সরকারি ওষুধ চুরি করে বিক্রি করলে ১০ বছরের জেল

সরকারি ওষুধ চুরি করে বিক্রি করলে ১০ বছরের জেল এবং ১০ লাখ টাকা জরিমানার বিধান রেখে ঔষধ আইন, ২০২২-এর খসড়ায় নীতিগত অনুমোদন দিয়েছে মন্ত্রিসভা।  

আজ বৃহস্পতিবার প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত ভার্চুয়াল মন্ত্রিসভা বৈঠকে এ আইনের খসড়ার নীতিগত অনুমোদন দেয়া হয়।  প্রধানমন্ত্রী গণভবন থেকে এবং মন্ত্রী-প্রতিমন্ত্রীরা সচিবালয়ের মন্ত্রিপরিষদ বিভাগের সভাকক্ষ থেকে ভিডিও কনফারেন্সের মাধ্যমে বৈঠকে যোগ দেন। বৈঠক শেষে সচিবালয়ে প্রেস ব্রিফিংয়ে মন্ত্রিপরিষদ সচিব খন্দকার আনোয়ারুল ইসলাম এ তথ্য জানান। কেন জ্বালানি তেলের দাম বাড়ানো প্রয়োজন ছিল সেটা যাতে মানুষকে পরিষ্কার করে ব্যাখ্যা দেয়া হয় এ জন্য বিদ্যুৎ ও জ্বালানি মন্ত্রণালয়কে নির্দেশ দিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। বৃহস্পতিবার সচিবালয়ে মন্ত্রিপরিষদ সভায় তিনি এ নির্দেশ দেন।

মন্ত্রিপরিষদ সচিব জানান, আজকের বৈঠকে জাতীয় শিল্পনীতি-২০২২-এর খসড়ার নীতিগত অনুমোদন দেয়া হয়েছে। এর ফলে দেশে শক্তিশালী একটি শিল্প খাত গড়ে উঠবে। বৈঠকে ওষুধ আইন-২০২২ এর খসড়ার নীতিগত অনুমোদন দেয়া হয়েছে বলেও জানান আনোয়ারুল ইসলাম। 

তিনি জানান, এর ফলে লাইসেন্স ছাড়া কেউ ওষুধ আমদানি করতে পারবে না। যদি কেউ এটা করে ১০ বছরের সশ্রম কারাদন্ড এবং ১০ লাখ টাকা জরিমানা করা হবে। সরকারি ওষুধ চুরি করে বিক্রি করলে একই রকম শাস্তি হবে। তবে ওষুধের দাম ও মান নিয়ে আইনে কিছু বলা হয়নি। নীতিমালা করে এগুলো নির্ধারণ করা হবে বলেও জানান তিনি।