাদেশে অনেকগুলো মিডিয়া রেজিস্টার্ড হয়েছে। আমি বললাম, সারাদেশে ২ হাজার ৮০০ পত্রিকা বের হয়। সরকার এগুলোর সেন্সর করে বলে আমার জানা নেই। সরকারের এত ক্ষমতাও নেই। দেশে সিভিল সোসাইটির প্রসঙ্গে আলোচনা হয়েছে, জানিয়ে পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, দেশে সিভিল সোসাইটি নাকি নেই। এটা আমরা জানি না। সিভিল সোসাইটি তো সব জায়গায় থাকে। এনজিও আমাদের দেশে শত শত, কয়েক হাজার। এখানে প্রাইভেট ভলান্টিয়ার অর্গানাইজেশন খুব বেশি নেই। রোহিঙ্গা ইস্যু নিয়ে জাতিসংঘ খুব উদ্বিগ্ন এবং এ সমস্যা সমাধানে তারা সহযোগিতা করবে বলে জানিয়েছেন পররাষ্ট্রমন্ত্রী। জাতিসংঘের মানবাধিকারবিষয়ক হাইকমিশনার মিশেল ব্যাচেলেট চার দিনের সফরে গতকাল রবিবার সকালে ঢাকায় এসেছেন।